পৃষ্ঠাসমূহ

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

Follow Us @soratemplates

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

অবদানকারী

বুধবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০১৯

রিলে

৫:৪২ PM 0 Comments

টপিকঃ রিলে
রিলে এমন একটি স্বয়ংক্রিয় ডিভাইস, যা বৈদ্যুতিক বর্তনীতে পূর্বনির্ধারিত কোন বৈদ্যুতিক শর্তের পরিবর্তনে সাড়া দেয় এবং প্রতিরক্ষার জন্য বর্তনীতে সংযুক্ত অন্যান্য রক্ষাপদ ডিভাইসগুলোকে কাজ করতে সাহায্য করে। যেমনঃ সার্কিট ব্রেকার সার্কিটকে বিযুক্ত করে রক্ষা করে। বৈদ্যুতিক শর্তের পরিবর্তনে বলতে সার্কিটের নির্ধারিত ভোল্টেজ, কারেন্ট, ফেজ, ফ্রিকুয়েন্সি, তাপমাত্রা, বিদ্যুৎ প্রবাহের দিক ইত্যাদির পরিবর্তনকে বুঝায়। রিলেকে সংক্ষেপে ইলেকট্রো-ম্যাগনেটও বলা হয়।
প্রকৃতপক্ষে, সার্কিট ব্রেকার ও কারেন্ট ট্রান্সফর্মার-এর মধ্যস্থলে রিলে অবস্থান করে। সিস্টেমের প্রতিটি ত্রুটির দিকে সর্বদা রিলেকে সাজাগ থাকতে হয় বিধায় ইহাকে ‘অতন্দ্রপ্রহরী’ বা ’নীরব প্রহরী’ বলা হয়ে ‍থাকে।
রিলে ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তাঃ
পর্যপ্ত পরিমাণে প্রটেকশনের অভাবে ছোটখাটো ত্রুটির বৃহদাকার ত্রুটির রূপ নিতে পারে। যেমন- মটরের থার্মাল ওভারলোড প্রটেকশনের ব্যবস্থা থাকলে ওভার লোডিং হতে রক্ষা পেতে পারে, তাছাড়া ওভার ভোল্টেজ, ওভার কারেন্ট ইত্যাদির হাত থেকেও মটর ও অন্যান্য সরঞ্জামাদিকে রক্ষা করা যায়। যদি মটর ও অন্যান্য যন্ত্রাপাতি নষ্ট হয়ে যায় তবে এর মেরামতে বা পরিবর্তনে খরচ ও সময় বেশি লাগে।
কাজেই বিভিন্ন ধরনের রিলে ব্যবহার করে যন্ত্রপাতি ও মটর এর ত্রুটির কারনে ক্ষতি কম হবে এবং ত্রুটি দূর করতে খরচ ও সময় কম ব্যয় হবে, ফলে উৎপাদন বেশি হবে। কাজেই প্রটেকটিভ রিলে ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরী।
রিলে ব্যবহারের সুবিধাঃ
• বৈদ্যুতিক সিস্টেমের যেকোন অংশের ত্রুটি দেখা দিলে রিলে অপারেশনের কারনে অতি দ্রুত ঐ ত্রুটিযুক্ত অংশকে সাপ্লাই হতে বিচ্ছিন্ন করা যায়।
• বৈদ্যুতিক সিস্টেমের কোন অংশে ত্রুটি দেখা দিয়েছে তা জানা যায়।
• কোন ধরনের ত্রুটি হয়েছে তা রিলে অপারেশনের মাধ্যমে জানা যায়।
গঠন অনুসারে রিলের নাম নিন্মে দেওয়া হলঃ
• সলিনয়েড অ্যাড প্লাঞ্জার টাইপ
• পোলারাইজ টাইপ
• ব্যালেন্সড বীম টাইপ
• রেকটিফায়ার টাইপ
• শেডেড পোল টাইপ
• ওয়াট আওয়ার মিটার টাইপ
• বাই মেটালিক স্ট্রীপ টাইপ
• থার্মোকাপল টাইপ
• ইলেকট্রনিক্স টাইপ
• গ্যাস প্রেসার টাইপ
• রোটেটিং টাইপ
• স্থির টাইপ
পরিচালনার মূলনীতি অনুসারে রিলের নাম নিন্মে দেওয়া হলঃ
• অ্যাট্রাকটেড আর্মেচার টাইপ রিলে, এটি ( ইলেকট্রোম্যাগনেটিক অ্যাট্রাকশনে কাজ করে ),
• মুভিং কয়েল টাইপ রিলে,
• ইন্ডাকশন টাইপ রিলে। এটি ( ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ইন্ডাকশনে কাজ করে ),
• থার্মাল রিলে
• ডিফারেনশিয়াল রিলে
• ডিরেকশনাল পাওয়ার রিভার্স বা পাওয়ার রিলে
• ডিরেকশনাল ওভার- কারেন্ট রিলে
• আন্ডারভোল্টেজ, আন্ডারকারেন্ট অ্যান্ড আন্ডারপাওয়ার রিলে
• ওভারভোল্টেজ, ওভারকারেন্ট অ্যান্ড ওভারপাওয়ার রিলে
• বুখলজ রিলে
• রেকটিফায়ার রিলে
• স্ট্যাটিক রিলে
সময়ের ভিত্তিতে রিলের নামঃ
• ইনস্ট্যানটেনিয়াস টাইপ রিলে
• টাইম ডিলে রিলে
• গ্রেডেড টাইম প্রটেকশন টাইপ রিলে
• ইনভার্স টাইম ল্যাগ রিলে
• ডেফিনেট টাইম ল্যাগ রিলে
• ইনভার্স ডেফিনেট মিনিমাম টাইপ ল্যাগ রিলে
ব্যবহার অনুযায়ী রিলেন নামঃ
• ওভারভোল্টেজ, ওভারকারেন্ট, ওভারপাওয়ার রিলে
• আন্ডারভোল্টেজ, আন্ডারকারেন্ট, আন্ডারপাওয়ার রিলে
• ওভারফ্রিকুয়েন্সি, আন্ডারফ্রিকুয়েন্সি রিলে
• ওভারলোড রিলে
• রিভার্স পাওয়ার রিলে
• সেনসিটিভ রিলে
• ডিসট্যান্স রিলে
• ইনস্ট্যানটেনিয়াস রিলে
• আর্থিং রিলে

সোমবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০১৯

ইগনিশন সিস্টেম

৯:২৯ PM 0 Comments

বিভাগঃ ইউটিলিটি  & পাওয়ার প্লান্ট।

বিষয়ঃ ইগনিশন সিস্টেম ( গ্যাস এবং পেট্রোল  জেনারেটর)।

আজকে আলোচনার বিষয় হল ইগনিশন সিস্টেম।

তার আগে এই গ্রুপে এবং আমার ফেন্ডস লিষ্টে যে সকল  সিনিয়র ভাই এবং স্যার আছেন। তাদের  কাছে বিশেষ ভাবে আমার  অনুরোধ রইল।
আমরা যারা  বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন কর্মস্থলে আছি। আমরা যেন সবাই নিজের কর্মস্থলের  কিছু দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা নিজ নিজ অবস্থান থেকে নবীনদের মাঝে শেয়ার করি।
হয়তো আমাদের ইচ্ছে থাকার সত্যেও নবীনদের জন্য চাকুরী বা কর্মস্থানের ব্যবস্থা করতে পারি না।
নবীনদের জন্য কর্মস্থানের ব্যবস্থা না করতে পারলেও আমাদের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা  শেয়ারের মাধ্যমে  নবীনরা কিছুটা হলেও নিজেদেরকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারবে।

ইগনিশন সিস্টেমঃ
যে পদ্ধতিতে  মিশ্রন(বায়ু +গ্যাস/পেট্রোল) কে প্রজ্জ্বলিত করার জন্য হাই ভোল্টেজ দরকার হয়। এবং হাই ভোল্টেজের সাহায্যে  জ্বালানি মিশ্রনকে প্রজ্জ্বলিত করা হয়। তাকে ইগনিশন সিস্টেম বলে।
ইগনিশন সিস্টেমের কাজ ও মূলনীতিঃ
কম্বাসশন চেম্বারে জ্বালানি মিশ্রনকে কম্প্রেশন স্ট্রোকে সংকুচিত করে দহনের জন্য প্রস্তুত করা হয়। কিন্তু নিজে প্রজ্জ্বলিত হতে পারে না।তাই এই সময় স্পার্ক প্লাগের মাধ্যমে হাই ভোল্টেজ দিয়ে জ্বালানি মিশ্রনকে  দহন করা হয়।পিস্টন TDC তে পৌঁছানোর কয়েক ডিগ্রি পুর্বেই স্পার্কিং ঘটে।
এইভাবে প্রতিবার সংকোচনের শেষেই স্পার্ক ঘটতে থাকে।

আমরা জানি, মাইকেল ফ্যারাডের ইলেকট্রো ম্যাগনেটিক  ইন্ডাকশন নীতি অনুযায়ী, যখন কোন পরিবাহী এবং চুম্বক ক্ষেত্রের মধ্যে আপেক্ষিক গতি থাকে তখন  পরিবাহীতে ভোল্টেজ তৈরি হয়।
সুতারাং মাইকেল ফ্যারাডের ইলেকট্রো ম্যাগনেটিক  ইন্ডাকশন নীতি প্রয়োগ করেই ইগনিশন সিস্টেমের সাহায্যে হাই ভোল্টেজ স্পার্ক উৎপন্ন করা হয়।

ইগনিশন সিস্টেমের প্রকারভেদঃ

প্রধানত দুই প্রকার।
(১) ব্যাটারী কয়েল ইগনিশন সিস্টেম।
(২) ম্যাগনেটো ইগনিশন সিস্টেম।

ব্যাটারী কয়েল ইগনিশন সিস্টেম আবার দুই প্রকার।
(ক) কনভেনশনাল ব্যাটারী  সিস্টেম।
(খ) ইলেকট্রনিক  ইগনিশন সিস্টেম।

(২)ম্যাগনেটো ইগনিশন সিস্টেম আবার তিন প্রকার।
(ক) মুভিং কয়েল টাইপ
(খ) মুভিং ম্যাগনেট টাইপ
(গ)পোলার ইন্ডাক্টর টাইপ।

সাধারণত কনভেনশনাল ব্যাটারী টাইপ সিস্টেম ব্যবহার বেশি প্রচলিত।
তাই নিম্নে কনভেনশনাল ব্যাটারী টাইপ সিস্টেম নিয়ে আলোচনা করা হলো।

কনভেনশনাল ব্যাটারী টাইপ সিস্টেমঃ
এই পদ্ধতিতে সাধারনত দুটি সার্কিট থাকে।
(১) প্রাইমারি সার্কিট

যে সব অংশ নিয়ে প্রাইমারি সার্কিট গঠিত
(ক) ব্যাটারী
(খ) ইগনিশন সুইচ
(গ) ইগনিশন কয়েল প্রাইমারী ওয়ান্ডিং
(ঘ) কন্ট্রাটর ব্রেকার পয়েন্ট এবং কনডেন্সার

(২)সেকেন্ডারি সার্কিট

যে সব অংশ নিয়ে সেকেন্ডারি  সার্কিট গঠিত।
(ক) কয়েলের সেকেন্ডারি ওয়ান্ডিং
(খ) রোটর
(গ) ডিষ্ট্রিবিউর ক্যাপ
(ঘ) স্পার্ক প্লাগ

ইগনিশন সুইচ  ON করলে কন্ট্রক্ট ব্রেকার পয়েন্ট যখন OFF অবস্থায় থাকে তখন পাইমারি সার্কিটের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়। ফলে কয়েলের  মধ্যে  ম্যাগনেটিক ফিল্ড  তৈরি হয়।
যখন ডিষ্ট্রিবিউর শ্যাফটের ক্যাম দিয়ে কন্ট্রাক্ট  ব্রেকার পয়েন্ট খুলে যায়। তখন কয়েলের ম্যাগনেটিক ফিল্ড  নিস্তেজ হয়ে যায়।
ফলে প্রাইমারী কয়েলের  মধ্যস্হ ইনডিউসড কারেন্ট ব্যাটারীর কারেন্টের সাথে একই দিকে  প্রবাহিত হয়ে কনডেন্সারকে চার্জ করে।
এবং প্রাইমারী কয়েলে ২৫০ -৩০০ ভোল্ট উৎপন্ন হয়।
সাধারণত ইগনিশন কয়েলের ওয়ান্ডিং প্যাচ, প্রাইমারী ওয়ান্ডিং থেকে সেকেন্ডারি ওয়ান্ডিং এর প্যাআ বেশি থাকে।
(প্রাইমারী ওয়ান্ডিং ঃ সেকেন্ডারি ওয়ান্ডিং) =(১ ঃ ১০০)।
ম্যাগনেটিক ফিল্ড নিস্তেজ হওয়ার সময় বলরেখাগুলো সেকেন্ডারি ওয়ান্ডিং কে কর্তন করে।এতে সেকেন্ডারি ওয়ান্ডিং এ ১০০ গুন বেশি ভোল্টেজ উৎপাদিত হয়।
(ইগনিশন কয়েল একটি বিশেষ ধরনের ট্রান্সফরমার হিসেবে প্রাইমারি সার্কিটের লো ভোল্টেজে সেকেন্ডারি সার্কিটে হাই ভোল্টেজে রুপান্তর করে)।
সেকেন্ডারি ওয়ান্ডিং এ উৎপাদিত হাই ভোল্টেজ (২৫০০০ -৩০০০০ ভোল্ট)  হাই টেনশন ক্যাবলের  মাধ্যমে ডিস্ট্রিবিউর ক্যাপে যায়।সেখান থেকে রোটর হয়ে ইঞ্জিনের ফায়ারিং অর্ডার অনুযায়ী বিভিন্ন সিলিন্ডারের স্পার্ক প্লাগে চলে যায়।

সময়ের অভাবে ইগনিশন সিস্টেম সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরতে পারলাম না।পরবর্তী পোষ্টে আরো বিস্তারিত আলোচনা নিয়ে হাজির হব।

    লোকমান হোসেন
   ইঞ্জিনিয়ার (ইউটিলিটি & পাওয়ার প্লান্ট)
   নোমান গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিস।

টাইমার

৫:২৬ PM 0 Comments

Timer,,,,,,,

টাইমার এমন এক প্রকার সুইচিং ডিভাইস যে ডিভাইসের মাধ্যমে ইচ্ছা মত টাইম সেট করে ছোট বড় অনেক সার্কিটকে চালু বা বন্ধ করা যায়। টাইমার বিভিন্ন পিনের হয়ে থাকে যেমন ৫ পিন, ৮ পিন, ১১ পিন এবং ১৪ পিন ইত্যাদি এটা বিভিন্ন ভোল্টেজেরও হয়ে থাকে যেমন AC/DC12V, AC/DC24V, AC/DC48V, AC/DC110V এবং AC220V ইত্যাদি। যত পিনেই থাকুক এর ২টি পিন থাকবে কয়েল ভোল্টেজের জন্যে অন্য পিন গুলি থাকবে NO এবং NC হিসাবে। এখানে NO= Normally Open, NC= Normally Closed বুঝানো হয়েছে। কাজ করার সময় একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে তা হচ্ছে কোন টাইমারটি কোন কাজে ব্যবহার করব।

কিছু টাইমার এমন থাকে পাওয়ার দেওয়ার সাথে সাথে টাইমারের অর্ধেক অংশ বা কিছু পিন রীলের মত কাজ করে যেমন NO থাকলে তা NC তে আর NC থাকলে তা NO তে পরিবর্তন হয়ে যায় অন্য অংশ টুকু বা অন্য পিন গুলি সেটিং টাইম অনুযায়ী কাজ করে। টাইম ৩ ভাবে সেটিং করা যায় ১) সেকেন্ডে(০-৬০) ২) মিনিটে(০-৬০) ৩) ঘন্টায়(০-২৪)। এবার বহুল ব্যবহার হয় এমন কিছু টাইমারের বর্ণনা দিব বা জানব।

১) On Delay Timer
(দেরি বা বিলম্ব করে চালু হওয়া): এই প্রকার টাইমারে পাওয়ার দেওয়ার সাথে সাথে টাইম গননা শুরু করে দেয় এবং তা শেষ হয় সেটিং টাইমের সমান হলে। তার মানে সেটিং টাইমের সমান হওয়া মাত্র টাইমারটি চালু হয়ে যাবে এবং পাওয়ার অফ করার সাথে সাথে এটি বন্ধ হয়ে যায়। টাইমার চালু হওয়ার আগে NO এবং NC যে অবস্থায় থাকে চালু হলে তা পরিবর্তন হয়ে NO থেকে NC এবং NC থেকে NO তে যায় আবার পাওয়ার বন্ধ করার সাথে সাথে পূর্বের অবস্থায় চলে যায়। এই ধরনের টাইমার বেশির ভাগ সময় স্টার-ডেল্টা ও ATS (Automatic Transfer Switch) অথবা একের অধিক পাওয়ার কন্ট্রোলিং সার্কিটে ব্যবহার করা হয়।

২) Off Delay Timer
(দেরি বা বিলম্ব করে বন্ধ হওয়া): এই টাইমারের আচরন On Delay Timer এর উল্টা যেমন টাইমারে পাওয়ার দেওয়ার সাথে সাথে এটি চালু হয়ে যাবে কিন্তু পাওয়ার বন্ধ করার সাথে সাথে টাইমার বন্ধ হবেনা সেটিং টাইম অনুযায়ী কিছু সময় পর বন্ধ হবে। টাইমারে পাওয়ার দিলে NO হয়ে যাবে NC আর NC হয়ে যাবে NO এবং টাইমার বন্ধ হলে পূর্বের অবস্থায় পিরে যাবে। এই ধরনের টাইমার বেশির ভাগ সময় ATS (Automatic Transfer Switch) অথবা একের অধিক পাওয়ার কন্ট্রোলিং সার্কিটে ব্যবহার করা হয়।

৩) Twin Timer
(যমজ বা অন/অফ টাইমার): এই টাইমারের আচরন প্রায় আগের দুইটির সমন্নয়ে গঠিত। এক সাথে দুইটি কাজ করতে পারে টাইমারটি, যেমন টাইমারে পাওয়ার দেওয়ার সাথে সাথে সেটিং টাইম অনুযায়ী কিছু সময় পর চালু হবে আবার সেটিং টাইম অনুযায়ী কিছু সময় পর বন্ধ হয়ে যাবে। এই অন অফের খেলার সাথে সাথে টাইমারও তার রুপ চেইঞ্জ করে। টাইমারের NO এবং NC চালু হবার পর NC এবং NO হয়ে যাবে এবং বন্ধ হবার সাথে সাথে আগের অবস্থায় পিরে যাবে। এই ধরনের টাইমার বেশির ভাগ সময় ট্রাফিক সিগন্যালে ব্যবহার করা হয়।

Solenoid Valve

৭:৩০ AM 0 Comments

ইন্ডাস্ট্রি তে বহুল ব্যবহৃত এই ডিভাইস এর নাম Solenoid Valve. এটি অনেকটা রিলে এর মতই কাজ করে। এই ভালভ এর মাধ্যমে সাধারণত হাওয়ার লাইন (air flow) নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এর ইনপুট একটি(number: 2) যেখানে হওয়া এর ইনপুট লাগানো থাকে। আউটপুট ২ টি। একটি NO (normally open,  number :3) অপরটি NC (normally close,number  :4). এর একটি কয়েল আছে(number :1)। কয়েল ভোল্টেজ বিভিন্ন রকম হতে পারে (A.C 220,110,36,24 V or D.C 24,12 V)। কয়েল ভোল্টেজ দেওয়ার পর ভালভ এর NO, NC হয়ে যার।,আর NC,  NO হয়ে যায়।
অথ্যাৎ ইনপুট এর হাওয়া দিলে তা  NO দিয়ে আউটপুট দেবে।কয়েল ভোল্টেজ পাওয়ার পর NC দিয়ে আউটপুট বের হবে এবং NO দিয়ে আউটপুট বের হওয়া বন্ধ হবে।
কয়েল ভোল্টেজ না দিয়ে ও ডিভাইসটি ভাল আছে কিনা চেক করার জন্য একটি ম্যানুয়াল সুইচ আছে (number :5)। 

Note : ইনপুট আউটপুট কম বেশি হয়ে পারে।এটি নির্ভর করে মেশিনের প্রয়োজন এবং manufacturing company এর উপর।

বুধবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০১৯

ওয়্যারিং কত প্রকার

৬:৫৫ AM 0 Comments

ওয়্যারিং প্রধানত ২ প্রকার যথা:
১। ইনডোর ওয়্যারিং→এটি আবার ছয় প্রকার :
             ১।কনসিল্ড কন্ডুইট ওয়্যারিং
             ২। সারফেস কন্ডুইট ওয়্যারিং
             ৩। চ্যানেল ওয়্যারিং
             ৪। ব্যাটেন ওয়্যারি
             ৫।ক্লীট ওয়্যারিং
             ৬। কেস ওয়্যারিং
২।আউটডোর ওয়্যারিং→এটি আবার  দুই প্রকার:
                ১। ওভারহেড ওয়্যারিং
                ২। আন্ডার গ্রাউন্ড ওয়্যারিং

IQ

৪:০৫ AM 0 Comments

HMI=Human Machine Interface

FACP=Fire Alarm Control Panel

CWP=Centralized Warning Panel

LCD=Liquid Crystal Display

রবিবার, ২০ জানুয়ারী, ২০১৯

বেসিক ইলেকট্রনিকা্র

৫:০২ PM 0 Comments

বেসিক ইলেকট্রনিক্স (৬৮১১)
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নঃ
১।    সোল্ডারিং বলতে কি বোঝ? এতে ব্যবহৃত উপাদান সমূহ কি কি ও এদের অনুপাত কত?

উত্তরঃ যে পদ্ধতিতে দুই বা ততোধিক ধাতব পদার্থ সংযুক্ত বা একত্রিত করা হয় তাকে সোল্ডারিং বলে। এতে ব্যবহৃত     উপাদান সমূহ হচ্ছে সীসা ও টিন, এদের অনুপাত ৪০ঃ৬০।

২।    সোল্ডারিং এর সময় রজন ব্যবহার করা হয় কেন বা এর সুবিধা কি?

উত্তরঃ সংযোগস্থল ভালভাবে পরিষ্কার এবং মজবুত করার জন্য সোল্ডারিং এর সময় রজন ব্যবহার করা হয়।

৩।    রেজিস্টর কি? বিভিন্ন ধরনের রেজিস্টরের নাম লিখ।

উত্তরঃ ইলেকট্রিকাল ও ইলেকট্রনিক্স সার্কিটে কারেন্ট প্রবাহকে সীমিত  রাখার জন্য এবং কারেন্ট প্রবাহের পথে বাথা দেয়ার     জন্য যে উপাদান ব্যবহার করা হয় তাকে রেজিস্টর বা রোধক বলে।
বিভিন্ন ধরনের রেজিস্টর: কার্বন রেজিস্টর, ওয়্যারউন্ড রেজিস্টর, সিরামিক রেজিস্টর, ফিল্ম টাইপ রেজিস্টর ইত্যাদি।

৪।    কালার কোড পদ্ধতি কি? বিভিন্ন রং এর মান লিখ।

উত্তরঃ রেজিস্টরের গায়ের রং দেখে রেজিস্টরের মান নির্নয় করার পদ্ধতিকে কালার কোড পদ্ধতি বলে।

বিভিন্ন রং এর মানঃ  কালো ০,  বাদামী = ১,  লাল = ২,  কমলা = ৩,  হলুদ = ৪,  সবুজ = ৫,  নীল = ৬, বেগুনী = ৭,       ধূসর = ৮, সাদা = ৯, সোনালী  =   ৫%, রুপালী =   ১০%, নো কালার =   ২০%।

৫।    রেজিস্টেন্স, ক্যাপাসিটেন্স ও কন্ডাকটেন্স বরতে কি বুঝ?

উত্তরঃ রেজিস্টেন্স: রেজিস্টর যে ধর্মের কারনে বাধা প্রদান করে সেই ধর্মকে রেজিস্টেন্স বলে।

ক্যাপাসিটেন্স: ক্যাপাসিটরের যে বৈশিষ্টের কারনে চার্জ সঞ্চয় বা ধারন করে তাকে ক্যাপাসিটেন্স বলে।

কন্ডাকটেন্স: কন্ডাকটর যে বৈশিষ্টের কারনে এর মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহ করে তাকে কন্ডাকটেন্স বলে।

৬।    টলারেন্স ব্যান্ড বলতে কি বোঝ?

উত্তরঃ কোন রেজিস্টরের শেষ কালার বা ব্যান্ডকে টলারেন্স ব্যান্ড বলে। যা রেজিস্টরের মানের ভারসম্য রক্ষা করে।

৭।    ইলেকট্রনিক্স কাজে কোন রেজিস্টর বেশি ব্যবহৃত হয়?

উত্তরঃ ইলেকট্রনিক্স কাজে কার্বন রেজিস্টর বেশি ব্যবহৃত হয়।

৮।    কন্ডাক্টর, সেমিকন্ডাক্টর ও ইনসুলেটর বলতে কি বোঝ?
উত্তরঃ কন্ডাক্টর: যে পদার্থের ভ্যলেন্স ইলেকট্রন সংখ্যা ৪ এর কম তাকে কন্ডাকটর বলে।
সেমিকন্ডাক্টর: যে পদার্থের ভ্যলেন্স ইলেকট্রন সংখ্যা ৪ টি তাকে সেমিকন্ডাক্টর বলে।
ইনসুলেটর: যে পদার্থের ভ্যালেন্স ইলেকট্রন সংখ্যা ৪ এর বেশি তাকে ইনসুলেটর বলে।
৯।    ত্রিযোজি ও পঞ্চযোজি মৌল কি? কয়েটির নাম লিখ।

উত্তরঃ ত্রিযোজি মৌল: যে মৌলের যোজনী সংখ্যা ৩টি তাকে ত্রিযোজি মৌল বলে।
যেমন: গ্যালিয়াম, ইন্ডিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম, বোরন ইত্যাদি।

পঞ্চযোজি মৌল: যে মৌলের যোজনী সংখ্যা ৫টি তাকে পঞ্চযোজি মৌল বলে।
যেমন: আর্সেনিক, অ্যান্টিমনি, ফসফরাস ইত্যাদি।

১০।    জার্মেনিয়ামের চেয়ে সিলিকন বেশি ব্যবহৃত হয় কেন?

উত্তরঃ  জার্মেনিয়ামের চেয়ে সিলিকন বেশি ব্যবহৃত হয় কারণ জার্মেনিয়ামের চেয়ে সিলিকন বেশি  তাপ  সহ্য  করতে  পারে     এবং সিলিকনের দাম কম।

১১।    হোল, ইলেকট্রন ও ডোপিং বলতে কি বোঝ?

উত্তরঃ হোল: হোল বলতে এটমের মধ্যে ইলেকট্রনের ঘাটতি জনিত সৃষ্ট (+) াব চার্জের আধিক্যকে বুঝায়।

ইলেকট্রন: এটি পরমাণুর ক্ষুদ্রতম ও গুরুত্বপূর্ণ কণিকা যা নেগেটিভ চার্জ বহন করে।

ডোপিং: খাঁটি সেমিকন্ডাকটরে ভেজাল মিশ্রিত করে এর পরিবাহীতা বৃদ্ধি করার পদ্ধতি বা কৌশলকে ডোপিং বলে।

১২।    কো-ভ্যালেন্ট বন্ড ও ভ্যালেন্স ইলেকট্রন বলতে কি বোঝ?

উত্তরঃ কো-ভ্যালেন্ট বন্ড: পরমাণুর শেষ কক্ষপাতের ইলেকট্রন সমূহ যে বন্ধনের  মাধ্যমে  একটি  আরেকটির  সাথে  সংযুক্ত     থাকে সেই বন্ধনকে কো-ভ্যালেন্ড বন্ড বলে।

ভ্যালেন্স ইলেকট্রন: পরমাণুর শেষ কক্ষপাতের ইলেকট্রন সমূহকে ভ্যালেন্স ইলেকট্রন বলে।

১৩।    সেমিকন্ডাকটর কত প্রকার ও কি কি ? এদের সংজ্ঞা দাও।

উত্তরঃ সেমিকন্ডাকটর দুই প্রকার। ১) খাঁটি সেমিকন্ডাকটর  ২) ভেজাল সেমিকন্ডাকটর

খাঁটি সেমিকন্ডাক্টর: ডোপিং এর পূর্বে বিশুদ্ধ সেমিকন্ডাকটরকে খাঁটি  (ওহঃৎরহংরপ)  সেমিকন্ডাক্টর বলে।

ভেজাল সেমিকন্ডাকটর: ডোপিং এর পরে ভেজালযুক্ত সেমিকন্ডাকটরকে ভেজাল (ঊীঃৎরহংরপ) সেমিকন্ডাক্টর বলে।

ভেজাল সেমিকন্ডাকটর দুই প্রকার: ১) পি-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর  ২) এন-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর

পি-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর: কোন খাঁটি সেমিকন্ডাকটরের সাথে ভেজাল হিসেবে সামান্য পরিমাণ ত্রিযোজি মৌল যেমন: ইন্ডিয়াম,     গ্যালিয়াম, অ্যালূমিনিয়াম ইত্যাদি মিশ্রিত করা হয় তাকে পি-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর বলে।

এন-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর: কোন খাঁটি সেমিকন্ডাকটরের সাথে ভেজাল হিসেবে সামান্য পরিমাণ পঞ্চযোজী মৌল যেমন:        আর্সেনিক, এন্টিমনি, ফসফরাস ইত্যাদি মিশ্রিত করা হয় তাকে এন-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর বলে।

১৪।     সেমিকন্ডাক্টরের সুবিধা ও অসুবিধা লিখ।
উত্তরঃ সেমিকন্ডাক্টরের সুবিধা:     ১) সেমিকন্ডাক্টরে কম পাওয়ার লস হয়।
২) এর কোন তাপশক্তির প্রয়োজন হয় না।
৩) সেমিকন্ডাকক্টরের আয়ুষ্কাল অনেক বেশি।
৪) এটি দ্বারা তৈরী ডিভাইস খুব ছোট হয়।
৫) এটি ভঙ্গুর নয়।
সেমিকন্ডাক্টরের অসুবিধা:        ১) তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে সেমিকন্ডাকটরের কন্ডাকটিভিটি বৃদ্ধি পায়।
২) তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে কো – ভ্যালেন্ড বন্ড ভেঙ্গে মুক্ত ইলেকট্রনের সৃষ্টি হয়।
৩) তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে রেজিস্ট্যান্স কমে এবং তাপমাত্রা কমলে রেজিস্ট্যান্স বৃদ্ধি                                 পায়।

১৫।    বায়াসিং বলতে কি বোঝ? ইহা কত প্রকার ও কি কি?

উত্তরঃ কোন ট্রানজিস্টরকে সচল করার জন্য বাহির থেকে যে ডি.সি সাপলাই দেয়া হয় তাকে বায়াসিং বলে।

বায়াসিং দুই প্রকার: ১) ফরোয়ার্ড বায়াসিং  ২) রিভার্স বায়াসিং

ফরোয়ার্ড বায়াসিং: ব্যাটারির চ প্রান্ত পজিটিভের সাথে এবং ঘ প্রান্ত নেগিটিভের সাথে যুক্ত করে যে বায়াসিং করা হয় তাকে     ফরোয়ার্ড     বায়াসিং বলে।

রিভার্স বায়াসিং: ব্যাটারির চ প্রান্ত নেগিটিভের সাথে এবং ঘ প্রান্ত পজিটিভের  সাথে যুক্ত  করে  যে  বায়াসিং  করা  হয়      তাকে রিভার্স  বায়াসিং বলে।

১৬।    লিকেজ কারেন্ট বলতে কি বোঝায়?

উত্তরঃ মাইনোরিটি ক্যারিয়ারের জন্য পি-এন জাংশন ডায়োডে যে সামান্ন কারেন্ট প্রবাহিত হয় তাকে লিকেজ কারেন্ট বলে।

১৭।    নী ভোল্টেজ বা অফসেট ভোল্টেজ কাকে বলে?

উত্তরঃ পি-এন জাংশন ডায়োডে ফরোয়ার্ড ভোল্টেজের যে মানে ফরোয়ার্ড কারেন্ট বৃদ্ধি পায় তাকে নী ভোল্টেজ বা অফসেট     ভোল্টেজ বলে।

১৮।    ডিফিউশন ও ডিফিউশন কারেন্ট কাকে বলে?

উত্তরঃ ডিফিউশন: জাংশন ভেদ করে হোল ও ইলেকট্রনের চলাচলের প্রবণতাকে ডিভিউশন বলে।

ডিফিউশন কারেন্ট: ডিভিউশন এর কারণে উচ্চ অঞ্চল থেকে নিু অঞ্চলে সৃষ্ট কারেন্ট প্রবাহকে ডিভিউশন কারেন্ট বলে।

১৯।    ডিপ্লে¬শন লেয়ার কাকে বলে?

উত্তরঃ পি-টাইপ ও এন-টাইপ এর সমন্বয়ে যে ইলেক্টিক ফিল্ড সৃষ্টি করে তাকে ডিপ্লে¬শন লেয়ার বলে।

২০।    ডায়োডের লোড লাইন কাকে বলে?

উত্তরঃ যে ফরোয়ার্ড বৈশিষ্ট রেখার উপর ডায়োডের কারেন্ট ও ভোল্টেজ এর সঠিক মান নির্নয় করা হয় তাকে ডায়োডের     লোড লাইন বলে।

২১।   কুইসেন্ট বিন্দু কাকে বলে?

উত্তরঃ ডায়োডের স্ট্যাটিক বৈশিষ্ট রেখা ও লোড লাইনের ছেদ বিন্দুকেই অপারেটিং বা ছ চড়রহঃ বা কুইসেন্ট বিন্দু  বলে।     এর মাধ্যমে আমরা নির্দিষ্ট লোড রেজিস্টেন্স যে কোন ডায়োডে কি পরিমাণ ভোল্টেজের জন্য কি পরিমাণ কারেন্ট প্রবাহ     হচ্ছে তা জানতে পারি।

২৩।    ফিল্টার সার্কিট কাকে বলে ? উহা কত প্রকার ও কি কি?

উত্তরঃ যে সার্কিটের মাধ্যমে পালসেটিং উঈ কে খাঁটি উঈ তে পরিণত করা হয় তাকে ফিল্টার সার্কিট বলে।

ইহা পাঁচ প্রকারঃ ১) সান্ট ক্যাপাসিটর ফিল্টার  ২) সিরিজ ইন্ডাক্টর ফিল্টার  ৩) ইন্ডাক্টর ও ক্যাপাসিটর ফিল্টার
৪) রেজিস্টেন্স ও ক্যাপাসিটেন্স ফিল্টার          ৫)  ফিল্টার

২৪।    রিপল ও পালসেটিং ডিসি কাকে বলে?

উত্তরঃ রিপল: রেক্টিফায়ারের আউটপুট একমুখী হলেও ইহা (ডধাবভঁষষ) আকৃতিতে থাকে অর্থাৎ এ আউটপুটে উঈ এবং     অঈ উভয় ধরণের কম্পোনেন্ট বিদ্যমান থাকে।

পালসেটিং ডিসি: রেক্টিফায়ারের আউটপুটে যে ডিসি পাওয়া যায় তা সম্পূর্ণ খাঁটি ডিসি নয়, এতে কিছুটা এসির প্রবণতা বা     বৈশিষ্ট থাকে, এসি যুক্ত এ ডিসিকে পালসেটিং ডিসি বলে।

২৫।    জিনার ডায়োড কি? ইহা কোন রিজিয়নে কাজ করে?

উত্তরঃ অত্যাধিক পরিমাণে ডোপিংকৃত সিলিকন দ্বারা তৈরি পি.এন. জাংশন ডায়োড, যা রিভার্স বায়াস প্রয়োগে শার্প ব্রেক     ডাউন ভোল্টেজ প্রদর্শন করে তাকে জিনার ডায়োড বলে। ইহা ব্রেক ডাউন রিজিয়নে কাজ করে।

২৬।    জিনার ডায়োডকে ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার হিসেবে ব্যবহার করা হয় কেন?

উত্তরঃ যদি কোন কারণে লোড কারেন্ট বাড়ে বা কমে তবে জিনার ডায়োড জিনার ক্রিয়ার মাধ্যমে তার কারেন্টকে সম     পরিমাণ কমিয়ে বা বাড়িয়ে স্থির মানে রাখতে পারে বলে একে ভোল্টেজ ষ্ট্যাবিলাইজার হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

২৭।    ডায়াক ও ট্রায়াক এর ব্যবহার লিখ।

উত্তরঃ ট্রায়াকের ব্যবহার:
১)    উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ল্যাম্পের সুইচ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
২)    ইলেক্ট্রনিক সার্কিটের মাধ্যমে ট্রান্সফরমারের ট্যাপ চেঞ্জিং – এ ব্যবহৃত হয়।
৩)    রেডিও এর ইন্টাফারেন্স কমানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।
৪)    মোটরের গতিবেগ নিয়ন্ত্রনে ব্যবহৃত হয়।
৫)    লাইট কন্ট্রোল সার্কিটে ব্যবহৃত হয়।

ডায়াকের ব্যবহার:
১)    ট্রায়াককে ট্রিগারিং করতে ব্যবহৃত হয়।
২)    আলো নি®েপ্রভ সার্কিটে ব্যবহৃত হয়।
৩)    তাপ নিয়ন্ত্রনে ব্যবহৃত হয়।
৪)    ইউনিভার্সাল মটরের গতি নিয়ন্ত্রণ করণে ব্যবহৃত হয়।

২৮।    কয়েকটি বিশেষ ধরনের ডায়োডের প্রতীক ও নাম লিখ।
উত্তরঃ জিনার ডায়োড, টানেল ডায়োড এবং লাইট ইমিটিং ডায়োড। নিুে এদের প্রতীক দেয়া হলো:
জিনার ডায়োড এর প্রতীক:            টানেল ডায়োডের প্রতীক:            লাইট ইমিটিং ডায়োডের প্রতীক:

২৯।    ভ্যারাক্টর ডায়োড কি? ফটো ডায়োডের সেনসিটিভিটি লিখ।

উত্তরঃ ভ্যারাক্টর ডায়োড: পরিমিত ভেজাল মিশ্রিত পি-টাইপ ও এন-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর দ্বারা তৈরী রিভার্স বায়াসে     পরিচালিত, যার জাংশন ক্যাপাসিট্যান্স বায়াস পরিবর্তনের সাথে পরিবর্তিত হয় তাকে ভ্যারাক্টর ডায়োড বলে।

ফটো ডায়োডের সেনসিটিভিটি: আউটপুট কারেন্ট এর সাথে ইনসিডেন্ট লাইট এর অনুপাতকে ফটো ডায়োডের     সেনসিটিভিটি বলা হয়। আউটপুট কারেন্ট ইনসিডেন্ট লাইটের সাথে সুষমভাবে পরিবর্তিত হয়।

৩০।    সোলার সেল এর অপর নাম কি?

উত্তরঃ ফটো ভোল্টেইক সেল এবং এনার্জি কনভার্টার।

৩১।    রেকটিফিকেশন কেন করা হয়?

উত্তরঃ এসিকে বা দ্বিমুখী কারেন্টকে একমুখী কারেন্টে রূপান্তর বা রেকটিফাই করার জন্য রেকটিফিকেশন করা হয়।

৩২।    ঝঈজ কে কত ভাবে ড়হ করা যায়?

উত্তরঃ ঝঈজ কে পাঁচ ভাবে ড়হ করা যায়, যথা:
১)    গেইট ট্রিগারিং পদ্ধতি।
২)    থার্মাল ট্রিগারিং পদ্ধতি।
৩)    রেডিয়েশন ট্রিগারিং পদ্ধতি।
৪)    ভোল্টেজ ট্রিগারিং পদ্ধতি।
৫)      ট্রিগারিং পদ্ধতি।

৩।    সোল্ডারিং আয়রন কি? কত পাওয়ারের সোল্ডারিং আয়রন ইলেকট্রনিক্স কাজে ব্যবহৃত হয়।

উত্তরঃ যাকে উত্তপ্ত করে দুটি পদার্থ একত্রিত করা যায় তাকে সোল্ডারিং আয়রন বলে। ২৫ ওয়াট থেকে ৬০ ওয়াটের     সোল্ডারিং আয়রন ইলেকট্রনিক্স কাজে ব্যবহৃত হয়।

৪।    কয়েক ধরনের ক্যাপাসিটরের নাম লিখ, ইলেক্ট্রলাইট ক্যাপাসিটরের বৈশিষ্ট্য লিখ।

উত্তরঃ ইলেক্ট্রলাইট ক্যাপাসিটর, সিরামিক ক্যাপাসিটর, ক্রিস্টল ক্যাপাসিটর ইত্যাদি।

ইলেক্ট্রলাইট ক্যাপাসিটরের বৈশিষ্ট্য:
১)    এটি আকারে ছোট।
২)    এতে পজেটিভ ও নেগেটিভ ইলেকট্রোড নির্দিষ্ট করা থাকে।
৩)    ডাই ইলেকট্রিক হিসেবে ইলেকট্রোলাইট ব্যবহার করা হয়।
৪)    শুধুমাত্র ডিসিতে ব্যবহার হয়।

৫।    এনার্জি ব্যান্ড কি? কত প্রকার ও কি কি?

উত্তরঃ এনার্জি ব্যান্ড: অসংখ্য পরমাণুর সমন্বয়ে যখন কোন পদার্থ গঠিত হয় তখন বিভিন্ন অরবিটে ইলেক্ট্রনের এনার্জি সমূহ     সারিবদ্ধ ভাবে অবস্থান করে। একে এনার্জি স্তর বা এনার্জি ব্যান্ড বলে।

এনার্জি ব্যান্ড তিন প্রকার: ১) ভ্যালেন্স ব্যান্ড       ২) কন্ডাকশন ব্যান্ড     ৩) ফরবিডেন ব্যান্ড

৬।    সেমিকন্ডাক্টরের বৈশিষ্ট্যগুলো লিখ।

উত্তরঃ সেমিকন্ডাক্টরের বৈশিষ্ট্য:
১)    এর ভ্যালেন্স ব্যান্ড ইলেক্ট্রন দ্বারা আংশিকভাবে পূর্ণ থাকে।
২)    এর কন্ডাকশন ব্যান্ড ইলেক্ট্রন থেকে প্রায় খালি থাকে।
৩)    এর ভ্যালেন্স ব্যান্ড ও কন্ডাকশন ব্যান্ডের মধ্যবর্তী ফরবিডেন এনার্জি গ্যাপ খুব সরু থাকে। প্রায়  ।
৪)    ০ড়শ তাপমাত্রায় কন্ডাকশন ব্যান্ডে কোনো ইলেক্ট্রন থাকে না।
৫)    ০ড়শ তাপমাত্রায় ভ্যালেন্স ব্যান্ড সম্পূর্ণভাবে ইলেক্ট্রন দ্বারা পূর্ণ থাকে।
৬)    তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে সেমিকন্ডাক্টরের পরিবাহীতা বৃদ্ধি পায় এবং রেজিস্টিভিটি হ্রাস পায়।

৭।    কার্বোন, গ্যালিয়াম আর্সেনাইড, গ্যালিয়াম ফসফাইড এর বৈশিষ্ট্য লিখ।

উত্তরঃ কার্বনের বৈশিষ্ট্য:
১)    তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে বাধা দানের ক্ষমতা কমে যায়।
২)    বৈদ্যুতিক মেশিনে কার্বন ব্রাশ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
৩)    তলে কোন আয়রন তৈরী হয় না।
৪)    পরিবাহীতা এ্যাডজাষ্ট্যাবল।

গ্যালিয়াম আর্সেনাইড এর বৈশিষ্ট্য:
১)    খঊউ – তে গ্যালিয়াম আর্সেনাইড ব্যবহার করলে লাল রঙের আলো পাওয়া যায়।
২)    এর এনার্জি গ্যাপ ১.৩৪ বা।
৩)    ১.২২ (ঠড়ষঃ) ফরোয়ার্ড বায়াসে আলোক শক্তি বিকিরন করতে পারে।
৪)    এর পারমাণবিক দূরত্ব ২.৪৪  ।

গ্যালিয়াম ফসফাইড এর বৈশিষ্ট্য:
১)    ইহা একটি যৌগিক সেমিকন্ডাক্টর পদার্থ।
২)    খঊউ -তে গ্যালিয়াম ফসফাইড ব্যবহার করলে লাল ও সবুজ রঙের আলো পাওয়া যায়।
৩)    এটি ১.২ ভোল্ট থেকে ২ ভোল্ট ফরোয়ার্ড বায়াসে প্রচুর আলো বিকিরন করে।
৮।    ফরোয়ার্ড ও রিভার্স বায়াস কাকে বলে? চিত্রসহ দেখাও।
উত্তরঃ ফরোয়ার্ড বায়াসিং: ব্যাটারির চ প্রান্ত পজিটিভের সাথে এবং ঘ প্রান্ত নেগিটিভের সাথে যুক্ত করে যে বায়াস করা হয়     তাকে ফরোয়ার্ড বায়াসিং বলে।

রিভার্স বায়াসিং: ব্যাটারির চ প্রান্ত নেগিটিভের সাথে এবং ঘ প্রান্ত পজিটিভের  সাথে যুক্ত  করে  যে  বায়াস  করা  হয়      তাকে রিভার্স বায়াসিং  বলে।

১০।    পি-টাইপ ও এন-টাইপ সেমিকন্ডাক্টরের গঠন আলোচনা কর।

উত্তরঃ পি-টাইপ সেমিকন্ডাক্টরের গঠন: কোন খাঁটি সেমিকন্ডাকটরের সাথে ভেজাল হিসেবে সামান্য পরিমাণ ত্রিযোজি মৌল             যেমন: ইন্ডিয়াম, গ্যালিয়াম, অ্যালূমিনিয়াম ইত্যাদি  মিশ্রিত  করা হয় তাকে পি-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর বলে।
একটি পি-টাইপ সেমিকন্ডাক্টরের গঠন   দেখানো  হয়েছে।  যাতে  চতুর্যোজী  জার্মেনিয়াম     এর সাথে ভেজাল         হিসেবে     ত্রিযোজী গ্যালিয়াম   কে মিশ্রিত করা হয়েছে। প্রত্যেকটি ভেজাল পরমাণু (গ্যালিয়াম) একটি করে হোল সৃষ্টি         করে। এভাবে সামান্ন পরিমাণ ভেজাল দ্রব্য লক্ষ লক্ষ হোল সরবরাহ করতে পারে।
এন-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর: কোন খাঁটি সেমিকন্ডাকটরের সাথে ভেজাল হিসেবে সামান্য পরিমাণ পঞ্চযোজী মৌল যেমন:                আর্সেনিক, অ্যান্টিমনি, ফসফরাস ইত্যাদি মিশ্রিত  করা হয়  তাকে  এন-টাইপ  সেমিকন্ডাক্টর  বলে।

একটি  এন-টাইপ  সেমিকন্ডাক্টরের  গঠন  দেখানো  হয়েছে।  যাতে  চতুর্যোজী জার্মেনিয়াম   এর সাথে ভেজাল         হিসেবে     পঞ্চযোজী আর্সেনিক   মিশ্রিত করা হয়েছে। প্রত্যেকটি ভেজাল পরমাণু (আর্সেনিক) একটি করে মুক্ত ইলেক্ট্রন         সৃষ্টি করে। এভাবে সামান্ন পরিমাণ পঞ্চযোজী ভেজাল দ্রব্য লক্ষ লক্ষ মুক্ত ইলেক্ট্রন সরবরাহ করতে পারে।

১১।    সেমিকন্ডাক্টর ডায়োডকে রেকটিফাইং ডায়োড বলা হয় কেন?

উত্তরঃ আমরা জানি, রেক্টিফারের মধ্য দিয়ে একমুখী কারেন্ট প্রবাহীত হয়, সেমিকন্ডাক্টরের মধ্য দিয়েও একমুখী কারেন্ট     প্রবাহীত হয় এজন্য একে রেকটিফাইং ডায়োড বলে।

১৩।    রেকটিফায়ার ও রেকটিফিকেশন কাকে বলে? এদের শ্রেনীবিভাগ দেখাও।

উত্তরঃ রেকটিফায়ার: এসি ভোল্টেজকে ডিসি ভোল্টেজে রুপান্তর করার জন্য যে ডিভাইস বা সার্কিট ব্যবহার করা হয়     তাকে রেকটিফায়ার বলে। রেকটিফায়ার দুই প্রকার : ১) হাফ ওয়েভ রেকটিফায়ার  ২) ফুল ওয়েফ রেকটিফায়ার , ফুল     ওয়েভ রেকটিফায়ার আবার দুই প্রকার (ক) ফুল ওয়েভ ব্রীজ রেকটিফায়ার  (খ) সেন্টার ট্যাপ ফুল ওয়েভ রেকটিফায়ার।

রেকটিফিকেশন: এসি ভোল্টেজকে ডিসি ভোল্টেজে রুপান্তরের প্রক্রিয়াকে রেকটিফিকেশন বলে, অর্থাৎ রেকটিফিকেশন হল     একটি পদ্ধতি বা প্রক্রিয়া।

১৪।    রেকটিফায়ার সার্কিটে ফিল্টার সার্কিট কেন ব্যবহার করা হয়?

উত্তরঃ রিপল যুক্ত ডিসি ভোল্টেজকে পিওর ডিসিতে রুপান্তর করার জন্য রেকটিফায়ার সার্কিটে ফিল্টার সার্কিট ব্যবহার     করা হয়।

১৬।    হাফ ওয়েভ এর তুলনায় ব্রীজ রেকটিফায়ার এর সুবিধা লিখ।

উত্তরঃ হাফ ওয়েভ এর তুলনায় ব্রীজ রেকটিফায়ারের সুবিধা নিুে বর্ণনা করা হলো:
১)    ইনপুট সিগনালের পূর্ণ সাইকেলকেই আউটপুটে ডিসি আকারে পাওয়া যায়।
২)    উচ্চ আউটপুট ভোল্টেজ এবং উচ্চ ট্রান্সফরমার দক্ষতা পাওয়া যায়।
৩)    রিপল ফ্রিকোয়েন্সি তুলনামূলকভাবে কম।
৪)    রেকটিফিকেশন দক্ষতা হাফ ওয়েভ রেকটিফায়ারের দ্বিগুণ।
৫)    তুলনামূলকভাবে রেগুলেশন ভালো।

১৭।    খঊউ কি? এর ব্যবহার লিখ।

উত্তরঃ খঊউ এর পূর্ণ নাম (খরমযঃ ঊসরঃঃরহম উরড়ফব)। যে ডায়োডের মধ্য দিয়ে কারেন্ট প্রবাহীত হলেই সেটি থেকে     আলো নির্গত হয় তাকে লাইট ইমিটিং ডায়োড বা খঊউ বলে।
এর ব্যবহার:
১)    অডিও ভিডিও সিস্টেমে, ইলেক্ট্রনিক মিটারে।
২)    ক্যালকুলেটর এবং ডিজিটাল মিটিারে।
৩)    সলিড টেস্ট ভিডিও ডিসপ্লেতে।
৪)    অপটিক্যাল কমিউনিকেশন, কম্পিউটার এর মেমোরিতে।
৫)    পাওয়ার ইন্ডিকেশন এবং বিভিন্ন ব্যবহারিক সার্কিটে।
৬)    কমিউনিকেশন রিমোট কন্ট্রোলার এবং ফ্যাক্স এ।
৭)    লেজারে ইনপুট পাওয়ার সরবরাহে।

১৮।    ঝঈজ কি? একে কিভাবে ট্রিগারিং করা হয়?

উত্তরঃ তিন টার্মিনাল চার স্তর বিশিষ্ট যে সেমিকন্ডাক্টর ডিভাইস এসিকে ডিসিতে রুপান্তরিত করতে পারে এবং একই সাথে         লোড কারেন্টকে নিয়ন্ত্রন করতে পারে তাকে ঝঈজ বলে । এস.সি.আর. এর গেটে ভোল্টেজ প্রয়োগ করে ট্রিগারিং করা     হয়।