পৃষ্ঠাসমূহ

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

Follow Us @soratemplates

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

অবদানকারী

মঙ্গলবার, ৩১ জুলাই, ২০১৮

লেড এসিড ব্যাটারি :

২:১৪ AM 0 Comments

লেড এসিড ব্যাটারিঃ
--------------------

লেড এসিড ব্যাটারি তৈরি হয় শিশা এবং লেড অক্সাইড এর সাথে ৩৫% সালফিউরিক এসিড ও ৬৫% পানির মিশ্রন থেকে। এসিড পানির এইমিশ্রনটিকে বলে ইলেকট্রোলাইট যা রাসায়নিক বিক্রিয়ায় ইলেকট্রন তৈরি করে। ব্যাটারি টেস্টের জন্য হাইড্রোমিটার দিয়ে ইলেকট্রোলাইটে সালফিউরিক এসিডের পরিমান বা ঘনত্ব মাপা হয়। ব্যাটারিতে তে এই ইলেক্ট্রোলাইট আর মেটালের ক্যামিকেল রিয়্যেকশন এ বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয় ফলে মেটাল এসিডে দ্রবীভূত হয় এসিডে যা আবার চারজ দিলে মেটাল ও এসিডে রূপান্তর ঘটে।

মূলত দুই ধরনের ব্যাটারি দেখা যায়, ডিপ সাইকেল: যা অনেকবার চার্জ ডিসচার্জে সক্ষম, এই ধরনেরব্যাটারিকে মেরিন টাইপ ব্যাটারি ও বলা হয়। এগুলো সাধারনত এভাবে স্পেসিফিকেশন লেখাহয়
যেমন 12V7 AH ব্যাটারি অর্থাৎ এটি ১২ ভোল্ট এর এবং ঘন্টায় ৭এমপিয়ার
কারেন্ট দিতে সক্ষম বা ৭ এমপিয়ারে ১ ঘন্টা চলতে সক্ষম। এগুলোতে থাকে মোটাপ্লেট যা চার্জ দীর্ঘক্ষন ধরে রাখে ও
ধীরে ধীরে ডিসচার্জ করতে সক্ষম।
স্টার্টিং ব্যাটারি বা ক্র্যাংকিং ব্যাটারি:
এগুলো মূলত গাড়ির ব্যাটারি। গাড়ি বা
ইঞ্জিন স্টার্ট করতে বেশ শক্তিশালি
একটি স্টার্টিং মোটর থাকে এটিকে ১৫-৩০ সেকেন্ড চালু রাখলেই ইঞ্জিনস্টার্ট নিয়ে নেয়, অর্থাৎ খুব অল্প সময়ের জন্য ২৫-১৫০ এমপিয়ার কারেন্ট প্রবাহের প্রয়োজন হয় ঐ স্টার্ট এর পরে আর ব্যাটারির তেমন শক্তির কোন কাজ করতে হয় না বরং ইঞ্জিন এর অলটারনেটর হতে ব্যাটারি পুনরায় চার্জ হতে থাকে। এগুলোতে থাকে পাতলাপ্লেট যা অনেক বেশি কারেন্ট এমপিয়ার তৈরি করতে পারে।
ইউপিএস/আইপিএস এ
ডিপসাইকেল ব্যাটারি ব্যবহার হয়, স্টার্টিং
ব্যাটারি দিয়ে ইউপিএস/আইপিএস ভালসার্ভিস দিতে পারেনা।

এই ডিপ-সাইকেল ব্যাটারি আবার ২ ধরনেরঃ
১) ফ্লাডেড লেড-এসিড ব্যাটারী (Flooded Lead-Acid= FLA Battery) এবং
২) সীল্ড মেইন্টেন্যান্স
ফ্রী ব্যাটারী (SealedMaintenance Free = SMF Battery) ।
FLA ব্যাটারীতে ফ্লুইডবইলেক্ট্রোলাইট (তরল এসিড) ব্যবহার করা হয়। ব্যবহারে
এসিডের তরলের পরিমান কমে যায় তখন আবার ডিস্টিল্ড ওয়াটার দিতে
হয়। এর রক্ষনাবেক্ষন এর দরকার হয়।
সিল্ড ব্যাটারিতে নন-ফ্লুইড ইলেক্ট্রোলাইট
ব্যবহার করা হয়। দুর্ঘটনা এড়াতে এদের প্রকোষ্ঠ গুলিতে সেফটি ভাল্ব ও ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা দিয়ে সীল করে দেয়া হয়। এই ব্যাটারীর ইলেক্ট্রোলাইট পরিমাপ ও রক্ষনাবেক্ষন এর প্রয়োজন হয় না। ডিস্টিল্ড ওয়াটার দিতে হয় না। সিল্ড
ব্যাটারী আবার দুই ধরনের –
১) Absorbent Glass Mat (AGM) ব্যাটারি এবং
২) Gel Cell ব্যাটারি ।
AGM ব্যাটারীতে হাইবপারফরমেন্স প্লেট ও ইলেক্ট্রোলাইট সহ AGM টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়।
Gel cell ব্যাটারীতে হাই পারফরমেন্স প্লেট সহ অতি বিশুদ্ধ ফিউমড সিলিকা ও
সালফিউরিক এসিড থিক্সোট্রপিক পেস্ট(Gel) ব্যবহার করা হয়। জেল ব্যাটারী AGM ব্যাটারী অপেক্ষা অনেক বেশী বাড়তি দক্ষতা প্রদান করে।
তাই সীল্ড ব্যাটারীর মধ্যে জেল ব্যাটারী
বেশী ভাল। SMF ব্যাটারীর মধ্যে বিভিন্ন কোয়ালিটি অনুযায়ী আয়ুষ্কাল বিভিন্ন।
সাধারনত গাড়িতে, আই.পি.এস. এ এসিড ব্যাটারী বহুল ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশের বাজারে রহিম-আফরোজ,
ভলভো, হ্যামকো প্রভৃতি কোম্পানীর ব্যাটারী পাওয়া যায়। লীড-এসিড
ব্যাটারী 2V, 4V, 6V, 8V, 12V এর হয়। বহুল ব্যবহারের কারনে এটি 6V, 12V এই বেশী পাওয়া যায়। 40Ah, 65Ah, 80Ah, 100Ah, 120Ah,
150Ah, 200Ah আরো বিভিন্ন এম্পিয়ারে পাওয়া যায়। এই ব্যাটারীগুলো সাধারনত প্লেট এর
হিসাবে বেশী পরিচিত।
যেমনঃ 9Ps, 11Ps, 17Ps, 21Ps,
25Ps, 27Ps ইত্যাদি। প্লেট এর হিসাবের কিছু গুরুত্ব রয়েছে। তবে কাজের জন্য
মুলত এম্পিয়ার এর হিসাব করা হয়।

এখন বেশি কারেন্ট এ চারজ দিলে কি হবে?
তত্ত্বগত ভাবে খারাপ কিছু হবার কথা ছিলো না বরং তারাতারি চারজ হবার কথা, কিন্ত বাস্তবে দেখা গেলো এসিড গ্যাস হয়ে উবে যাচ্ছে (গ্যাসিফিকেশন) আর যাচ্ছে ঘন হয়ে ফলে প্লেট গুলো যাচ্ছে গলে যা আর রিপেয়ার করা যায় না। আবার অল্প কারেন্ট এ চারজ দিলে লাগছে অনেক বেশি সময় যা আবার বাস্তব সম্মত না। তাই বিজ্ঞানী দের এমন একটা বাস্তব সম্মত আর গ্যাসিফিকেশন এর ঝামেলা মুক্ত এমন একটা সময় বের করা দরকার ছিলো, তার ফলাফল ই হলো ঐ ৮ ঘন্টা যা মোটামুটি ছোট বড় সব ব্যাটারি এর জন্যই প্রযোজ্য।

এই ব্যাটারি তে প্রতি সেল এ ধরা হয় ১,৭ ভোল্ট সরব নিম্ন আর সরবচ্চো ২,২ ভোল্ট যা পূরণ চার্যিত অবস্থায়
পাওয়া যায়। ফলে ১২ ভোল্ট ব্যাটারি তে চারজ দিলে হবে ৬x ২.২=১৪.৪
ভোল্ট আর চারজ শূন্য অবস্থায় ধরা হয় ৬x১.৭=১০.২ ভোল্ট যা বিভিন্ন পরীক্ষা করেই বিজ্ঞানী রা বের
করেছেন। (এখানে ৬ হলে সেল সংখ্যা)

এখন আসি চারজারের প্রসঙ্গে।
৩ ভাবে এই ব্যাটারি কে চারজ দেয়া যায়ঃ ফাস্ট/বুস্ট চারজিং
; ফ্ল্যাট চারজিং ; ট্রিকল চারজিং।
ফাস্ট চারজিং এ ব্যাটারি তে হাই কারেন্ট এ চারজ দিয়ে প্রায় ১১,৫- ১২ ভোল্ট করে পরে ফ্লাট চারজিং শুরু হয় ১৪.৪ ভোল্ট এর যা কম কারেন্ট এ আস্তে আস্তে চারজ দেয় আর ব্যাটারি ভোল্ট কে ১৪~১৪.৪ করে। তার পর শুরু হয় ট্রিকল চারজিং, যে সময় ব্যাটারি কে ১২ ভোল্ট এর নিচে নামা মাত্রই চারজ শুরু হয় আবার ভোল্ট বেড়ে ১২ হলেই চারজ অফ! এ শুধু ভালো চারজারের কথা কিন্তু বাজারের সস্তা সাধারন গুলো তে এমন সিস্টেম নেই। সব ফ্ল্যাট ভাবে ১৪.৪ ভোল্ট এ চারজ দেয় তাও ফিক্সড কারেন্ট এ। এতে আর কি খরচ বাঁচে, সাধারন মানুষের কেনার ক্ষমতায় থাকে।

100% কপি

রবিবার, ২৯ জুলাই, ২০১৮

ইন্টার লক কাকে বলে?

৭:৪৩ PM 0 Comments

ইন্টারলক কাকেবল?

উঃ ইন্টারলক বলতে আমরা যা বুঝি।ধরুন দুইজনে মোবাইলে কথা বলতেছি।যখন আপনি কথাবলেন আমি চুপকরে থাকি।আমি কথাবল্লে আপনি চুপকরে থাকেন। এতে আমাদের কথায় কোন বিঘ্ন গটেনা।
ঠিক তেমনি K2 যখন অফ থাকবে তখন K3 অন হবে

এককথায় একজন কাজকরলে অপর জন বসে থাকবে।
এই কাজটি যাতে সুষ্ঠভাবে করাহয় এরজন্য যে লজিক ব্যাবহার করা হয় তাকেই ইন্টারলক বলে।

অটো স্টার-ডেল্টার বেলায়
ইন্টারলক করার জন্য  সাহায্যোকারি কন্টাক হিসেব।দুটি NC কন্টাক ব্যাবহার করা হয়।
এর কাজ হচ্ছে ইন্টারলক নিশ্চিত করা।K2সাথে একটি NC এবংK3সাথে একটি NC.

বুধবার, ২৫ জুলাই, ২০১৮

power grits

৪:৫২ AM 0 Comments

Engr Rafikul Islam > ‎EEE Power bridge
আপনি Electrical Engineer তাই আপনাকে জানতেই হবে এবং সারাজীবন মনে রাখতে হবে,,,,,,,,,
১। কত কিলোওয়াট লোড পর্যন্ত 230 ভোল্ট , এক ফেজ সরবরাহ অনুমদিত ?
উত্তরঃ- 7.5 কিলোওয়াট লোড পর্যন্ত 230 ভোল্ট , এক ফেজ সরবরাহ অনুমদিত.
২। কত কিলোওয়াট লোড পর্যন্ত 440 ভোল্ট , তিন ফেজ সরবরাহ অনুমদিত ?
উত্তরঃ-7.5 কিলোওয়াট থেকে 50 কিলোওয়াট লোড পর্যন্ত 440 ভোল্ট , তিন ফেজ সরবরাহ অনুমদিত ।
৩। কত লোডের জন্য 11000 ভোল্ট Ac তে service সংযোগ দেবার নিয়ম ?
উত্তরঃ- 50 KW এর উপরে হতে 5 MW পর্যন্ত লোডের ক্ষেত্রে মদম চাপের জন্য 11000 ভোল্ট Ac তে service সংযোগ দেবার নিয়ম রয়েছে।
তবে সর্বশেষ bncb চেঞ্জ হয়েছে কিনা আমার জানা নেই

রবিবার, ২২ জুলাই, ২০১৮

ডিসি voltage এ শক করার কারন

৮:৩৯ PM 0 Comments

এসি অপেক্ষা ডিসি অনেক গুরুতর। স্বাভাবিক ভাবে বলতে গেলে এসি বিদ্যুৎ প্রতি সেকেন্ডে ১০০ বার দিক পরিবর্তন করে অর্থাৎ প্রতি সেকেন্ডে ৫০ বার সর্বোচ্চ ধনাত্মক,  ৫০ বার সর্বোচ্চ ঋণাত্মক ও ১০০ বার শুন্যে থাকে ফলে এসি শকে আমরা কম্পন অনুভব করি। কিন্তু ডিসি এর বেলায় এমন হয় না।  এটা সবসময় সর্বোচ্চ ধনাত্মক বা ঋণাত্মক থাকে। যা অনেক মারাত্মক। 
একটা উদাহরণ দেই:

মনে করুন একটা টেবিল ফ্যান চলন্ত অবস্থায় এদিকওদিক ঘুরে ঘুরে বাতাস দিচ্ছে আর আপনি এক যায়গায় স্থির বসে আছেন।  তাহলে নিশ্চয় আপনি সবসময় বাতাস পাবেন না।  কিন্তু এই ফ্যানটিকে যদি আপনার দিকে স্থির করে দেন তাহলে নিশ্চয় আপনি সবসময় বাতাস পাবেন। এখানে ফ্যানের পরিবর্তনশীল অবস্থা হল এসি বিদ্যুতের ন্যায় আর অপরিবর্তনশীল হল ডিসি বিদ্যুতের ন্যায়।  এবার বুঝতে পারছেন নিশ্চয়!!!

বৃহস্পতিবার, ১৯ জুলাই, ২০১৮

রিলের কাজ

২:৪৩ AM 0 Comments

৫ এম্পিয়ার ২৫০ ভোল্টের ইলেক্ট্রো মেগনেটিক রিলে।। এ ধরনের রিলেতে মুভিং কন্টাক্ট থাকে, যা ওপেন অবস্থায় হাই রেজিস্ট্যান্স এবং লো ভোল্টের কেরি করে এবং ক্লোজ অবস্থায় লো রেজিস্ট্যান্স হাই ভোল্টেজ।।

ট্রান্সফরমার কি

২:৪১ AM 0 Comments

ট্রান্সফরমার

ট্রান্সফরমার সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর

প্রশ্নঃ ট্রান্সফরমার কি?

উত্তরঃ সহজ কথায় বলা যায়, এমন একটি ইলেক্ট্রনিক/ইলেকট্রিক্যাল যন্ত্র যেটি ইনপুট হিসেবে ইলেক্ট্রিক পাওয়ার নিয়ে আউটপুটেও ইলেকট্রিক পাওয়ার দিবে, কিন্তু এদের মধ্যে কোন তারের সংযোগ থাকবে না।

কিন্তু, তাত্ত্বিক ভাবে বলতে গেলে বলতে হবে, ”ট্রান্সফরমার এমন একটি স্থির যন্ত্র বিশেষ যেখানে কারেন্টের সাপেক্ষে, এসি সাপ্লাই এর ভোল্টেজ বাড়ানো হয় নয়ত কমানো হয়”।

প্রশ্নঃ ট্রান্সফরমার কিভাবে কাজ করে?

ট্রান্সফরমার মূলত মিউচুয়াল ইন্ডাকশনের মাধ্যমে কাজ করে। প্রাইমারী থেকে সেকেন্ডারী তে পাওয়ার ট্রান্সফার করে এই পদ্ধতি তে। এ সম্পর্কে ৮ নাম্বার পয়েন্টে বিস্তারিত লেখা হয়েছে।

প্রশ্নঃ ট্রান্সফরমার কেন ব্যবহার করা হয়?

উত্তরঃ

ধরুন পাওয়ার স্টেশন থেকে আপনার বাসা অনেক দূরে। তখন আপনি যদি আপনার প্রয়োজনীয় ভোল্টেজ পেতে চান তাহলে সেখানে একটি স্টেপআপ ট্রান্সফরমার দিয়ে বাড়িয়ে তা দূরবর্তী স্থানে যেখানে আপনার বাসা অবস্থিত, সেখানে সঞ্চালিত করা হয়।

আবার, আপনার বাসায় এসি লাইন দিয়ে সরাসরি শখের প্রজেক্ট কিংবা সার্কিট কিংবা জরুরী ব্যবহার্য্য টিভি, ডিভিডি, টর্চ, চার্জ লাইট ইত্যাদি কে কখনই চালাতে পারবেন না। প্রথমে আপনাকে অবশ্যই মেইন লাইনের ভোল্টেজ কে কমিয়ে উক্ত সার্কিট বা যন্ত্রের উপযুক্ত করতে হবে। আর এই কাজটিই করে থাকে ট্রান্সফরমার।

নিচের চিত্রটিতে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থার তুলনা মূলক উদাহরণ দেখানো হয়েছে-

প্রশ্নঃ কেন দূরবর্তী স্থানে সঞ্চালনের জন্য হাই ভোল্টেজ ট্রান্সফরমার ব্যবহার করা হয়?

আমরা জানি যে পাওয়ার এর সূত্রানুযায়ী,

P = V × I

এখানে,

P = পাওয়ার,

V = ভোল্টেজ,

I = কারেন্ট

অর্থাৎ, ভোল্টেজ ও কারেন্টের সমন্বয়েই মোট পাওয়ার। অতএব, কারেন্টের পরিমাণ কমিয়ে ভোল্টেজ বৃদ্ধি করলেও মোট পাওয়ার প্রায়ই সমান থাকবে।

আবার, কারেন্ট প্রবাহমাত্রা নির্ভর করে ক্যাবলের পুরুত্ব বা ক্যাবল কতোটা মোটা তার উপরে। অর্থাৎ ক্যাবল মোটা হলে বেশি কারেন্ট

ম্যাগনেটিক কন্টাক্ট কি?

২:১৪ AM 1 Comments

Magnetic contactor কি?

Magnetic contactor একটি ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক চালিত সুইচ, এটার ফাংশন অনেকটা রিলের মতই । তবে রিলে সাধারনত লো পাওয়ার ও ভোল্টেজে ব্যবহৃত হয় অন্য দিকে হাই পাওয়ারের ক্ষেত্রে Magnetic contactor ব্যবহার হয়। এটাতে একটি এনারজাইজড কয়েল, আয়রন কোর, কয়েকটি অক্সিলারি কন্ট্যাক্ট (NC, NO points), মেইন কন্ট্যাক্ট টার্মিনাল (3 contacts points) ও একটি ওভারলোড রিলে সংযুক্ত থাকে। এটির সাথে সাধারণত একটি নিয়ন্ত্রণ সার্কিট ব্যবহার করে বৃহৎ বৈদ্যুতিক লোড (বৈদ্যুতিক মোটর) স্টার্ট/স্টপ বা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। কলকারখানায় মোটর কন্ট্রোল অটোমেশনে এটি ব্যবহার হয়ে থাকে।

কেন Magnetic contactor ব্যবহার করা হয়?

১। এটির মাধ্যমে একটি ছোট পুশ সুইস দিয়ে একটি বৃহৎ মোটর বা বড় বৈদ্যুতিক লোড নিয়ন্ত্রণ করা সহজ ও নিরাপদ।

২। এটির সাথে কয়েকটি অক্সিলারি কন্ট্যাক্ট (NC, NO points) থাকে, এগুলোর মাধ্যমে বিভিন্ন সিগনাল বা স্টাটাস জানা যায়।

৩। এটির সাথে ওভারলোড রিলে সংযুক্ত থাকায় লোডে কারেন্ট সরবরাহ কোন কারনে ওভার হয়ে গেলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এটি লোডে কারেন্ট সরবরাহ বন্ধ করে দেয়।

৪। ৩ ফেজ মোটরের ক্ষেত্রে ৩-ফেজ সাপ্লাই দিতে হয়, এক্ষেত্রে Magnetic contactor ব্যবহার করে সহজে মোটরে ৩-ফেজ সাপ্লাই দেয়া যায়।

৫। স্টার/ডেল্টা এর ক্ষেত্রে ৩টি Magnetic contactor ব্যবহার করে সহজেই কন্ট্রোল করা যায়।

৬। চালু অবস্থায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হলে লোডে কারেন্ট সরবরাহ বন্ধ হবে আবার এ অবস্থায় কারেন্ট সরবরাহ আসলেও নতুন করে স্টার্ট বাটন না প্রেস করলে লোডে কারেন্ট সরবরাহ হবেনা। এতে সার্জ ভোল্টেজ থেকে ডিভাইস রক্ষা পায়।

NC ও NO contact কি?

এগুলো অক্সিলারি কন্টাক্ট। এগুলোকে ব্যবহার করে লোড কে অটোমেশন মুডে বা প্রোটেকশন এর সার্কিট তৈরি করা হয়।

NC= Normally Close নরমাল অবস্থায় অর্থাৎ যখন এর কয়েল এনারজাইজড থাকেনা এটার অক্সিলারি কন্ট্যাক্ট বন্ধ (Close) অবস্থায় থাকে।

NO= Normally Open নরমাল অবস্থায় অর্থাৎ যখন এর কয়েল এনারজাইজড থাকেনা এটার অক্সিলারি কন্ট্যাক্ট খোলা (Open) অবস্থায় থাকে।

যখন এর কয়েল এনারজাইজড হবে (বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকবে) তখন NC পয়েন্ট NO হবে এবং NO পয়েন্ট NC হয়ে যাবে।

অক্সিলারি কে সংযুক্ত করতে এতে অক্সিলারি ব্লোক থাকে।

Magnetic contactor এর কয়েলে কত পাওয়ার দেয়া হয়?

এটা বিভিন্ন রেঞ্জের হয়ে থাকে যেমনঃ 24VDC,24 VAC,110 VAC,240 VAC,415 VAC

Magnetic contactor এর গায়ে এটা সাধারণত উল্লেখ করা থাকে। সাধারনত কয়েলের টার্মিনাল দুটো কে A1 এবং A2 দ্বারা চিহ্নিত করা থাকে।

সোমবার, ১৬ জুলাই, ২০১৮

জেনারেটরে কাজ

৩:৩১ AM 0 Comments

ইদানিং কালে নবীন প্রকৌশলীদের মধ্যে generator নিয়ে ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে এটা ভালো দিক।
কিন্তু কেউ কেউ বলেন generator নিয়ে পোস্ট দিন, আসলে কি জেনারেটর পোস্ট করা এত সোজা ?
এটা পাওয়ার জেনারেশনের  এর power source.

জেনারেটরের অনেক গুলো ভাগ আছে , এক একটা একটি ভাগ  পোস্ট করলে পড়তে পড়তেই দুই তিন ঘন্টা চলে যাবে ।  আর লিখতে গেলে আমার সারা দিন লাগবে।

যেমন,,,,,

1. Starting system
2. Lubricating system
3. Cooling system
4. Fuel  system
5. Engine mechanical part
6, Alternator
7. Excitor / shunt generator
8. Generator controlling Electrical wiring part
9. Generator controlling module
10. Charging system etc

আপনি generator সম্বন্ধে ধারণা নিতে গেলে বা কাজ করতে গেলে আপনাকে generator সাপ্লায়ার কোম্পানিতে জব করতে হবে অথবা generator servicing কোম্পানিতে কাজ করতে হবে তা না হলে কোন ভাবেই generator সম্পর্কে জানা সম্ভব নয়।

তবে কিছু কিছু বেসিক জানা থাকলে আপনি অনায়াসেই  generator operation করতে পারবেন,,,

জেনারেটর চালু/বন্ধ করার নিয়মঃ

১। প্রথমে ইঞ্জিন রুমে ইঞ্জিন ফিজিক্যালি চেক করতে হবে (ওয়েল লিকেজ, ওয়াটার লিকেজ, ফুয়েল লাইন)।

২। গ্যাসের লাইন/ডিজেল লাইন অন করতে হবে। গ্যাসের প্রেসার চেক করতে হবে। এয়ার ফিল্টার চেক করতে হবে ।

৩। ইঞ্জিনে পানি ও লুব ওয়েল সঠিক পরিমান আছে কিনা দেখতে হবে । পানি দেখার জন্য ওয়াটার লেভেল ইন্ডিকেটর ও লুব ওয়েল দেখার জন্য ডিপ স্টিক দেখে লেভেল দেখা হয়।

৪। ব্যাটারী ভোল্টেজ ও কানেকশন টাইট কিনা দেখতে হবে।

৫। এবার কন্ট্রোল পানেলে এসে চেক করে কন্ট্রোল প্যানেলের পাওয়ার অন করতে হবে ।

৬। Engine Control Switch (ECS) দিয়ে ইঞ্জিন চালু করতে হবে। ইহা START/MAN এ রাখলে ইঞ্জিন চালু হবে (আগে দেখে নিন IDLE/RATED সুইস কোন পজিশনে আছে, এটা IDLE এ থাকবে।

৭। IDLE এ কিছুক্ষন চলবে (সাধারণত ৩-৫ মিনিট)। RPM 1000-1100 হবে (যদি Rated Speed 1500 হয়)। ইঞ্জিন ও জেনারেটর মিটারিং চেক করতে হবে। সব ঠিক থাকলে Rated Speed এ দিতে হবে । এই ভাবে আরো ২-৪ মিনিট চলতে দিতে হবে। Rated Speed এ আবার সকল মিটারিং দেখে নিতে হবে। সব ঠিক থাকলে-

৮। এবার ইঞ্জিন লোড দেবার জন্য রেডি থাকতে হবে। বাস ভোল্টেজ ও ফ্রিকুয়েন্সি এর সাথে জেনারেটরের ভোল্টেজ ও ফ্রিকুয়েন্সি সমান করতে হবে। এটা সাধারণত Auto হয়ে থাকে। Auto না হলে মানুয়ালি Adjust করে নিতে হবে।

৯। Auto বা ACB Close বা Hand ON LOAD বাটনে প্রেস করলে ইঞ্জিন লোড নিবে । এটা টাচ স্ক্রিনে বা ম্যানুয়াল সুইসে হতে পারে।

১০। ACB ক্লোজ হলে লোড বাড়াতে হবে, লোডের সুইস অন করতে হবে। প্যারালেলে অন্য ইঞ্জিন থাকলে ভাল ভাবে লোড শেয়ার করে দিতে হবে। Droop Mode এ থাকলে মানুয়ালি লোড Adjust করতে হবে, Isochronus Mode থাকলে Auto লোড শেয়ার (Rated Load সেটিং অনুযায়ী) হবে।

১১। লোড অবস্থায় আবার সকল মিটারিং চেক করতে হবে ।

১২। সকল মিটারিং লগ বইয়ে লিখতে হবে, প্রতি ঘন্টায় তা চেকে করে লগ বইয়ে লিখে সংরক্ষণ করতে হবে ।

১৩। বন্ধ করার জন্য ইঞ্জিনের লোড আস্তে আস্তে কমাতে হবে । STOP/Cooldown অপশন থাকলে এখানে প্রেস করলে ইঞ্জিনের লোড আস্তে আস্তে কমে গিয়ে ACB Open হয়ে যাবে । তারপর Rated Speed থেকে Idle Speed এ আসবে এবং Auto ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাবে । এভাবে Auto Mode না থাকলে এই অপশনগুলো ম্যানুয়ালি করে নিতে হবে।

১৪। ইঞ্জিন বন্ধ অবস্থায় কন্ট্রোল প্যানেলের, ব্যাটারী চার্জার ও ইঞ্জিনের ডিসি পাওয়ার অন রাখাই ভাল। গ্যাসের/ফুয়েলের লাইন বন্ধ রাখতে হবে।

১৫। কোন কিছু না বুঝে কন্ট্রোল সিস্টেমে কাজ করবেন না।

সব সময় আপনার বস এবং সিনিয়র দের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে জেনারেটরের কাজ আরম্ভ করবেন অন্যথায় উল্টাপাল্টা কাজ করে নিজের চাকরি হারাবেন না।

Engr Rafikul Islam
Electrical Engineer
(Utility, operation, repair & maintenance)
Letter n colour ltd
Khilgong - Dhaka.

রবিবার, ১৫ জুলাই, ২০১৮

electrical viba question

৭:২৫ AM 0 Comments

ইলেকট্রিক্যাল চাকরীর ইন্টার্ভিউর জন্য নিচের প্রশ্ন গূলোর উত্তর জানা থাকা ভাল।
1. পাওয়ার ফ্যাক্টর কি?
2. পাওয়ার ফ্যাক্টর বেশী হলে ভাল না কম হলে ভাল?
3. পাওয়ার ফ্যাক্টর ইমপ্রুভমেন্টে কেন করি?
4. ভোল্টেজ এবং কারেন্টের মধ্যে পার্থক্য কি?
5. পিএলসি কি? কেন পিএলসি ব্যাবহার করি?
6. সার্ভো ড্রাইভ মোটর কি?
7. সার্কিট ব্রেকারে আগুন লাগলে কিভাবে নিভাবেন?
8. একটি কক্ষে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগলে আপনি প্রথমে কি করবেন?
9. সাধারণত পিটির সেকেন্ডারি ভোল্টেজ কত হয়?
10. একটি সিটির রেশিও বলুন।
11. আমরা সিটি/পিটি কেন ব্যবহার করি?
12. রিলে কি? কেন ব্যবহার করি? একটি ব্যবহার খেত্র বলেন।
13. বাংলাদেশে সর্বোচ্চ জেনারেশন ভোল্টেজ কত?
14. বাংলাদেশে পাওয়ার সিস্টেমে কোথায় কত ভোল্টেজ?
15. পিজিসিবি, ইজিসিবি, ডিপিডিসি এর কাজ কি?
16. ইন্ডাকশন মোটরে স্টার/ডেল্টা চালু পদ্ধতি কেন ব্যবহার করা হয়?
17. কোন সিম্বল ছাড়া একটি অ্যামমিটার, একটি ভোল্টমিটার দেয়া হল কোনটি অ্যামমিটার/ভোল্টমিটার বাহির করতে পারবেন? কিভাবে?
18. আর্থিং ও নিউট্রাল কি?
19. কতগুলি রেজিস্টর হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলতে পারে মাল্টিমিটার ছাড়া এগুলির মান বের করে দেখান। কি পারবেন না?
20. মাইক্রোকন্ট্রোলার ও মাইক্রোপ্রসেসর এর মধ্যে পার্থক্য কি?
21. AVR কি? এটি কিভাবে কাজ করে সংক্ষেপে বলেন?
22. ৪ টি ১২ ভোল্ট এর ব্যাটারি দিয়ে ২৪ ভোল্ট করতে চাইলে, ডায়াগ্রাম একে দেখান।
23. ফুল চার্জে ব্যাটারির ইলেক্ট্রোলাইট এর স্পেসিফিক গ্রাভিটি কত থাকে?
24. ১ হর্স পাওয়ার সমান কত ওয়াট?
25. সিঙ্গেল ফেজ ভোল্টেজ ২৩০ ভোল্ট হলে কেন লাইন ভোল্টেজ ৪০০ ভোল্ট হয়?
26. ট্রান্সমিশন লাইনে স্যাগের কি প্রভাব?
27. কখন একটি সার্কিটে ইম্পিড্যান্স রেজিস্ট্যান্সের সমান হবে?
28. পোলারিটি আর নন পোলারিটি ক্যাপাসিটরের মধ্যে পার্থক্য কি?
29. একটি ৩-ফেজ মোটরকে রিভার্স ঘুরাবেন কিভাবে?
30. বুখলজ রিলে কেন ব্যবহার করা হয়?
31. ডিফারেন্সিয়াল প্রটেকশন কেন ব্যবহার করা হয়? কোথায় ব্যবহার করা হয়?
32. ট্রান্সফরমার শর্ট সার্কিট প্রটেকশনের জন্য কি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়?
33. কেন নিউট্রাল লাইনে শক লাগেনা?
34. তিন ফেজ মোটর স্টার্ট দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্টার্ট নেয় না গোঁ গোঁ শব্দ করে, সম্ভাব্য তিনটি কারন বলেন।
35. IEEE কি?
36. সেন্সর ও ট্রান্সডিউসারের মধ্যে পার্থক্য কি?
37. CFL এর পূর্ন নাম কি?
38. AWG/SWG কি?
39. সিঙ্গেল ফেজ মেটর বা ফ্যান চালু করতে ক্যাপাসিটর ব্যবহার করা হয় কেন?
40. ট্রান্সফরমার এর তেলের নাম কী?
41. একটি ডেল্টা -স্টার সংযুক্ত ট্রান্সফরমারের সেকেন্ডারিতে পাওয়ার, প্রাইমারি থেকে কত গুন কম বা বেশি হবে?
42. ফেজ সিকুয়েন্স কি?
43. ইনভার্টার দ্বারা কি করা হয়?
44. ইন্সুলেশন রেজিস্ট্যান্স কি মিটার দ্বারা মাপা হয়?
45. ট্রান্সফরমার হামিং কেন হয়?
46. বাসার সকল লোড অফে থাকা সত্বেও মিটার ঘুরে। কোথায় সমস্যা হতে পারে?

রবিবার, ৮ জুলাই, ২০১৮

রিভার্স পাওয়ার রিলে

২:০১ AM 0 Comments

প্যারালাল অপারেশনে কোন অল্টারনেটরের ইনপুট
কোন কারনে বন্ধ হলে বা অন্য কোন ত্রুটিতে ঐ
অলটারনেটর যদি বাসবার হতে পাওয়ার নেয় অর্থাৎ উল্টাদিক হতে পাওয়ার নিয়ে অল্টারনেটরটি মোটর হিসাবে কাজ করে তখন যে রিলের মাধ্যমে প্রটেকশন দেয়া হয় তার নাম রিভার্স পাওয়ার রীলে। এ রকম অবস্থায় রিভার্স পাওয়ার রীলে এনারজাইজড হয় এবং ঐ অল্টারনেটরের সার্কিট ব্রেকার ট্রিপ করে সিস্টেমকে রক্ষা করে।

রবিবার, ১ জুলাই, ২০১৮

এসি সার্কিটে পাওয়ার ফ্যাক্টর কত?

৮:০০ PM 0 Comments

নবীন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে ইন্টার্ভিউএ আপনাকে জিজ্ঞেস করতেই পারো, এসি সার্কিটের পাওয়ার ফ্যাক্টর ৮০% ল্যাগিং বলতে কি বোঝেন?
★★★★★★★★★★★★★★★★★★
একটি এসি সার্কিটের পাওয়ার ফ্যাক্টর ৮০% ল্যাগিং বলতে বুঝায় উক্ত সার্কিটের কারেন্ট ভোল্টেজের চেয়ে ৩৭ ডিগ্রি পিছনে থাকবে।