উত্তরঃ
Suppose, আমি ইন্ডিয়া থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করব। এখন যে ট্রান্সমিশন লাইন ব্যবহার করে কাজটা করা হবে সেটাকে Back To Back transmission line বলে।
এখন প্রশ্ন আসবে এই Back to Back transmission line টা আবার কি?
যে ট্রান্সমিশন লাইন দিয়ে বিদ্যুৎ আমদানি এবং রপ্তানি দুটোই সম্ভব তাকে ব্যাক টু ব্যাক ট্রান্সমিশন লাইন বলে। তাই একে ডুপ্লেক্স টান্সমিশান লাইন ও বলে।
এবার আসি মেইন জায়গায়। যাস্ট ৩টি পয়েন্টে উপস্থাপন করবঃ
১) ভারতের বহরামপুর সাবস্টেশন আমাদের AC দিচ্ছে।
২) আমরা ভেড়ামারা গ্রীড সাবস্টেশানে রেক্টিফায়ার সার্কিট ব্যবহার করে এ AC টু DC করছি।
৩) এরপর আবার ইনভার্টার সার্কিট ব্যবহার করে DC টু AC করে গ্রিড এ দিচ্ছি।
ভাই এসব কি বলেন? একবার এসি আসে আবার ডিসি করেন আবার এসি করেন। মাথা ত ঘুরাই গেল। কিছুই ত বুঝিনা।
প্রথমে ক্লিয়ার করব কেন ভারত থেকে আসা এসি কে রেক্টিফাই করে ডিসি বানানো হয়? সরাসরি এসি নিলে অসুবিধা কি?
১) আমরা জানি, কোন ট্রান্সমিশন লাইনে ফ্রিকুয়েন্সি, Reactance ফিক্স থাকেনা। উঠানামা করে। আর উঠানামার হার দুই দেশে ভিন্ন রকম। তাই এই ঝামেলা এড়াতে এটা ব্যবহার করা হয়
২) আর স্কিন ইফেক্ট এর ঝামেলা নেই।
৩) শুধুমাত্র দুটো তার ব্যবহার করেই HVDC ট্রান্সমিশন করা সম্ভব।
৪) কম খরচেই ৭০০ কিমি পর্যন্ত এই লাইন ইন্সটল করা যায়।
তাইলে আবার ডিসি টু এসি করার ই কি দরকার?
এসি না করলে কেমনে হবে ভাই? আপনি আর আমি ত আর বাসা বাড়ির লোডগুলো ডিসি তে চালাই না। ত এসিতে নেয়া লাগবেই। কেবলমাত্র ফ্রিকুয়েন্সি জনিত ঝামেলা এড়াতে এই রেক্টিফিকেশান এর কাজ করা হয়। নাহলে এত ঝামেলা ছিলনা।
এই ব্লগটি সন্ধান করুন
অবদানকারী
রবিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৪
ইন্ডিয়া হতে কেনো DC ট্রান্সমিট লাইন আনা হয়েছে
by
Engineering Learning
on
১:১৬ PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন