পৃষ্ঠাসমূহ

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

Follow Us @soratemplates

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

অবদানকারী

শনিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

ইলেকট্রিক্যাল সাধারণ প্রশ্ন ও উত্তর

আমরা সাধারণত দুই প্রকারের ফ্যান রেগুলেটর ব্যবহার করে থাকি। (ক) ইলেকট্রিক্যাল রেগুলেটর (খ) ইলেকট্রনিক রেগুলেটর। ইলেকট্রিক্যাল রেগুলেটর তৈরি হয় ট্যাপিং যুক্ত ইন্ডাকটরের দ্বারা। বৈদ্যুতিক ফ্যান চলার সময় এই রেগুলেটর কমিয়ে দিলে ফ্যানের রোটেশন কমে কিন্তু রেগুলেটর উত্তপ্ত হয়। এই অপ্রয়োজনীয় উত্তাপের কারনে বৈদ্যুতিক পাওয়ার খরচ হয়। ফলে ইলেকট্রিক্যাল রেগুলেটর ব্যবহার করলে ফ্যানের গতি কম-বেশির সাথে রেগুলেটর লস যথাক্রমে বেশি ও কম হয় ফলে বৈদ্যুতিক পাখার গতি যাই হোক, বিদ্যুৎ খরচ প্রায় একই হয়।

অন্যদিকে ইলেকট্রনিক রেগুলেটর তৈরি হয় থাইরিস্টর জাতীয় ইলেকট্রনিক সুইচিং ডিভাইস দিয়ে। এতে অপ্রয়োজনীয় উত্তাপের পরিমাণ অত্যন্ত নগন্য থাকায় রেগুলেটর লস হয় না বললেই চলে। ফলে বৈদ্যুতিক পাখার গতি কমালে বিদ্যুৎ খরচ কমে এবং পাখার গতি বাড়ালে বিদ্যুৎ খরচ বাড়ে। তাই ইলেকট্রনিক রেগুলেটর ব্যবহার করলে ফ্যানের গতি কম হলে বিদ্যুৎ খরচও কম হয় ।

ভোল্টামিটার এবং অ্যামমিটারকে বর্তনীতে কিভাবে যুক্ত করা হয় ?

তড়িৎ বর্তনীর যে দুটি বিন্দুর বিভব প্রভেদ মাপতে হবে সেই দুটি বিন্দুর সঙ্গে ভোল্টামিটারকে সমান্তরাল সমবায়ে যুক্ত করা হয় । আবার কোনো তড়িৎ বর্তনীর প্রবাহমাত্রা পরিমাপ করতে অ্যামমিটারকে তড়িৎবর্তনীতে শ্রেণি সমবায়ে যুক্ত করা হয় ।

আমিটারকে বর্তনীর সাথে সিরিজে এবং ভোল্টমিটারকে প্যারালালে সংযুক্ত করতে হয়।

ট্রাঞ্জডিউসার ও সেন্সরের মধ্যে পার্থক্য কি?

Transducer – ইহার Output সাধারনত Analog হয়। ইহা দ্বারা সাধারনত কোন কিছুর চাপ বা Pressure নির্নয় করা হয়। ইহার Output সাধারনত – 0 – 10V, 0 – 20mah হয়।
গঠন : ইহার ভিতরে Coil যুক্ত ডায়াফ্রাম থাকে একটি গোলাকার Iron বা Magnet দন্ডের চারপাশে মিলে, অর্থাৎ গোলাকার দন্ডের মধ্যে।
চাপ বা Pressure এর মাধ্যমে উক্ত ডায়াফ্রাম Core এর মধ্যে Up – Down করে Coil এর মধ্যে দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহের তারতম্য ঘটায়। ঐ বিদ্যুৎ প্রবাহের তারতম্য Calculation করে Output নির্ধারণ করা হয়।

আর সাধারন Sensor দ্বারা Digital Output পাওয়া যায়।
আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

যে সকল ডিভাইস এক প্রকার শক্তিকে আরেক প্রকার শক্তিতে রুপান্তর করে তাহাই ট্রান্সডিউসার।

আর ট্রাসডিউসারকে যখন বিশেষ উদ্দেশ্যে তৈরি কোন যন্ত্রের সহায়ক হিসেবে ব্যবহার করা হয় তখ তাকে ঐ যন্ত্রের সেন্সর বলা হয়।

এ্যামপিয়ার টার্ন কি?

ম্যাগনেটিক সার্কিটের তারের পেঁচ ও প্রবাহিত কারেন্টের গুণফলকে এ্যামপিয়ার টার্ন বলে। এটি ম্যাগনেটো মোটিভ ফোর্স বা এম.এম.এফ. এর একক।

এ্যামপিয়ার টার্ন AT, কারেন্ট I এবং তারের পেঁচ সংখ্যা N হলে,

AT = IN

রিল্যাকট্যান্স কি?

ম্যাগনেটিক ফ্লাক্স পথের বাধাকে রিল্যাকট্যান্স বলে।

এটি ইলেকট্রিক সার্কিটের রেজিস্ট্যান্সের মত। এর প্রতীক R এবং একক এ্যামপিয়ার টার্ন/ওয়েবার।

দৈর্ঘ্য L, এ্যাবসলিউট পারমিয়্যাবিলিটি µ, ভ্যাকুয়ামে এ্যাবসলিউট পারমিয়্যাবিলিটি µ০ ক্ষেত্রফল A হলে,

R = L/µ0µA

ইলেকট্রো স্ট্যাটিক ফিল্ড কি?

যে স্থানে একটি একক চার্জ যে বল অনুভব করে তাকে ইলেকট্রো স্ট্যাটিক ফিল্ড বলে।

বৈদ্যুতিক বল রেখার বৈশিষ্ট্য কি?

১. বৈদ্যুতিক বল রেখা পজেটিভ চার্জ হতে বের হয়ে নেগেটিভ চার্জে শেষ হয়।
২. বল রেখাগুলো খোলা ও বক্র।
৩. বল রেখাগুলো পরস্পরকে কখনও ছেদ করে না।
৪. বল রেখাগুলো দৈর্ঘ্য বরাবর সংকুচিত হয়।
৫. বল রেখাগুলো পরস্পরের উপর পার্শ্ব চাপ দেয়।

**ওহমের সূত্র:- স্থির তাপমাত্রায় কোন সার্কিটের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত কারেন্ট ঐ সার্কিটের দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্যের সমানুপাতিক অর্থাৎ V∞I  বা  V=IR ।

**কারেন্ট:- পরিবাহির মধ্যদিয়ে ইলেক্ট্রনের প্রবাহকে বলা হয় কারেন্ট ।কারেন্টের একক অ্যাম্পিয়ার সংক্ষেপে Amp বা A দ্বারা প্রকাশ করা হয়।

**ভোল্টেজ:- ইলেক্ট্রন গুলোকে স্থানচুত্য করার জন্য প্রয়োজনীয় চাপকে ভোল্টেজ বলা হয় । ভোল্টেজের একক ভোল্ট Volt বা V।

**রেজিস্টেন্স:- কোন পরিবাহির মধ্য দিয়ে কারেন্ট বা ভোল্টেজ চলাচলে যে বাধা প্রাপ্ত হয় তাই রেজিস্টেন্স, সার্কিটের মধ্যে রেজিস্টর ব্যবহার করা হয় প্রয়োজনীয় বাধা দানের জন্য। রেজিস্টেন্সের একক ওহম(Ω)  দ্বারা প্রকাশ করা হয় ।

**এসি(AC): অলটারনেটিং করেন্ট।

**ডিসি(DC):ডাইরেক্ট কারেন্ট।

**ফ্রিকুয়েন্সি:- কোন পরিবর্তনশীল রাশি প্রতি সেকেন্ট যতগুলি সাইকেল সম্পন্ন করে তাকে ফ্রিকুয়েন্সি বলে ।

**পাওয়ার ফ্যাক্টর:- অল্টারনেটিং কারেন্ট এবং ভোল্টেজ এর মধ্যবর্তী ফেইজ অ্যাংঙ্গেল এর Cosine মানকে পাওয়ার ফ্যাক্টর বলে অথবা এসি সার্কিটের Active Power ও Apparent Power এর অনুপাতকে পাওয়ার ফ্যাক্টর বলে ।

