ওয়াট
EEE Engineers
1. ১মেগাওয়াট =কত ওয়াট
2.১কিলোওয়াট =কত ওয়াট
3.১কিলোওয়াট অশ্বশক্তি =কত ওয়াট
4.১Hp =কত ওয়াট
উত্তর
1.1MW=1000000 W
2. 1KW=1000 W
3. 1KW.HP=(1000×746)w=746000 W
4. 1HP=746 W
EEE Engineers
1. ১মেগাওয়াট =কত ওয়াট
2.১কিলোওয়াট =কত ওয়াট
3.১কিলোওয়াট অশ্বশক্তি =কত ওয়াট
4.১Hp =কত ওয়াট
উত্তর
1.1MW=1000000 W
2. 1KW=1000 W
3. 1KW.HP=(1000×746)w=746000 W
4. 1HP=746 W
আপনি এই সূত্র ফলো করতে পারেন....
চার্জার ---১২ ভোল্ট ×এ্যাম্পিয়ার = ওয়াট
ব্যাটারী = ভোল্ট × এ্যাম্পিয়ার=ওয়াট
চার্জ হতে সময় লাগবে = ব্যাটারীর ওয়াট ÷ ট্রান্সফরমার ওয়াট = মোট সময়।
------------------------------------------------------------------
আমরা সবাই একটা কথার সাথে পরিচিত যে Reactive & Real এই দুইটা মিলেই হয় Apparent Power. কথাটার গাণিতিক অর্থ অনেকেই এটা ভাবতে পারে, Apparent Power = Reactive + Real.
এই ধারণা মোটেও ঠিক নয়। Apparent, Reactive & real power relation টা হিসেব করতে হয় power triangle থেকে।
আমরা এখন দেখব তাদের Triangle love story :D
Apparent power = S
Real power = P
Reactive Power = Q
তাইলে, S কে নিয়েই P & Q এর মারামারি :D
P. বলে S এর সম্পূর্ণ মন জুড়ে আমি থাকব। Q বলে না S এর সম্পূর্ণ অংশ জুড়ে আমি থাকব :D
S বেচারা পড়ল মহা বিপাকে। সে কাকে ছেড়ে কাকে রাখবে? তাই সে সিদ্ধান্ত নিল তোমরা দুজনেই আমার। তাই এক্ষেত্রে Reactive & Real এক্ষেত্রে একে অন্যের সতীন :D
তাই Apparent power তাদের দুজনের সাথে একটি ট্রায়াঙ্গল আকৃতির বাসায় বসবাস করতে লাগল। এই ত্রিভুজের ভূমি হল P ( real power) & লম্ব হল Q (reactive power) আর অতিভুজ হল S (Apparent Power). এখন প্রশ্ন হচ্ছে, P কেন ভূমি & Q কেন লম্ব?
Real power এর ক্ষেত্রে ভোল্টেজ & কারেন্ট এর মধ্যবর্তী কোণ 0. আর reactive power এর ক্ষেত্রে এটা 90. তাহলে, এবার পীথাগোরাস করলে,
S*S = P*P + Q*Q
বা, S = root over of ( P*P + Q*Q)
এটাই তাদের ত্রিকোণ প্রেমের গল্প :D
বুঝানোর স্বার্থে অনানুষ্ঠানিক ভাষা ব্যবহার করায় আন্তরিক ভাবে দু:খিত
rm = round multicore
mm = mili mitet
ইনভার্টার (INVERTER) VFD/VFI
“জীবেনর প্রয়োজনে, সময়ের সাথে
মাতৃ ভাষায় হোক ইঞ্জিনিয়ারিং চর্চা”
আসসালামু আলাইকুম। আমি মোঃ মাহামুদুল হাসান সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ার, বাংলাদেশ অটোমেশন টেকনোলজিস। আজকে আমি ইন্ডাস্ট্রিতে বহুল ব্যবহারিত একটা ডিভাইস নিয়ে আলোচনা করব। ডিভাইসটি হলঃ ইনভার্টার (Inverter) বা (VFD/VFI)। চলুন মূল আলোচনায় আসি………
Bangladesh Automation Technologies
ইনভার্টার কি বা কাকে বলে?
ইনভার্টার এমন এক ধরনের ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস যা ডাইরেক্ট কারেন্ট(ডিসি) কে অল্টারনেটিং কারেন্টে(এসি) তে রূপান্তরিত করে।
ইনভার্টার কত প্রকার ও কি কি?
স্কোয়ার ওয়েবinverterমডিফায়াইড সাইন ওয়েবinverterপিউর সাইন ওয়েব inverter
ইনভার্টার সার্কিটের আউটপুট
ইনভার্টারের নিম্মলিখিত আউটপুট পাওয়া যায়।
Inverter সাধারণত স্কোয়ার ওয়েব, মডিফিটেড সাইন ওয়েব, পালস সাইন ওয়েব, পালস ওয়াইডথ মডুলেশন তৈরি করতে পারে।
স্কোয়ার ওয়েবঃ
এটা অনেক সহজতম ওয়েবফর্ম যা Inverter তৈরি করতে পারে। এটা কমসংবেদনশীলতা এপ্লিকেশনের জন্য উপযুক্ত যেমন লাইটনিং এবং হিটিং। স্কোয়ার ওয়েব আউটপুট ফর্ম যখন অডিও যন্ত্রপাতির সাথে সংযুক্ত করা হয় তখন তা গুন গুন শব্দ করে থাকে এবং যেটা সত্যি অনুপুযুক্ত সংবেদনশীল ইলেকট্রনিক্স এর জন্য।
সাইন ওয়েবঃ
Inverter সার্কিট মূলত সাইন ওয়েব ও তৈরি করতে পারে। সাইন ওয়েব আউটপুট টাইপের Inverter তৈরি করতে অনেক খরচ হয়ে থাকে।
আউটপুট ফ্রিকুয়েন্সিঃ
ইনভার্টারারের আউটপুট ফ্রিকুয়েন্সি সাধারণ এসি সাপ্লাই ফ্রিকুয়েন্সির মতই ৫০ অথবা ৬০ হার্টজ।
আউটপুট ভোল্টেজঃ
এর আউটপুট ভোল্টেজ মূলত অনেকটাই গ্রীড লাইন ভোল্টেজের মতই হয়ে থাকে। যেমনঃ ১২০ অথবা ২৪০ VAC ডিস্ট্রিবিউশন লেভেল।
ইনভার্টার কোথায় কোথায় ব্যবহার করা হয়?
Inverter মূলত অনেক কাজে ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে আমাদের দেশে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মোটর কন্ট্রোলিং এর কাজে Inverter ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
ডিসি পাওয়ার সোর্স হিসেবে ব্যবহারঃ Inverter মূলত ডিসি পাওয়ার(ব্যাটারি সোর্স, জ্বালানি কোষ, সোলার প্যানেল ) ইত্যাদি থেকে এসি ইলেক্ট্রিসিটিতে রুপান্তর করতে পারে।
ইলেকট্রিক মোটর স্পীড কন্ট্রোলঃ Inverter বা ভিএফডি বা ড্রাইভ মূলত ব্যাবহার করা হয় লোডের স্পিড বা গতিকে কন্ট্রোল করার জন্য। ধরুন আপনার একটি কনভেয়ার বেল্ট আছে। যাকে আপনার মাঝে মাঝে 10 minute এ ঘুরাতে হবে।আবার মাঝে মাঝে 5 minute ঘুরাতে হবে।
তাহলে আপনি এই বেল্টের স্পিড কিভাবে কন্ট্রোল করবেন? অবশ্যই ঘুরানোর জন্য যে মোটর আছে তার স্পিড কন্ট্রোল করবেন। আর এর স্পিড কন্ট্রোল করার জন্য আপনাকে Inverter / ভিএফডি / ড্রাইভ ব্যাবহার করতে হবে। Inverter/ ভিএফডি/ ড্রাইভ দিয়ে মোটরের লোড নেওয়ার ক্ষমতাকে কমবেশী করা যায়।
Inverter ব্যাবহার করার ফলে আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী আপনার মোটরকে বা লোডকে যখন খুশি বা যেভাবে খুশি নিয়ন্ত্রন করতে পারছেন।যার ফলে আপনার বিদ্যুৎ ও সাশ্রয় হচ্ছে।
এছাড়া ও বৈদ্যুতিক যানবাহনের ড্রাইভ, এয়ার কন্ডিশনারে, এইচভিডিসি পাওয়ার সরবরাহ, চলক ফ্রিকুয়েন্সী ড্রাইভ, আবেশী তাপ প্রয়োগ ইত্যাদি ক্ষেত্রে Inverter এর ব্যাপক ব্যবহার দেখা যায়।
Industry তে বিভিন্ন ধরনের Variable Inverter ব্যবহার করা হয় :-
VFI/VFD Variable Frequency Inverter/Drive(IGBT/IPM)VVCI Variable Voltage Control Inverter(TRIAC)VVVFI Variable Voltage Variable Frequency Inverter(IGBT & TRIAC)
আজ এ পর্যন্তই। সবাই সুস্থ থাকুন ভাল থাকুন দেখা হবে অন্য কোন দিন ,কথা হবে অন্য কোন বিষয় নিয়ে। খোদাহাফেজ।
PFC মানে Power Factor Correction ,,,,,,
অর্থাৎ power factor improve করা। প্রক্রিত পক্ষে আমরা যে PFI 0. 8 ধরি তা বইয়ের ভাষা। practically industrial PFI এর মান হল 0.94- 0.97 এর মাঝে রাখা প্রয়োজন, ১ হলে আরও ভালো।
আপনি দেখলেন pfi এর panel এ unity power factor দেখাচ্ছে আপনি ত মহা খুশি কিন্তু মাস শেষে দেখলেন আপনার বিল 4০০০০/- বেশী তখন মাথায় হাত! মালিক এসে বলবে পচা ইঞ্জিনিয়ার কে বিদাই করো ! কেন বিল বেশী আসলো।
এটা ইঞ্জিনিয়ার এর দোষ। কারন আপনার HT meter এর রিডিং আর pfi ঠিক নয় তাই এই বিল।
এখন মুল আলোচনায় আসা যাকঃ-
power factor correction :-
অনুমোদিত power factor ও গড় power factor এর অনুপাত কে power factor correction বলে।
সুতারাং power factor correction= অনুমোদিত power factor/ গড় power factor
ধরা যাক, একটি industri তে অনুমোদিত power factor এর মান 0.96 কিন্তু আপনার কম্পানিতে গড় power factor হল 0.81 যা 0.96. এর চেয়ে কম।
অর্থাৎ power factor correction = allowable power factor/ average power factor
=0. 96/0.81
= 1.18
PFC এর মান 1 এর চেয়ে বেশী হলে অতিরিক্ত বিল দিতে হয়।
এবার দরেন আপনার কোম্পানিরর প্রতিদিন খরচ হয় 3000 kwh.
সুতারাং বিলিং ইউনিট = প্রতিদিনের ইউনিট * power factor correction
= 3000*1.18
=3555 kwh.
সুতারাং pfc এর কারনে অতিরিক্ত বিলিং ইউনিট
= ( 3555-3000 )
=555 kwh
তা হলে প্রতিদিন আপনাকে ৫৫৫ ইউনিট অতিরিক্ত বিল দিতে হবে।
এই হলো power factor correction.
আমাদের দেশে যেহেতু লোডশেডিং হয়! কাজেই আমাদের দৈনন্দিন কাজগুলো সময়মাফিক করতে সবসময়-ঈ বিদ্যুতের প্রয়োজন। আমরা আবাসিক কিংবা বাণিজ্যিক বিভিন্ন ভবনে বা ফ্যাক্টরিতে সরকার বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত লাইনের পাশাপাশি জেনারেটর ব্যবহার করি যাতে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ পাওয়া যায়।
কিন্তু, কখন লোডশেডিং হবে আর কখন আমি জেনারেটর স্টার্ট করবো, সেটা ত প্রায় ঝামেলাই!
কাজেই, আমাকে এমন এক সিস্টেমের সাহায্য নিতে হবে, যাতে কারেন্ট চলে গেলে জেনারেটর অটোম্যাটিক চালু হবে এবং কারেন্ট চলে আসলে আবার অটোম্যাটিকই জেনারেটর বন্ধ হবে!
,
উপরোক্ত কাজটি করার জন্যই ATS ব্যবহার করা হয়!!!
এই সার্কিটটি যেভাবে কাজ করে সেটা নিয়েই আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস,,,!
,
>> কার্যপ্রণালী :
পুরু কন্ট্রোলিং সার্কিটকে আমি সহজে বুজার জন্য চারটি ভাগে ভাগ করেছি। যাদেরকে Unit 1, 2, 3 & 4 দ্বারা চিহ্নিত করেছি!!
এখানে, ইউনিট-১ হচ্ছে ন্যাশনাল গ্রিড যাকে আমরা পিডিবি হিসেবেই জানি। অর্থাৎ, যখন কারেন্ট থাকবে তখন ইউনিট-১ এর মাধ্যমেই ম্যাগনেটিক কন্ট্যাক্টর (MC-1) হয়ে পিডিবির লাইন আমাদের লোডে পৌছাবে!
,
ইউনিট-২ এর কাজ হচ্ছে, যখন কারেন্ট চলে যাবে তখন জেনারেটরকে সেল্ফ স্টার্ট করানোর জন্য এটি কাজ করবে! ইউনিট-২ পুরোটাই ডিসি ইউনিট।
,
ইউনিট -৩ হচ্ছে, যখন জেনারেটর ফুল্লি স্টার্ট হয়ে যাবে, তখন MC-2 এর মাধ্যমে লোডে জেনারেটরের লাইন সরবরাহ করবে,,!
,
ইউনিট-৪ এর কাজ হচ্ছে, যখন কারেন্ট আবার চলে আসবে, তখন অটোম্যাটিক জেনারেটরকে স্টপ করার জন্য এই ইউনিট কাজ করবে,,,!
!!!
>> সার্কিটের গঠনরূপ :
Unit-1 এ ১টি রিলে, ১টি টাইমার, ১টি ম্যাগনেটিক কন্ট্যাক্টর ব্যবহার করা হয়েছে।
রিলের ম্যাগনেটিক কয়েলে এবং এর NO তে একই লাইন দিয়ে NO হতে লাইন আউট করে টাইমারের ২+১+৮ এ সংযোগ দেই!
টাইমারের NO (6) থেইকা লাইন আউট করে জেনারেটরের ম্যাগনেটিক কন্ট্যাক্টরের NC ঘুরিয়ে( ইন্টারলক করার জন্যে) লাইনটিকে MC-1 অর্থাৎ, পিডিবির ম্যাগনেটিক কন্ট্যাক্টরের A1 প্রান্তে সংযোগ দেই। টাইমার এবং ম্যাগনেটিক কন্ট্যাক্টরের বাকি A2 প্রান্তে নিউট্রাল সাপ্লাই দিই!
,
Unit-3 এ Relay-1 এবং MC-1 এর NC ঘুড়িয়ে জেনারেটরের একটি লাইন একটি টাইমারের ৭+৮ এ সংযোগ দিই। টাইমারের NO(6) হতে লাইনটিকে আউট করে পিডিবির MC-1 এর NC ঘুরিয়ে জেনারেটরের MC-2 এর A1 এ সংযোগ দিই। টাইমার এবং ম্যাগনেটিক কন্ট্যাক্টরের বাকি প্রান্ত A2 তে জেনারেটর থেকে আগত নিউট্রাল সংযোগ দেই। এখানের টাইমারে ২-৩ সেকেন্ড সময় দেয়া হয় যাতে জেনারেটর চালু হবার সাথে সাথেই লোডে লাইন না পায়!
,
> সেল্ফ স্টার্ট: ইউনিট-২ এর সকল মালামালগুলাই ডিসি ১২ ভোল্টের, যার দ্বারা কারেন্টের অনুপস্থিতিতে জেনারেটরকে অটো চালু করতে হবে!!
ব্যাটারির পজিটিভ প্রান্ত পিডিবির ম্যাগনেটিক কন্ট্যাক্টর এবং রিলে-১ এর NC ঘুরিয়ে আরেকটি টাইমারের ৭+৮ এ সংযোগ দেই। লাইনটিকে আবার NC (5) এর মধ্যদিয়ে আউট করে আরেকটি নতুন রিলের হোল্ডিং কয়েলে এবং কমন প্রান্তে সংযোগ দিই! কমন প্রান্তের সাথে থাকা NC এর মাধ্যমে সেল্ফ স্টার্ট করানোর জন্য মোটরের পজিটিভ প্রান্তে সংযোগ দিই। রিলে + টাইমার+মোটরের বাকি প্রান্ত গুলাতে ব্যাটারির নেগেটিভ সংযোগ দিই। এই টাইমার টিতে মাত্র ৫ সেকেন্ডের মতো সময় সেট করে দিতে হবে, যাতে এই সময়ের মধ্যেই জেনারেটর স্টার্ট নেয়!
,
> Unit-4: এই পর্যায়ে যখন কারেন্ট চলে আসবে তখন আমাকে জেনারেটর স্টপ করতে হবে!!
এখন যেহেতু কারেন্ট চলেই আসছে, তাই আমাকে আর জেনারেটর বন্ধ করার জন্যে ব্যাটারির সাহায্য নিতে হবেনা!! পিডিবির সাপ্লাই দিয়াই ইঞ্জিনকে অফ করবো!
ইঞ্জিনকে সাধারণত তার ফুয়েল সাপ্লাই বা গ্যাসের সাপ্লাই অফ করে দিয়ে ইঞ্জিনকে স্টপ করি! তাই, আমরা দুটি ইলেক্ট্রিক্যাল এসি ছোট মোটর দিয়াই ইঞ্জিনকে স্টপ করবো! একটি মোটর ইঞ্জিনের স্টপ সুইচকে টেনে ধরবে এবং অন্যটি ফুয়েল স্টপ ভাল্ভকে টেনে ধরবে,,,!
এক্ষেত্রে, ইউনিট-১ এর টাইমারের ৩+৪ থেকে একটি লাইন নিয়ে আরেকটি নতুন টাইমারের ২+১+৮ নাম্বারে সংযোগ দিই! এরপর লাইনটিকে ৪+৫ থেইকা নিয়ে মোটর দুটিতে কানেকশন করি!! মোটরের বাকি দুই টার্মিনাল এ নিউট্রাল সংযোগ দিই!
ইঞ্জিন স্টপের এই প্রক্রিয়াটি টাইমারের সাহায্যে প্রায় ২৫-৩০ সেকেন্ড ধরে হয়!!
,,,
[__ ভুলভ্রান্তি থাকতেই পারে,,, কারেকশন করে দিলে খুশি হবো]
লেখক Md Lokman Hossain.
উত্তর: এ প্রশ্নটার উত্তর জানতে হলে, আমাদের পাওয়ার সম্পর্কে ভালভাবে জানতে হবে। Real, Reactive & Apparent power এই terms গুলো আমরা সবাই জানি। তারপরও একবার রিভিউ করি বোঝার সুবিধার্থে।
Real power হল সার্কিট এর মূল পাওয়ার যেটা পাওয়ার ফ্যাক্টর এর উপর নির্ভর করে। আর Reactive power হল সার্কিট এর reactive components ( Capacitor, inductor) এর unused পাওয়ার যা মূল পাওয়ার এর সাথে থাকে। আর Apparent power হলো যেটা পাওয়ার ফ্যাক্টর এর উপর নির্ভর নয়। কিন্তু Real & Reactive মিলেই হয়।
এবার আসি মূল প্রশ্নে। আমরা জানি, পাওয়ার ফ্যাক্টর হল Real & Apparent Power এর অনুপাত। অর্থাৎ,
Power Factor = Real power / Apparent power
এখন, এই Real power হয় Apparent power এর সমান হবে না হয় ছোট হবে। কখনও apparent power এর বড় হবেনা। এখন, তাই PF এর মান ১ এর সমান বা তার কম হয়।
একটা উদাহরণ দিয়ে ব্যাপারটা ক্লিয়ার করি। ধরি, আমার কাছে এক গ্লাস বিয়ার আছে। গ্লাসের হলুদ ড্রিঙ্ক টা রিয়েল পাওয়ার। ফেনার অংশ reactive power. আর পুরো গ্লাস টা apparent power. এখন, মূল বিয়ার (real power) নিশ্চয় গ্লাসের (apparent power) থেকে বেশি হবে না। হয় পুরো গ্লাসের সমান না হয় তার থেকে কম।
ক্রেডিটঃ ইকবাল মাহমুদ
আপনি একজন Electrical Engineer তাই আপনাকে জানতেই হবে,
ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার কিভাবে ক্যাবলের সাইজ নির্ধারণ করবেনঃ
ক্যাবল সাইজ নির্ধারণ করা নিয়ে নানা মত আছে। কারো কারো মতে কোনও ক্যাবল প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের ক্যাটালগ দেখলেই চলে আবার কারো কারো সিলেকশন পদ্ধতি এতটাই জটিল যে সেটাও অনেক ক্ষেত্রে বাহুল্য হয়ে যায়।
আজ আমি আপনাদের ক্যাবল সিলেকশনের যেই পদ্ধতিটা দেখাব সেটা কারো হুবহু অনুকরণ নয় বরং বেশ কয়েকটা উৎস থেকে পাওয়া তথ্য থেকে আমার বাছাইকৃত পদ্ধতি। আর হ্যাঁ, এটা শুধুমাত্র লো ভোল্টেজ লাইনের ক্যাবল সিলেকশনের পদ্ধতি।
ক্যাবল সিলেকশন এ আমাদের কয়েকটা ধাপ অনুসরণ করতে হয়। তো, শুরু করা যাক প্রথম ধাপ।
ক্যাবল
লোড কারেন্ট নির্ণয়ঃ এই ধাপটা সহজ। এই ধাপে আমাদের লোড কারেন্ট বের করতে হবে আর তার জন্য আমাদের সবগুলো লোডের সম্মিলিত পাওয়ার বের করতে হবে। ধরি, এটা একটা বিল্ডিং এর ওয়ারিং। সকল বাসার সকল যন্ত্রপাতির পাওয়ার যোগ করে আমরা পেলাম ৫৩০০ ওয়াট । এখন এটা তো আমরা সবাই অনুমান করতে পারি যে, বাসাবাড়িতে প্রতিনিয়ত লোডের পরিমান বাড়ছে কারন আমাদের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ব্যাবহারের প্রবণতা বাড়ছে এবং কোনও কিছু আমরা একবার ব্যাবহার করে অভ্যস্ত হয়ে গেলে ঐ যন্ত্রটি ছাড়া পরে আমাদের আর চলে না যার কারনে যন্ত্রপাতির পরিমান আর কমে না বরং দিন দিন বাড়ে। তাই বাসাবাড়ির ওয়ারিং এ ভবিষ্যৎ লোডের কথা মাথায় রেখে আমাদের ক্যাবল সিলেকশন করতে হবে।আমাদের এই ক্ষেত্রে বিল্ডিং এর মালিকই সবচেয়ে ভাল বলতে পারবেন যে ভবিষ্যতে তিনি কি করতে পারেন। হতে পারে তিনি তার ৪ তলা ভবনটিকে ১০ তলা করবেন অথবা কিছুই করবেন না। এই লোড বৃদ্ধির পরিমানের বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে আর যদি তা না হওয়া যায় তবে ২০% অতিরিক্ত লোড ধরে নিতে হবে এবং এই ২০% অতিরিক্ত লোড ধরে নিয়ে ক্যাবল সিলেকশন করা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত।
তো , এক্ষেত্রে আমাদের আমাদের উদাহরন অনুযায়ী সর্বমোট লোড হচ্ছে = {৫৩০০+(৫৩০০*২০/১০০)} = ৬৩৬০ ওয়াট; অতএব, মোট কারেন্ট = { ৬৩৬০/(২২০*০.৯)} = ৩২.১২ এম্পিয়ার( পাওয়ার ফ্যাক্টরকে ০.৯ ধরে); এবার পরের ধাপ।
ওয়ারিং পদ্ধতি ও ক্যাবল নির্ণয়ঃ যেহেতু আমরা এখানে সিঙ্গেল ফেজ লাইন নিচ্ছি তাই আমাদের তার টানতে হবে দুইটি। এখন এই তার কিভাবে টানা হবে তার একটা প্রভাব আছে ক্যাবলের রেটেড এম্পিয়ারের উপর।আমরা জানি যে ক্যাবল এর ভেতর দিয়ে কারেন্ট গেলে ক্যাবল গরম হয় আর এই উত্তাপ ক্যাবল থেকে যতটা ছড়িয়ে পড়বে তত ভাল কারন এতে ক্যাবল ঠাণ্ডা থাকবে। কিন্তু যেই তারটা আমরা ছিদ্রযুক্ত ট্রের উপর দিয়ে টেনে নিচ্ছি সেই তারটা ঠাণ্ডা হবার জন্য যেই পরিমান বাতাস পাচ্ছে, দেয়ালের ভেতর দিয়ে টানা তারটি সেই হিসেবে কোনও বাতাস পাচ্ছে না কিন্তু দেয়ালের বাইরে দিয়ে কোনও পাইপের মধ্য দিয়ে টানা তার কিছুটা বাতাস পাচ্ছে কিন্তু তা ট্রের উপর দিয়ে টানা তার থেকে কম। এটাই হচ্ছে ওয়ারিং এর প্রভাব।
ধরি, আমাদের উদাহরনের তার টানা হবে কোনও দেয়ালের ভেতর দিয়ে। এক্ষেত্রে আমার দেয়া লিঙ্ক এর বই( লিঙ্ক ঃ http://www.aeicables.co.uk/literature/CurrentRatings.pdf) অনুযায়ী আমাদের ক্যাবল লাগবে ৬ স্কয়ার মিঃমিঃ এর বা ৬ আর এম এর যার এম্পিয়ার রেটিং হচ্ছে ৩৪ এম্পিয়ার। এবার আসি তৃতীয় ধাপ এ।(লিঙ্ক এ দেয়া বই এর ০৬ নং পেজ ফলো করবেন)।
পারিপার্শ্বিক তাপমাত্রাঃ বিদ্যুৎ পরিবাহি ক্যাবলের আশেপাশে যা থাকবে তার মধ্য দিয়েই ক্যাবল তাপ নির্গত করতে চাইবে তাই পদার্থ বিজ্ঞানের নিয়ম অনুযায়ী আমরা বুঝতে পারি যে ক্যাবলের আশেপাশের তাপমাত্রার উপর নির্ভর করবে ক্যাবল কত দ্রুত ঠাণ্ডা হবে। আমাদের উদাহরনে ক্যাবল টানা হচ্ছে দেয়ালের ভেতর দিয়ে যার তাপ পরিবহন ক্ষমতা খুবি নিম্ন মানের। ফলে, দেয়ালের ভেতর দিয়ে কারেন্ট যাওয়ার কারনে উদ্ভুত তাপ দেয়ালের ভেতরেই থেকে যাবে যার ফলে বলা যায় যে ক্যাবলের পারিপার্শ্বিক তাপমাত্রা বেড়ে যাবে। ধরি , এক্ষেত্রে এই তাপমাত্রা হচ্ছে ৪০’ সেন্টিগ্রেড। এখন , বিভিন্ন তাপমাত্রার জন্য ক্যাবলের একটা নির্দিষ্ট গুনিতক আছে যেটা চার্টের নিচের দিকে দেয়া আছে। এই ধাপে আমাদের কাজ হচ্ছে এই গুনিতক দিয়ে ক্যাবলের এম্পিয়ার কে গুন দেয়া। তো, আমরা আমাদের উদাহরনের এম্পিয়ার কে গুন দিয়ে পাই = (৩৪*০.৮৭)=২৯.৫৮ এম্পিয়ার। এখানে ০.৮৭ হচ্ছে ৪০’ সেন্টিগ্রেডে কোনও ক্যাবলের গুনিতক।
এক্ষেত্রে, দেখা যাচ্ছে, ক্যাবলটি আমাদের মোট কারেন্ট নিতে সক্ষম নয়। যার ফলে, আমাদের এক সাইজ উপরের ক্যাবল নির্ধারণ করতে হবে এক্ষেত্রে যেটা হচ্ছে ১০ আর এম এর ক্যাবল যার কারেন্ট বহন ক্ষমতা হছে ৪৬ এম্পিয়ার। তো, আমরা আমাদের তাপমাত্রার গুনিতক দিয়ে একে গুন করলে পাই =(৪৬*০.৮৭)=৪০.০২ অর্থাৎ ৪০ এম্পিয়ার। অর্থাৎ আমরা এই ক্যাবলটি ব্যাবহার করতে পারি।
ভোল্টেজ ড্রপ নির্ণয়ঃ এটাই আমাদের শেষ ধাপ। এই ধাপে আমাদের বের করতে হবে আমাদের ফুল লোড কারেন্ট যাওয়া অবস্থায় ক্যাবলের ভেতর ভোল্টেজ ড্রপ কত হয়। এর জন্য আমাদের জানা প্রয়োজন যে এক এম্পিয়ার কারেন্ট যদি এক মিটার দীর্ঘ কোনও নির্দিষ্ট ক্যাবল দিয়ে যায় তবে ঐ ক্যাবলে কত ভোল্টেজ ড্রপ হবে। আমাদের এর জন্য কঠিন কিছু করতে হবে না। গবেষকরা বিভিন্ন আরএমের ক্যাবলের জন্য এটা পরিমাপ করে দেখেছেন এবং তার চার্ট তৈরি করেছেন । চার্টটি আমার দেয়া লিঙ্ক এর বই এ পাবেন। আর এই মানকে প্রকাশ করা হয় mV/A/M, এই এককে।
এখন আমাদের মোট কারেন্ট হচ্ছে ৩৪.১২ এম্পিয়ার আর আমরা ব্যাবহার করছি ১০ আর এম এর ক্যাবল যার ভোল্টেজ ড্রপ হচ্ছে 4.44 mV/A/M. ধরি, আমাদের ক্যাবলের মোট দৈর্ঘ্য ৩০ মিটার।অতএব, ৩৪.১২ এম্পিয়ার কারেন্ট প্রবাহে এই ক্যাবলে ভোল্টেজ ড্রপ হবে =(০.০০৪*৩৪.১২*৩০)=৪.৫৪ ভোল্ট।
এখন, IEEE এর নিয়ম অনুযায়ী বিদ্যুতের সরবরাহকারী পয়েন্ট থেকে কোনও স্থাপনা পর্যন্ত ভোল্টেজ ড্রপ সাপ্লাই ভোল্টেজ এর ২.৫% এর চেয়ে যেন বেশী না হয়। এখন আমাদের উদাহরন এ আমাদের সাপ্লাই ভোল্টেজ ২২০ ভোল্ট যার ২.৫% হয় ৫.৫ ভোল্ট যা ৪.৫৪ ভোল্ট থেকে বেশী । তার মানে আমাদের ওয়ারিং এর জন্য এই ক্যাবলটি ঠিক আছে।
যদি এই ভোল্টেজ ড্রপের মান অনুমদিত মানের থেকে বেশী হয়ে যায় তবে আমাদের আরও এক সাইজ বড় ক্যাবল নির্বাচন করতে হবে এবং যতক্ষণ পর্যন্ত এই মান সাপ্লাই এর ২.৫% এর ভেতর না আসবে ততক্ষন পর্যন্ত ক্যাবলের মান বাড়াতে হবে।
আমরা শিকতে চাই শিখাতে চাই
কোন ভুল থাকলে সংশোধন করা হবে
Engr Rafikul Islam
Admin
EEE power bridge.