**করোনা কি:- যখন দুইটি কন্ডাক্টরের স্পেসিং  ব্যাসের তুলনায় বেশী অবস্থায় রেখে তাদের আড়াআড়ি এসি ভোল্টেজ প্রয়োগ করে ধীরে ধীরে বৃদ্ধি করা হয় তখন এক বিশেষ পর্যায়ে কন্ডাক্টরের চার পার্শের বাতাস আয়নিত হয় এবং বাতাসের ইনসুলেশন স্ট্রেস ভেঙ্গে যায় । এই অবস্থায় কন্ডাক্টর  এর চারিদিকে হালকা অনুজ্জ্বল বেগুনী রশ্মী দেখা দেয়, হিস হিস শব্দ হয় এবং ওজন গ্যাসের সৃষ্টি হয় এই ঘটনাকেই করোনা বলা হয় ।

**স্কিন ইফেক্ট কি:- এসি বিদ্যুৎ প্রবাহ কোন পরিবাহীর মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় পরিবাহীর ভিতরে প্রবেশ না করে যে ধর্মের জন্য পরিবাহীর উপরিতল দিয়ে প্রবাহিত হয় বা হওয়ার চেস্টা করে তাকে স্কিন ইফেক্ট বলে।

স্কিন ইফেক্ট তিনটি বিষয়ের উপর নির্ভরশীল :

*কন্ডাক্টর পদার্থের গুনাবলীর উপর ।

*কন্ডাক্টরের ব্যাসের উপর।

*ফ্রিকুয়েন্সির উপর।

**Puncture voltage:- যে ভোল্টেজে এ ইনসুলেটরের এর ইনসুলেসন সম্পূর্ণ ভেঙ্গে ফেলতে পারে তাকে Puncture voltage বলে ।

**Flash over voltage:- যদি পরিবাহিতে ভোল্টেজ বাড়ানো হয় এবং তা বাতাসে নস্ট হয়ে যায় এবং প্রচন্ড বিদ্যুৎ জলকের সৃষ্টি হয় তখন এই ভোল্টেজকে Flash over voltage বলা হয় ।

**সেগ বলতে কি বুঝায়:- দুইটি টাওয়ার বা পোলের যেই বিন্দুতে তার টানা বা সংযোগ করা হয় সেই বিন্দু দুইটির সংযোজনকারী আনুভূমিক কাল্পনিক রেখা হতে তারের সর্বোচ্চ ঝুলে পড়া বিন্দু পর্যন্ত দুরত্বকে সেগ বলা হয় ।

**সেফটি ফেক্টর:- আলটিমেট বা Breaking stress বা Working stress এর অনুপাতকে সেফটি ফেক্টর বলে বলা হয় ।

**ত্রি ফেইজ মোটর উল্টা ঘূর্নণ পদ্ধতি কিভাবে করা হয়:- ত্রি ফেইজ মোটরের তিনটি ফেইজের যে কোন দুইটি ফেইজ পাল্টিয়ে দিলে মোটর উল্টা ঘুরবে ।

**ট্রান্সফরমার কি ধরনের ডিভাইস:- ট্রান্সফরমার  একটি ইলেক্ট্রোমেগনেটিক ডিভাইস।

**ট্রান্সফরমার  ওয়েলের বাণিজ্যিক নাম কি:- পাইরাণল(pyranol)।

**স্টেপ আপ ট্রান্সফরমারের কোন পাশে তারের প্যাচঁ সংখ্যা বেশি থাকে:- সেকেন্ডারিতে।

**ট্রান্সফরমারের ব্রীদারের কাজ কি:- শুস্ক বাতাস ট্যাংকে প্রবেশ করানো ট্রান্সফরমারের ব্রীদারের কাজ ।

**ব্রীদারে শুস্ক বাতাস পরিবহনের জন্য তথা আদ্রতা মুক্ত

collected from study.bd site

কোন মন্তব্য নেই: