পৃষ্ঠাসমূহ

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

Follow Us @soratemplates

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

অবদানকারী

বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৯

RCCB এর কার্যপ্রণালী

১০:৪৯ PM 0 Comments

RCCB এর কার্যপ্রণালী

একটি RCCB এর অভ্যন্তরে ফেরোম্যাগনেটিক ম্যাটেরিয়াল দ্বারা গঠিত toroidal core CT ব্যবহার করাহয় উক্ত

তে তিনটি ওয়াইন্ডিং থাকে দুটি প্রাইমারি ওয়াইন্ডিং এবং অবশিষ্ট তৃতীয় ওয়াইন্ডিংটি সেকেন্ডারী ওয়াইন্ডিং।

প্রাইমারি ওয়াইন্ডিং দুটির একটি লাইভ লাইন (ফেজ ওয়্যার) এর সাথে এবং অপরটি নিউট্রাল ওয়্যারের সাথে এমনভাবে স্থাপন করা হয় যাতে লাইভ লাইন দ্বারা আঘাত কারেন্ট লোড এর মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয় নিউট্রাল ওয়্যার দ্বারা ফিরে যাওয়ার সময় প্রাইমারি ওয়াইন্ডিং দুটির একটি অপরটির বিপরীতমুখী ম্যাগনেটিক ফিল্ড তৈরি করে।
যেহেতু স্বাভাবিক অবস্থায় লাইভ লাইন দ্বারা আগত কারেন্ট এবং নিউট্রাল ওয়্যার দ্বারা নির্গত কারেন্ট সমান থাকে (Interms of kirchhoff's current law) সেহেতু উক্ত ম্যাগনেটিক ফিল্ড দ্বয় একটি অপরটিকে ক্যান্সেল করে দেয় ফলে সামগ্রিকভাবে ruseltant magnetic field শূন্য হয় আর তাই সেকেন্ডারী ওয়াইন্ডিং এ (তৃতীয় ওয়াইন্ডিং) কোন প্রকার emf আবিষ্ট হয় না। কিন্তু যখন লাইভ লাইন এবং নিউট্রাল ওয়্যারের আগত ও নির্গত কারেন্টের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি হলে ruseltant magnetic field শূন্য হয় না, যার ফলে সেকেন্ডারী ওয়াইন্ডিং এ emf আবিষ্ট হয়।
প্রাইমারি ওয়াইন্ডিং দ্বয়ের মধ্যে আগত ও নির্গত কারেন্টের পার্থক্য যখন 30mA (রেটিং অনুযায়ী সেন্সিং কারেন্ট) অতিক্রম করে তখন সেকেন্ডারিতে পর্যাপ্ত ভোল্টেজ আবিষ্ট হয় যাহা একটি ট্রিপিং মেকানিজম কে ট্রিপ করার জন্য সামর্থ্য অর্জন করে এবং ট্রিপ করে দেয়, ফলে লোড 
তখন সোর্স থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
এখানে উল্লেখ্য যে সিঙ্গেল ফেজ এর ক্ষেত্রে তিনটি ওয়াইন্ডিং, থ্রি ফেজ এর ক্ষেত্রে চারটি ওয়াইন্ডিং যাহার তিনটি প্রাইমারি ওয়াইন্ডিং এবং একটি (চতুর্থটি) সেকেন্ডারী ওয়াইন্ডিং।
কোন প্রকার ভুল থাকলে গঠনমূলক সমালোচনা আশা করছি।

কমেন্ট করে জানাবেন

বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৯

Star connection দিয়ে অতিরিক্ত কারেন্ট অবদমন করা যায়?

৪:৩৮ PM 0 Comments
আজ জানব কিভাবে star connection দিয়ে অতিরিক্ত কারেন্ট অবদমন করা যায়????

একটি ডিভাইস ডেল্টা কানেকশন এ যে পরিমাণ কারেন্ট draw করে তার তুলনায় অনেক কম পরিমাণ কারেন্ট নেয় স্টার কানেকশন এ। এই জন্যই ইন্ড্রাস্ট্রিতে মোটর কে স্টার ডেল্টা কানেকশন দিয়ে চালু করা হয়। 
ধরলাম, আমার কাছে  15 KW এর একটা মোটর আছে। আমি এতে 400 volt supply দিব। 
এখন এই শর্তে আমি আপনাদের স্টার কানেকশন & ডেল্টা কানেকশন এ কি পরিমাণ কারেন্ট নিবে সেটা হিসেব করে দেখাব। 
ধরলাম শুরুতে স্টার কানেকশন দেয়া হল। 
আমরা জানি, স্টার কানেকশন এর ক্ষেত্রে লাইন ভোল্টেজ ফেইজ ভোল্টেজ এর 1.732 গুণ 
তাহলে, লাইন ভোল্টেজ VL = 1.732 x 220 = 400 volt (approx)

এবার তাহলে, লোড কারেন্ট  
IL = 15000/(1.732 x 400 x 0.8)  = 27 Amps 

এবার যদি এটাতে ডেল্টায় কানেকশন দেয়া হয় তাইলে লাইন ভোল্টেজ ফেইজ ভোল্টেজ এর ই সমান হবে। 
অর্থাৎ,  VL = Vp = 400 volt 

এক্ষেত্রে লোড কারেন্ট  IL = 15000/(400 x 0.8) = 46 Amps. 

অর্থাৎ, দেখা যাচ্ছে ডেল্টা কানেকশন এ মোটর টি স্টার এর তুলনায়  1.7 গুণ বেশি কারেন্ট নিচ্ছে।
আর এই জন্যই মোটর চালু হবার সময় স্টার কানেকশন দেয়া হয়। কিছু সময় পরে ডেল্টা করা হয়। সেসব কথা বিস্তারিতভাবে star delta, DOL starter নিয়ে আলোচনার সময় বলা হবে অন্যদিন।

মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

ইন্ডাস্ট্রিতে ইজ্ঞিনিয়ার কেনো নিয়োগ দেওয়া হয়

৭:০৫ AM 0 Comments

ইন্ডাস্ট্রিতে ইঞ্জিনিয়ারগণ নিয়োগ দেওয়া হয় কেন বা ইঞ্জিনিয়ারদের কাজটা কি?

উত্তর
"কোন ইন্ডাস্ট্রি এর প্রোডাক্ট সঠিক সময় যেন উৎপাদন হয়  এবং গ্রাহক পেতে পারে তার জন্যই মূলত ইন্ডাস্ট্রিতে ইঞ্জিনিয়ারদেরকে নিয়োগ দেওয়া হয়"

💢আসুন একটু বিস্তারিত আলোচনা করি

মনে করুন এক টাকার একটি প্রোডাক্ট
(মিস্টার ম্যাংগো) উৎপাদন করি এবং কার কি কাজ একটু জেনে নেই

💥 উক্ত মেশিন একটিভ রাখার জন্য সর্বদা প্রয়োজন ইলেকট্রিসিটি যা ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার গণ পরিচালনা করে থাকেন

💥 প্রোডাক্ট উৎপাদন করতে একাধিক মেশিন প্রয়োজন যার রক্ষণাবেক্ষণ করার দায়িত্ব মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের

💥 প্রডাক্ট উৎপাদন করার জন্য প্রয়োজন টেম্পারেচার  যার জন্য বয়লার কম্প্রেসার এবং জেনারেটর এর ইঞ্জিন একটিভ রাখতে হয় যা পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ার গণ দেখাশুনা করে থাকেন

💥 প্রোডাক্ট উৎপাদন করার কাজে প্রয়োজন  কুলিং সিস্টেম এর জন্য প্রয়োজন  ব্যাপক চিলার এবং সেন্ট্রাল এসি যা রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ারকন্ডিশন ইঞ্জিনিয়ার গণ পরিচালনা করে থাকেন

💥 প্রোডাক্ট উৎপাদন করার জন্য যে মেশিন গুলো ব্যবহার করা হয় তাতে অনেক ইলেকট্রনিক্সে সার্কিট রয়েছে যা একজন ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকেন

💥 অটোমেশন করার জন্য বিশেষ করে নিউম্যাটিক এবং হাইড্রোলিক সিস্টেম ও পিএলসি  মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার গণ দেখাশোনা করে থাকেন

সবাই ভাল থাকবেন একটু আইডিয়া দেওয়ার চেষ্টা করেছি

ধন্যবাদান্তে
মোঃ রবিউল ইসলাম
পরিচালক
ইউনিক অটোমেশন টেকনোলজি

রবিবার, ২১ জুলাই, ২০১৯

টাইমার এর আলোচনা বিস্তারিত

৬:৫১ PM 0 Comments
মসফেট কি
মেটাল অক্সাইড সেমিকন্ডাক্টর ফিল্ড-ইফেক্ট ট্রানজিস্টরের (Metal Oxide Semiconductor Field Effect Transistor) অপর নাম মসফেট (MOSFET)।

এটি একটি বিশেষ ধরণের ফিল্ড ইফেক্ট ট্রানজিস্টর ।

মসফেটের সাধারণত তিনটি সংযোগ প্রান্ত থাকে। এগুলো হল সোর্স বা উৎস, ড্রেন বা নিঃসরন এবং সবচে গুরুত্বপূর্ণ গেট বা নিয়ন্ত্রক। মসফেটের নামের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে এর গাঠনিক বৈশিষ্ট্য এবং কার্যপ্রক্রিয়ার সাথে। মসফেটের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ অংশ গেট তৈরি হয় ধাতু , অক্সাইড ও অর্ধ-পরিবাহীর সমন্বয়ে। মেটাল বা ধাতু শব্দটি সংযুক্ত হয়েছে কারণ, প্রাচীনকালের ইলেকট্রনিক চিপে সাধারণত নিয়ন্ত্রক (গেট) হিসেবে ধাতু ব্যবহৃত হতো, যদিও বর্তমানে বিশেষ ধরনের সিলিকন এক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। অবশ্য বর্তমানেও এই নামের তাৎপর্য রয়েছে। নিয়ন্ত্রকের (গেটের) মূল অংশটি তৈরি হয় অর্ধ-পরিবাহী দিয়ে, এর উপর থাকে পাতলা অক্সাইডের স্তর (সাধারণত সিলিকন ডাই অক্সাইড) আর তার উপরে ধাতু বা অন্য কোন তড়িৎ সুপরিবাহী পদার্থ। নিয়ন্ত্রকের (গেটের) দু'পাশে থাকে নিঃসরক আর উৎস যা নিয়ন্ত্রকের অর্ধ-পরিবাহী অঞ্চল দিয়ে পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন থাকে। নিয়ন্ত্রকের ধাতব অংশে বিভব পার্থক্য সৃষ্টি করলে ঐ অর্ধ-পরিবাহীতে থাকা চার্জ বাহক গুলো নিয়ন্ত্রকের ধাতব অংশের নিচে এসে জমা হয় এবং উৎস ও নিঃসরকের মাঝে একটি তড়িৎ সুপরিবাহী পথ তৈরি করে। যেহেতু তড়িৎ ক্ষেত্র সৃষ্টির কারনে এ পরিবর্তন ঘটে, সেহেতু দেখা যাচ্ছে মসফেট নামটি খুবই যুক্তিসঙ্গত। মসফেটে গেট সরাসরি অর্ধপরিবাহীর সাথে সংযুক্ত থাকেনা, কারণ এদের মাঝে সিলিকন ডাই অক্সাইডের বাঁধা থাকে। এই অন্তরককে নির্দেশ করার জন্য মসফেটের আরেক নাম দেয়া হয়েছে ইনসুলেটেড-গেট ফেট বা
আইজিফেট ; অবশ্য ইলেকট্রনিক কার্যবিবরণী বা অধ্যয়নে এই নামটি খুব একটা ব্যবহৃত হয়না। মসফেটে ব্যবহৃত অর্ধ-পরিবাহী এন (n) অথবা পি (p) এই দুই ধরনের হতে পারে। কি ধরনের অর্ধ-পরিবাহী ব্যবহৃত হচ্ছে তার উপর নির্ভক করে, নিয়ন্ত্রকে কি ধরনের ( ধনাত্মক/ ঋণাত্মক) বিভব পার্থক্য ব্যবহার করতে হবে। এদেরকে যথাক্রমে এন-মসফেট (n-MOSFET) ও পি-মসফেট (p-MOSFET) বা সংক্ষেপে এনমস (nMOS) ও পিমস (pMOS) বলা হয়ে থাকে।
মসফেটের নিয়ন্ত্রকে প্রয়োগকৃত বিভব পার্থক্য, , উৎস এবং নিঃসরকের মধ্যে তড়িৎ প্রবাহকে নিয়ন্ত্রন করে। এই তড়িৎ ড্রেন থেকে সোর্সের দিকে আড়াআড়ি পথে গমন করে, এবং এই পথ কে বলা হয় চ্যানেল। চ্যানেলের দৈর্ঘ্য ( L ) এবং প্রস্থ ( W ) - দুটিই মসফেটের খুব গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রক। সাধারণত দৈর্ঘ্য হয়ে থাকে, ০.১ মাইক্রোমিটার থেকে ৩ মাইক্রোমিটারের মধ্যে আর প্রস্থ ০.২ মাইক্রোমিটার থেকে ১০০ মাইক্রোমিটারের মধ্যে। মসফেটের দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থের অনুপাতকে বলা হয়ে থাকে "অ্যাসপেক্ট রেশিও" বা "আকৃতি অনুপাত"। " মসফেট একটি প্রতিসম যন্ত্র অর্থাৎ এর সোর্স এবং ড্রেন কে নিজেদের মধ্যে অদল বদল করা যায়, যন্ত্রাংশের কোনপ্রকার বৈশিষ্ট্যগত পরিবর্তন ছাড়াই।
গেটে কোন প্রকার বিভব পার্থক্য ছাড়াই মসফেটের ক্রিয়া
গেটে যদি কোন প্রকার বিভব পার্থক্য প্রয়োগ না করা হয়, তবে দুইটি ব্যাক-টু-ব্যাক ডায়োড তৈরি হবে ড্রেন এবং সোর্সের মধ্যে।একটি ডায়োড হচ্ছে পি টাইপ সাবস্ট্রেট এবং এন টাইপ সোর্স এর দ্বারা এবং অপরটি হচ্ছে পি টাইপ সাবস্ট্রেট এবং এন টাইপ ড্রেনের দ্বারা তৈরি ডায়োড।এই ব্যাক-টু-ব্যাক ডায়োড দুইটি ড্রেন থেকে সোর্সের মধ্যে বিভব পার্থক্য ( V ds )প্রদান করা হলেও, চ্যানেলে তড়িৎ প্রবাহতে বাঁধা দান করে। এ সময় চ্যানেলের রোধ অনেক বেশি থাকে যা প্রায় ১০১২ ওহম ক্রমের।

★ট্রানজিস্টর (Transistor) একটি
অর্ধপরিবাহী কৌশল যা সাধারণত
অ্যামপ্লিফায়ার এবং বৈদ্যুতিকভাবে নিয়ন্ত্রিত সুইচ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
কম্পিউটার , সেলুলার ফোন এবং অন্য সকল আধুনিক ইলেকট্রনিক্সের মূল গাঠনিক উপাদান হিসেবে ট্রানজিস্টর ব্যবহার করা হয়। দ্রুত সাড়া প্রদানের ক্ষমতা এবং সঠিক সম্পূর্ণ সঠিকভাবে কার্য সাধনের ক্ষমতার কারণে এটি আধুনিক ডিজাটাল বা অ্যানালগ যন্ত্রপাতি তৈরীতে বহুল ব্যবহৃত হচ্ছে। নির্দিষ্ট ব্যবহারগুলোর মধ্যে রয়েছে
ইলেকট্রনিক অ্যামপ্লিফায়ার, সুইচ ,
ভোল্টেজ নিয়ন্ত্রক , সংকেত উপযোজন এবং ওসিলেটর । আলাদা আলাদাভাবে ট্রানজিস্টর তৈরি করা যায়। আবার
সমন্বিত বর্তনীর অভ্যন্তরে একটি অতি ক্ষুদ্র স্থানে কয়েক মিলিয়ন পর্যন্ত ট্রানজিস্টর সংযুক্ত করা যায়

★ক্যাপাসিটর (Capacitor):
ক্যাপাসিটর অর্থ ধারক। একে কনডেনসারও বলা হয়। সার্কিটে ক্যাপাসিটর সোর্স থেকে বৈদ্যুতিক এনার্জি বা চার্জ সঞ্চয় করে থাকে। ক্যপাসিটরের বৈদ্যুতিক এনার্জি বা চার্জ সঞ্চয় করার ধর্মকে ক্যাপাসিট্যান্স বলে।

ক্যাপাসিটরের কাজ হল বৈদ্যুতিক চার্জ ধরে রাখা। রিচার্জেবল ব্যাটারি যেমন চার্জ ধরে রাখে, ক্যাপাসিটর এরও একই রকম ক্ষমতা আছে, তবে খুব স্বল্প পরিসরে।

“ক্যাপাসিটর মুলত চার্জ ধারন করে এবং ডিসি কে বাধা দেয় আর এসি কে যেতে দেয়”

ক্যাপাসিটর এর গঠন :
ক্যাপাসিটর তৈরি হয় দুটি ইলেকট্রোড বা কন্ডাকটরের সমন্বয়ে যা ইনসুলেটর বা ডাই ইলেকট্রিক দিয়ে আলাদা করা থাকে। প্রয়োজন মত পেপার, প্লাস্টিক, মাইকা, সিরামিক, গ্লাস, ভ্যাকুয়াম বা এই রকম বৈশিষ্টের অন্যকিছু দিয়ে ডাই ইলেকট্রিক তৈরি করা হয়।

ক্যাপাসিটরের ক্ষমতাঃ
ক্যাপাসিটরের ক্ষমতাকে ফ্যারাড এ প্রকাশ করা হয়। এক ফ্যারাড অনেক বড়, প্রায় 6,280,000,000,000,000,000 ইলেকট্রনের সমান। তাই ব্যাবহারীক ক্ষেত্রে মাইক্রো ফ্যার

★মাইক্রো কনট্রোলারের অপেক্ষা PLC বেশি ব্যবহার করা হয় কারনঃ

১। মাইক্রো কনট্রোলারের তুলনায় PLC এর ইনপুট আউট পুট ক্যাপাসিটি অনেক বেশি। PLC তে অতিরিক্ত মডুউল যোগ করে ইনপুট আউট পুট বকড়ানো যায়।

২। মাইক্রো কনট্রোলারের তুলনায় plc তে একাধিক প্রসেসর এবং cpu থাকতে পারে যা সাধারনত মাইক্রো কনট্রোলারে থাকে না।

৩। PLC প্রসেসিং ক্যাপাসিটি মাইক্রো কনট্রোলারের তুলনায় অনেক বেশি কার্যকর এবং দ্রুতি।

৪। PLC এর কোন ডিভাইস নস্ট হয়ে গেলে দ্রুত পরিবর্তন করা যায়।

৫। PLC তে প্রোগ্রাম করা অনেক সহজ।

৬। মাইক্রো কনট্রোলারের কোন ডিসপ্লে থাকে না। যেখানে PLC তে ডিসপ্লে ইউনিট আছে। PLC ডিসপ্লে ইউনিটের সাহায্যে কাজের মনিটরিং করা যায়। মাইক্রো কনট্রোলারে ডিসপ্লে ইউনিট নেই তবে আলাদা ভাবে ডিসপ্লে লাগানো যায়।

৭। PLC অপারেটর, তাপমাত্রা পরিবর্তন, ধূলোবালি,আদ্রতা ইত্যাদি তেমন কোন প্রভাব ফেলতে পারে না যেখানে মাইক্রো কনট্রোলারে এই সব বিষয়ে অনেক প্রভাব বিস্তার করে।

৮। PLC হাই ভোল্টেজ নিয়ে কাজ করতে পারে যেখানে  মাইক্রো কনট্রোলারে হাই ভোল্টেজ নিয়ে কাজ করতে অনেক ঝামেলা হয়।

রীলে- কিভাবে কাজ করে ও এর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

রীলে (মতান্তরে রিলে, ইংরেজী শব্দ – relay ) যদিও ইলেকট্রিক্যাল যন্ত্র বিশেষ, তবুও এর গুরুত্ব ইলেকট্রনিক্স এ কম নয়। ধরি, আমি একটা ফ্লিপফ্লপ তৈরি করেছি যা দিয়ে এলইডি জ্বলছে-নিভছে। এখন আমি যদি চাই যে এই ফ্লিপফ্লপ সার্কিটটি দ্বারা বড় কোনো বাতি স্বয়ংক্রিয় ভাবে জ্বালাবো আর নেভাবো তখন আমাকে এমন কোনো যন্ত্র/কম্পোনেন্টের সাহায্য নিতে হবে যা ঐ ছোট সার্কিটে সংযুক্ত করে এই বেশি শক্তির বাতি কে অন-অফ করতে পারি।

এটি বেশ কয়েক ভাবেই সম্ভব, কিন্তু বহুল প্রচলিত ও জনপ্রিয় পদ্ধতি হচ্ছে রীলে ব্যবহার। এটি ব্যবহার করলে আমি নিম্ন ভোল্টেজের ইলেকট্রনিক সার্কিট দ্বারাই উচ্চ ভোল্টেজে সংযুক্ত কোনো বাতি, ফ্যান কিংবা ডিভাইস চালাতে সক্ষম হবো। এই লেখাটি নবীন হবিস্ট ও আগ্রহী পাঠকদের উতসর্গ করছি যারা বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও ইলেকট্রনিক্স নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁদের উপকার হলে আমার পরিশ্রম স্বার্থক।
★রীলে কিঃ

এটি এক প্রকার ইলেকট্রো ম্যাগনেটিক বা তড়িৎ চুম্বকীয় যন্ত্র বিশেষ। সাধারণ ভাবে যদি বুঝতে চাই তা হলে একে এমন ভাবে চিন্তা করা যেতে পারে- ছোট একটা সুইচ দিয়ে যখন আমরা একটা বাতি কে জ্বালাই তখন তার জন্য আমাদের সুইচে হাত দিয়ে তাকে অফ বা অন করতে হয়। অর্থাৎ কোনো বাহ্যিক একটা শক্তি লাগে সুইচ কে অন-অফ করতে। ঠিক তেমনি ভাবেই, কোনো রীলে কেও অন বা অফ করতে এমনি বাহ্যিক শক্তি লাগে, তবে এ ক্ষেত্রে শক্তিটি বিদ্যুত চুম্বকীয় শক্তি। অর্থাৎ, এতে একটা কয়েল বা অস্থায়ী বৈদ্যুতিক চুম্বক থাকে যার মধ্যে প্রয়োজনীয় পরিমাণ বিদ্যুত সরবরাহ করলে তা সুইচটিকে অন/অফ করতে পারে। কাজেই এর মধ্যে প্রধানত ২টি অংশ থাকেঃ

সুইচিং অংশ

বিদ্যুত চুম্বকীয় অংশ

এটি কত প্রকারঃ

বাজারে প্রচলিত রীলে সমূহ প্রধানত ৩ ধরনের

SPST – Single pole single throw

SPDT – Single pole double throw

DPDT – Double pole double throw

আমরা আমাদের এই পাঠে বহুল প্রচলিত SPDT রিলে সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।

রিলে দেখতে কেমনঃ

আমরা নিচের চিত্রটিকে লক্ষ্য করলে একটি বাস্তব রিলে দেখতে কেমন হয় তা দেখতে পাবো-

এখানে খেয়াল করলে দেখবো যে এই এটির ৫ টি লেগ/পা/প্রান্ত আছে আর এর গায়ে ছোট ছোট অক্ষরে কিছু জিনিস লেখা আছে। আমরা এখন এই লেখা গুলোর অর্থ বোঝার চেষ্টা করবো।

লেখা গুলোর কোনটার মানে কিঃ

আমরা যদি একটু কাছে থেকে দেখি তা হলে লেখা গুলোকে এমন দেখতে পাবো যা দ্বারা রীলে’র বিভিন্ন মাণ কে নির্দেশ করছে-

আগেই বলেছি এটি গঠিত হয় ২টি ভিন্ন অংশ নিয়ে। এই লেখাগুলো দ্বারা এই ২টি ভিন্ন ভিন্ন অংশের ভোল্টেজ, কারেন্ট, রেজিস্টেন্স ইত্যাদি বিভিন্ন মাণ নির্দেশ করে।

আমার এই রীলে টি কতো ভোল্টেরঃ

উপরের চিত্র মোতাবেক যে এর গায়ে ২ রকমের ভোল্টেজ নির্দেশ করছে-

১০ এম্পিয়ার, ২৫০ ভোল্ট এসি / ১৫ এম্পিয়ার ১২০ ভোল্ট এসি – এর দ্বারা এটির আভ্যন্তরীন সুইচের সর্বোচ্চ ভোল্ট-এম্প সহ্য ক্ষমতা নির্দেশ করছে।

Collected★মসফেট কি,,,,,
মেটাল অক্সাইড সেমিকন্ডাক্টর ফিল্ড-ইফেক্ট ট্রানজিস্টরের (Metal Oxide Semiconductor Field Effect Transistor) অপর নাম মসফেট (MOSFET)। এটি একটি বিশেষ ধরণের ফিল্ড ইফেক্ট ট্রানজিস্টর । মসফেটের সাধারণত তিনটি সংযোগ প্রান্ত থাকে। এগুলো হল সোর্স বা উৎস, ড্রেন বা নিঃসরন এবং সবচে গুরুত্বপূর্ণ গেট বা নিয়ন্ত্রক। মসফেটের নামের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে এর গাঠনিক বৈশিষ্ট্য এবং কার্যপ্রক্রিয়ার সাথে। মসফেটের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ অংশ গেট তৈরি হয় ধাতু , অক্সাইড ও অর্ধ-পরিবাহীর সমন্বয়ে। মেটাল বা ধাতু শব্দটি সংযুক্ত হয়েছে কারণ, প্রাচীনকালের ইলেকট্রনিক চিপে সাধারণত নিয়ন্ত্রক (গেট) হিসেবে ধাতু ব্যবহৃত হতো, যদিও বর্তমানে বিশেষ ধরনের সিলিকন এক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। অবশ্য বর্তমানেও এই নামের তাৎপর্য রয়েছে। নিয়ন্ত্রকের (গেটের) মূল অংশটি তৈরি হয় অর্ধ-পরিবাহী দিয়ে, এর উপর থাকে পাতলা অক্সাইডের স্তর (সাধারণত সিলিকন ডাই অক্সাইড) আর তার উপরে ধাতু বা অন্য কোন তড়িৎ সুপরিবাহী পদার্থ। নিয়ন্ত্রকের (গেটের) দু'পাশে থাকে নিঃসরক আর উৎস যা নিয়ন্ত্রকের অর্ধ-পরিবাহী অঞ্চল দিয়ে পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন থাকে। নিয়ন্ত্রকের ধাতব অংশে বিভব পার্থক্য সৃষ্টি করলে ঐ অর্ধ-পরিবাহীতে থাকা চার্জ বাহক গুলো নিয়ন্ত্রকের ধাতব অংশের নিচে এসে জমা হয় এবং উৎস ও নিঃসরকের মাঝে একটি তড়িৎ সুপরিবাহী পথ তৈরি করে। যেহেতু তড়িৎ ক্ষেত্র সৃষ্টির কারনে এ পরিবর্তন ঘটে, সেহেতু দেখা যাচ্ছে মসফেট নামটি খুবই যুক্তিসঙ্গত। মসফেটে গেট সরাসরি অর্ধপরিবাহীর সাথে সংযুক্ত থাকেনা, কারণ এদের মাঝে সিলিকন ডাই অক্সাইডের বাঁধা থাকে। এই অন্তরককে নির্দেশ করার জন্য মসফেটের আরেক নাম দেয়া হয়েছে ইনসুলেটেড-গেট ফেট বা
আইজিফেট ; অবশ্য ইলেকট্রনিক কার্যবিবরণী বা অধ্যয়নে এই নামটি খুব একটা ব্যবহৃত হয়না। মসফেটে ব্যবহৃত অর্ধ-পরিবাহী এন (n) অথবা পি (p) এই দুই ধরনের হতে পারে। কি ধরনের অর্ধ-পরিবাহী ব্যবহৃত হচ্ছে তার উপর নির্ভক করে, নিয়ন্ত্রকে কি ধরনের ( ধনাত্মক/ ঋণাত্মক) বিভব পার্থক্য ব্যবহার করতে হবে। এদেরকে যথাক্রমে এন-মসফেট (n-MOSFET) ও পি-মসফেট (p-MOSFET) বা সংক্ষেপে এনমস (nMOS) ও পিমস (pMOS) বলা হয়ে থাকে।
মসফেটের নিয়ন্ত্রকে প্রয়োগকৃত বিভব পার্থক্য, , উৎস এবং নিঃসরকের মধ্যে তড়িৎ প্রবাহকে নিয়ন্ত্রন করে। এই তড়িৎ ড্রেন থেকে সোর্সের দিকে আড়াআড়ি পথে গমন করে, এবং এই পথ কে বলা হয় চ্যানেল। চ্যানেলের দৈর্ঘ্য ( L ) এবং প্রস্থ ( W ) - দুটিই মসফেটের খুব গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রক। সাধারণত দৈর্ঘ্য হয়ে থাকে, ০.১ মাইক্রোমিটার থেকে ৩ মাইক্রোমিটারের মধ্যে আর প্রস্থ ০.২ মাইক্রোমিটার থেকে ১০০ মাইক্রোমিটারের মধ্যে। মসফেটের দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থের অনুপাতকে বলা হয়ে থাকে "অ্যাসপেক্ট রেশিও" বা "আকৃতি অনুপাত"। " মসফেট একটি প্রতিসম যন্ত্র অর্থাৎ এর সোর্স এবং ড্রেন কে নিজেদের মধ্যে অদল বদল করা যায়, যন্ত্রাংশের কোনপ্রকার বৈশিষ্ট্যগত পরিবর্তন ছাড়াই।
গেটে কোন প্রকার বিভব পার্থক্য ছাড়াই মসফেটের ক্রিয়া
গেটে যদি কোন প্রকার বিভব পার্থক্য প্রয়োগ না করা হয়, তবে দুইটি ব্যাক-টু-ব্যাক ডায়োড তৈরি হবে ড্রেন এবং সোর্সের মধ্যে।একটি ডায়োড হচ্ছে পি টাইপ সাবস্ট্রেট এবং এন টাইপ সোর্স এর দ্বারা এবং অপরটি হচ্ছে পি টাইপ সাবস্ট্রেট এবং এন টাইপ ড্রেনের দ্বারা তৈরি ডায়োড।এই ব্যাক-টু-ব্যাক ডায়োড দুইটি ড্রেন থেকে সোর্সের মধ্যে বিভব পার্থক্য ( V ds )প্রদান করা হলেও, চ্যানেলে তড়িৎ প্রবাহতে বাঁধা দান করে। এ সময় চ্যানেলের রোধ অনেক বেশি থাকে যা প্রায় ১০১২ ওহম ক্রমের।

★ট্রানজিস্টর (Transistor) একটি
অর্ধপরিবাহী কৌশল যা সাধারণত
অ্যামপ্লিফায়ার এবং বৈদ্যুতিকভাবে নিয়ন্ত্রিত সুইচ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
কম্পিউটার , সেলুলার ফোন এবং অন্য সকল আধুনিক ইলেকট্রনিক্সের মূল গাঠনিক উপাদান হিসেবে ট্রানজিস্টর ব্যবহার করা হয়। দ্রুত সাড়া প্রদানের ক্ষমতা এবং সঠিক সম্পূর্ণ সঠিকভাবে কার্য সাধনের ক্ষমতার কারণে এটি আধুনিক ডিজাটাল বা অ্যানালগ যন্ত্রপাতি তৈরীতে বহুল ব্যবহৃত হচ্ছে। নির্দিষ্ট ব্যবহারগুলোর মধ্যে রয়েছে
ইলেকট্রনিক অ্যামপ্লিফায়ার, সুইচ ,
ভোল্টেজ নিয়ন্ত্রক , সংকেত উপযোজন এবং ওসিলেটর । আলাদা আলাদাভাবে ট্রানজিস্টর তৈরি করা যায়। আবার
সমন্বিত বর্তনীর অভ্যন্তরে একটি অতি ক্ষুদ্র স্থানে কয়েক মিলিয়ন পর্যন্ত ট্রানজিস্টর সংযুক্ত করা যায়

★ক্যাপাসিটর (Capacitor):
ক্যাপাসিটর অর্থ ধারক। একে কনডেনসারও বলা হয়। সার্কিটে ক্যাপাসিটর সোর্স থেকে বৈদ্যুতিক এনার্জি বা চার্জ সঞ্চয় করে থাকে। ক্যপাসিটরের বৈদ্যুতিক এনার্জি বা চার্জ সঞ্চয় করার ধর্মকে ক্যাপাসিট্যান্স বলে।

ক্যাপাসিটরের কাজ হল বৈদ্যুতিক চার্জ ধরে রাখা। রিচার্জেবল ব্যাটারি যেমন চার্জ ধরে রাখে, ক্যাপাসিটর এরও একই রকম ক্ষমতা আছে, তবে খুব স্বল্প পরিসরে।

“ক্যাপাসিটর মুলত চার্জ ধারন করে এবং ডিসি কে বাধা দেয় আর এসি কে যেতে দেয়”

ক্যাপাসিটর এর গঠন :
ক্যাপাসিটর তৈরি হয় দুটি ইলেকট্রোড বা কন্ডাকটরের সমন্বয়ে যা ইনসুলেটর বা ডাই ইলেকট্রিক দিয়ে আলাদা করা থাকে। প্রয়োজন মত পেপার, প্লাস্টিক, মাইকা, সিরামিক, গ্লাস, ভ্যাকুয়াম বা এই রকম বৈশিষ্টের অন্যকিছু দিয়ে ডাই ইলেকট্রিক তৈরি করা হয়।

ক্যাপাসিটরের ক্ষমতাঃ
ক্যাপাসিটরের ক্ষমতাকে ফ্যারাড এ প্রকাশ করা হয়। এক ফ্যারাড অনেক বড়, প্রায় 6,280,000,000,000,000,000 ইলেকট্রনের সমান। তাই ব্যাবহারীক ক্ষেত্রে মাইক্রো ফ্যার

★মাইক্রো কনট্রোলারের অপেক্ষা PLC বেশি ব্যবহার করা হয় কারনঃ

১। মাইক্রো কনট্রোলারের তুলনায় PLC এর ইনপুট আউট পুট ক্যাপাসিটি অনেক বেশি। PLC তে অতিরিক্ত মডুউল যোগ করে ইনপুট আউট পুট বকড়ানো যায়।

২। মাইক্রো কনট্রোলারের তুলনায় plc তে একাধিক প্রসেসর এবং cpu থাকতে পারে যা সাধারনত মাইক্রো কনট্রোলারে থাকে না।

৩। PLC প্রসেসিং ক্যাপাসিটি মাইক্রো কনট্রোলারের তুলনায় অনেক বেশি কার্যকর এবং দ্রুতি।

৪। PLC এর কোন ডিভাইস নস্ট হয়ে গেলে দ্রুত পরিবর্তন করা যায়।

৫। PLC তে প্রোগ্রাম করা অনেক সহজ।

৬। মাইক্রো কনট্রোলারের কোন ডিসপ্লে থাকে না। যেখানে PLC তে ডিসপ্লে ইউনিট আছে। PLC ডিসপ্লে ইউনিটের সাহায্যে কাজের মনিটরিং করা যায়। মাইক্রো কনট্রোলারে ডিসপ্লে ইউনিট নেই তবে আলাদা ভাবে ডিসপ্লে লাগানো যায়।

৭। PLC অপারেটর, তাপমাত্রা পরিবর্তন, ধূলোবালি,আদ্রতা ইত্যাদি তেমন কোন প্রভাব ফেলতে পারে না যেখানে মাইক্রো কনট্রোলারে এই সব বিষয়ে অনেক প্রভাব বিস্তার করে।

৮। PLC হাই ভোল্টেজ নিয়ে কাজ করতে পারে যেখানে  মাইক্রো কনট্রোলারে হাই ভোল্টেজ নিয়ে কাজ করতে অনেক ঝামেলা হয়।

রীলে- কিভাবে কাজ করে ও এর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

রীলে (মতান্তরে রিলে, ইংরেজী শব্দ – relay ) যদিও ইলেকট্রিক্যাল যন্ত্র বিশেষ, তবুও এর গুরুত্ব ইলেকট্রনিক্স এ কম নয়। ধরি, আমি একটা ফ্লিপফ্লপ তৈরি করেছি যা দিয়ে এলইডি জ্বলছে-নিভছে। এখন আমি যদি চাই যে এই ফ্লিপফ্লপ সার্কিটটি দ্বারা বড় কোনো বাতি স্বয়ংক্রিয় ভাবে জ্বালাবো আর নেভাবো তখন আমাকে এমন কোনো যন্ত্র/কম্পোনেন্টের সাহায্য নিতে হবে যা ঐ ছোট সার্কিটে সংযুক্ত করে এই বেশি শক্তির বাতি কে অন-অফ করতে পারি।

এটি বেশ কয়েক ভাবেই সম্ভব, কিন্তু বহুল প্রচলিত ও জনপ্রিয় পদ্ধতি হচ্ছে রীলে ব্যবহার। এটি ব্যবহার করলে আমি নিম্ন ভোল্টেজের ইলেকট্রনিক সার্কিট দ্বারাই উচ্চ ভোল্টেজে সংযুক্ত কোনো বাতি, ফ্যান কিংবা ডিভাইস চালাতে সক্ষম হবো। এই লেখাটি নবীন হবিস্ট ও আগ্রহী পাঠকদের উতসর্গ করছি যারা বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও ইলেকট্রনিক্স নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁদের উপকার হলে আমার পরিশ্রম স্বার্থক।
★রীলে কিঃ

এটি এক প্রকার ইলেকট্রো ম্যাগনেটিক বা তড়িৎ চুম্বকীয় যন্ত্র বিশেষ। সাধারণ ভাবে যদি বুঝতে চাই তা হলে একে এমন ভাবে চিন্তা করা যেতে পারে- ছোট একটা সুইচ দিয়ে যখন আমরা একটা বাতি কে জ্বালাই তখন তার জন্য আমাদের সুইচে হাত দিয়ে তাকে অফ বা অন করতে হয়। অর্থাৎ কোনো বাহ্যিক একটা শক্তি লাগে সুইচ কে অন-অফ করতে। ঠিক তেমনি ভাবেই, কোনো রীলে কেও অন বা অফ করতে এমনি বাহ্যিক শক্তি লাগে, তবে এ ক্ষেত্রে শক্তিটি বিদ্যুত চুম্বকীয় শক্তি। অর্থাৎ, এতে একটা কয়েল বা অস্থায়ী বৈদ্যুতিক চুম্বক থাকে যার মধ্যে প্রয়োজনীয় পরিমাণ বিদ্যুত সরবরাহ করলে তা সুইচটিকে অন/অফ করতে পারে। কাজেই এর মধ্যে প্রধানত ২টি অংশ থাকেঃ

সুইচিং অংশ

বিদ্যুত চুম্বকীয় অংশ

এটি কত প্রকারঃ

বাজারে প্রচলিত রীলে সমূহ প্রধানত ৩ ধরনের

SPST – Single pole single throw

SPDT – Single pole double throw

DPDT – Double pole double throw

আমরা আমাদের এই পাঠে বহুল প্রচলিত SPDT রিলে সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।

রিলে দেখতে কেমনঃ

আমরা নিচের চিত্রটিকে লক্ষ্য করলে একটি বাস্তব রিলে দেখতে কেমন হয় তা দেখতে পাবো-

এখানে খেয়াল করলে দেখবো যে এই এটির ৫ টি লেগ/পা/প্রান্ত আছে আর এর গায়ে ছোট ছোট অক্ষরে কিছু জিনিস লেখা আছে। আমরা এখন এই লেখা গুলোর অর্থ বোঝার চেষ্টা করবো।

লেখা গুলোর কোনটার মানে কিঃ

আমরা যদি একটু কাছে থেকে দেখি তা হলে লেখা গুলোকে এমন দেখতে পাবো যা দ্বারা রীলে’র বিভিন্ন মাণ কে নির্দেশ করছে-

আগেই বলেছি এটি গঠিত হয় ২টি ভিন্ন অংশ নিয়ে। এই লেখাগুলো দ্বারা এই ২টি ভিন্ন ভিন্ন অংশের ভোল্টেজ, কারেন্ট, রেজিস্টেন্স ইত্যাদি বিভিন্ন মাণ নির্দেশ করে।

আমার এই রীলে টি কতো ভোল্টেরঃ

উপরের চিত্র মোতাবেক যে এর গায়ে ২ রকমের ভোল্টেজ নির্দেশ করছে-

১০ এম্পিয়ার, ২৫০ ভোল্ট এসি / ১৫ এম্পিয়ার ১২০ ভোল্ট এসি – এর দ্বারা এটির আভ্যন্তরীন সুইচের সর্বোচ্চ ভোল্ট-এম্প সহ্য ক্ষমতা নির্দেশ করছে।

ভোল্টেজ কমলে বিদ্যুৎ বিল বেশি আসবে কি?

৬:৪৯ PM 0 Comments

ডিজিটাল দেশের নতুন চুরি। যা আপনার আমার মতো সাধারন মানুষের মাথায় জীবনেও আসবেনা। জানেন কি সেই চুরি? মানুষের কাছ থেকে বেশি অর্থ হাতিয়ে নেয়ার জন্য বিদ্যুতের ভোল্ট ২২০ এর পরিবর্তে ১৮০ থেকে ২০০ ভোল্ট প্রদান করা হচ্ছে, যার ফলে অ্যাম্পিয়ার বেশি লাগে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতিতে। আর এতে করে মিটার বেশি ঘোরে এবং বিদ্যুৎ বিল বেশি আসে”। একজন ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে এই কথাটা কতটুকু সত্য আর কতটুকু মিথ্যা সেটা নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করবো। এটা নিয়ে আলোচনা করার পূর্বে আমাদের প্রথমে জানতে হবে, আমরা কোনটা ব্যাবহার করি, কারেন্ট নাকি ভোল্টেজ? ইলেক্ট্রিসিটি বিল কিভাবে হিসাব করা হয়?

আমরা কোনটা ব্যাবহার করি, কারেন্ট নাকি ভোল্টেজ?

আমরা যে সকল বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ব্যাবহার করি সেগুলো চলার জন্য কারেন্ট এবং ভোল্টেজ দুইটারই প্রয়োজন হয়। যদি আপনি খুব বেশি পরিমান কারেন্ট এবং শুন্য ভোল্টেজ দেন তাহলে কোন যন্ত্রই চলবেনা। আবার যদি খুব বেশি পরিমান ভোল্টেজ এবং শুন্য  পরিমান কারেন্ট দেন তাহলেও কোন যন্ত্রই চলবেনা। কোন বৈদ্যুতিক যন্ত্র চালানোর জন্য আপনাকে অবশ্যই দুইটাই দিতে হবে। আর এই দুইটার মিলে তৈরি হয় পাওয়ার (ক্ষমতা)। আর এই পাওয়ার বা ক্ষমতা হল কারেন্ট আর ভোল্টেজের গুনফল। তবে এখানে আগে ওহম’স ল দিয়ে কি পরিমান কারেন্ট লাগবে তা বের করে নিতে হবে।

ইলেক্ট্রিসিটি বিল কিভাবে হিসাব করা হয়?

ইলেক্ট্রিসিটি বিল হিসাব করা হয় আমরা কতটুকু পাওয়ার বা ক্ষমতা ব্যাবহার করেছি তার উপর  ভিত্তি করে। আপনারা খেয়াল করলে হয়তো দেখবেন মিটারের উপরে KWh বা কিলোওয়াট-ঘন্টা লেখা থাকে। আর এই কিলোওয়াট-ঘন্টা দিয়েই আমাদের সম্পূর্ণ ইলেক্ট্রিসিটি বিল হিসাব করা হয়।

কিলোওয়াট-ঘন্টাঃ বিদুৎ শক্তির মাপের একটি সাধারন একক ওয়াট। বৈদ্যুতিক বাতিতে কত শক্তি ব্যায় হয় তা বোঝার জন্য ২৫, ৪০, ৬০, ১০০ প্রভৃতি ওয়াট লেখা থাকে। আর এই ওয়াট হলো, ভোল্টেজ আর কারেন্টের গুনফল। ওয়াট একটি ছোট একক, তাই বড় বড় যন্ত্রপাতি ইঞ্জিন ইত্যাদির ক্ষেত্রে কিলোওয়াট এককটি ব্যাবহার করা হয়। এক কিলোওয়াট বিদুৎ শক্তি এক ঘন্টা ধরে চললে যে পরিমান শক্তি ব্যায় হয় তাকে এক কিলোওয়াট-ঘন্টা বলে। বিলিংয়ের হিসাবটাও হয় কিলোওয়াট-ঘন্টায়।

যদি ৪০০ ওয়াটের কম্পিউটার ১০ ঘন্টা চললে খরচ হবে ৪০০ ওয়াট × ১০ ঘন্টা = ৪০০০ ওয়াট-ঘন্টা বা ৪ কিলোওয়াট-ঘন্টা। আর ১০০ ওয়াট লেখা একটা লাইট ২৪ ঘন্টা জ্বললে খরচ হবে ১০০ ওয়াট ×  ২৪ ঘন্টা = ২৪০০ ওয়াট-ঘন্টা বা ২.৪ কিলোওয়াট-ঘন্টা। তাহলে যদি প্রতি ইউনিটের দাম হয় ৫ টাকা তাহলে কম্পিউটারটি ১০ ঘন্টা চালাতে খরচ হবে ৪ × ৫ = ২০ টাকা। আর লাইট টি ২৪ ঘণ্টা চালাতে খরচ হবে ২.৪ × ৫ = ১২ টাকা।

ভোল্টেজ কমলে বিদ্যুৎ বিল বেশি আসবে কি?

প্রত্যেক ডিভাইসের ইন্টারনাল রেসিস্ট্যান্স থাকে এবং সেটা পরিবর্তন হয়না। আর যখন ডিভাইসটি বানানো হয় সেটি কতো ভোল্টেজে অপারেট করবে সেটাও ঠিক করা হয়, এখন মনে করেন ১০০ ওয়াট এর একটি বাল্ব কে ২২০ ভোল্ট দিলে সেটা ১০০ ওয়াটই আউটপুট দিবে, কিন্তু ভোল্টেজ যখন কমে যাবে তার আউটপুটও তখন কমে যাবে। কারন ওহম’স ল থেকে আমরা জানি, V=IR.

কোন একটা ২২০ ভোল্টেজের লাইট যদি ১০০ ওয়াটের হয় তাহলে ২২০ ভোল্টেজের লাইনে সে  প্রতি ঘণ্টায় ০.৪৫৪৫ অ্যাম্পিয়ার কারেন্ট ফুরাবে (১০০/২২০=০.৪৫৪৫)। তাহলে ২২০ ভোল্টেজ × ০.৪৫৪৫ অ্যাম্পিয়ার = ১০০ ওয়াট। এখন এই লাইটটি যদি ২৪ ঘণ্টা চলে এবং বিদ্যুতের দাম যদি প্রতি ইউনিট ৫ টাকা হয় তাহলে বিল আসবে ১০০ ওয়াট × ২৪ ঘণ্টা= ২৪০০ওয়াট-ঘণ্টা/১০০০ = ২.৪ কিলোওয়াট-ঘণ্টা × ৫ টাকা = ১২ টাকা।

আবার সেই লাইটটি যদি ২২০ ভোল্টেজের পরিবর্তে ১৮০ ভোল্টেজ পায় তখন সেখানে পাওয়ার কমে যাবে ভোল্টেজ কমছে ঠিকই কিন্তু লাইট বা বাল্বের কোন পরিবর্তন নেই। সুতরাং এটার রেজিস্ট্যান্স একই থাকবে। সেই জন্য ভোল্টেজ কমে গেলে সেটা কারেন্টও কম টানবে ফলে অ্যাম্পিয়ার কমে যাবে। আর ভোল্টেজ এবং অ্যাম্পিয়ার কমে গেলে তখন পাওয়ার বা ওয়াটও কমে যাবে।  সেই লাইটটি তখন ১০০ ওয়াট × (১৮০ভোল্টেজ/২২০ ভোল্টেজ) = ৮১ ওয়াট আউটপুট দিবে। অর্থাৎ প্রতি ঘণ্টায় সে ৮১ ওয়াট বিদ্যুৎ খরচ করবে। তখন এই লাইটটি যদি ২৪ ঘণ্টা চলে এবং বিদ্যুতের দাম যদি প্রতি ইউনিট ৫ টাকা হয় তাহলে বিল আসবে ৮১ ওয়াট × ২৪ ঘণ্টা= ১৯৪৪ওয়াট-ঘণ্টা /১০০০ = ১.৯ কিলোওয়াট-ঘণ্টা × ৫ টাকা = ৯.৫টাকা

বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই, ২০১৯

সার্ভো মটর এর কাজ

৮:২৮ AM 0 Comments

সার্ভো মোটরঃ
<br>
-ইহা এমন একটি বিশেষ মোটর যা বৃহৎ প্রিসিশন,পজিশনিং এবং মেশিন কনট্রোলে ব্যবহ্রত হয়।যেহেতু এই মোটর গুলো একটি নির্দিষট কমান্ডের ভিত্তিতে কাজ করে  তাহাকে সার্ভো মোটর বলে।

প্রকার ভেদঃ
সার্ভো সিস্টেম দুই প্রকার
১। ডিসি সার্ভো সিস্টেম।
২। এসি সার্ভো সিস্টেম।

এই মোটরের বৈশিষ্ট্যঃ
১। যে কোন গতিতে উচ্চ টর্ক সৃষ্টি করার সামর্থ্য থাকতে হবে।
২। নিন্ম গতিতে  বা স্থির অবস্থায় অতি মাত্রায় উত্তপত হবে না।
৩। দিক ও ত্বরণ পরিবর্তনের সামর্থ্য থাকতে হবে।
৪। সঠিক অবস্থানে পৌঁছাতে রেম্প আপ এবং ডাইন সূক্ষ্ম ভাবে হতে হবে।
৫। বারবার পরিচালনার সময় ড্রিফট লিমিট থাকতে হবে।।
৬। যে কোন লোডে সূক্ষ্ম ভাবে ত্বারিত ও অত্বারিত (একছেলেটর,ডেকছেলেটর) সামর্থ্য থাকতে হবে ইত্যাদি।

এই মোটরের সুবিধাঃ
১। এটা অনেক বেশি লোডে কাজ করতে পারে।
২। সূক্ষ্ম টাইম মেনে কাজ করতে পারে।
৩। মোটরে কোন সমস্যা হলে ডিসপ্লে সু করে।
৪। অধিক দক্ষতার সহিত কাজ করে।
৫। এর ইফিসিয়েনসি ১০০%
৬। ব্রেক ম্যাগনেট অত্যনত শক্তিশালি।
৭। এই মোটর সহজে নষ্ট হয় না।  ইত্যাদি
<br>
অসুবিধাঃ
১। এই মোটর অত্যনত দামী।
২। এটা নষ্ট হলে সহজে মেরামত করা যায় না।
৩। এটা কনট্রোল অত্যনত জটিল।
৪। পিএলসি ছাড়া কনট্রোল করা অনেক জটিল।
৫। এই মোটরের বিকল্প সাধারণ মোটরের মত নয়।ইত্যাদি

জেনারেটর ত্রুটি

৮:২৫ AM 0 Comments

বিভাগঃ ইউটিলিটি & পাওয়ার প্লান্ট।
বিষয়ঃ জেনারেটর।

অল্টারনেটরের কিছু ফল্টসমুহঃ
(১) স্টেটর ওয়ান্ডিং ফল্ট।
(২) ওভার স্পিড।
(৩) ওভার কারেন্ট।
(৪) ওভার ভোল্টেজ।
(৫) আন্ডার ভোল্টেজ।
(৬) আনব্যালেন্স লোড।
(৭) ওভার লোড।
(৮) আন্ডার ফ্রিকুয়েন্সি।
(৯) রিভার্স পাওয়ার।

আজকে আমরা আলোচনা করবোঃ
(১) Reverse power কি?
(২) Reverse power কেন হয়?
(৩) Reverse power হলে কি করনীয়?
(৪) Reverse power কে কিভাবে
প্রটেকশন করা হয়?
(৫) কিভাবে Reverse power রিলে
সাহায্যে জেনারেটরের Reverse
power প্রটেকশন করা হয়?

উত্তরঃ
(১) যখন কোন জেনারেটর বাসবার হতে পাওয়ার নিয়ে ওল্টা ঘুরে। অর্থাৎ মোটেরের ন্যায় ঘুরে। তাকে Reverse power বলে।

(২) মনে করি কোন প্লান্টে দুই বা দুয়ের অধিক জেনারেটর সিনক্রোনাইজিং করা আছে। কারন বশত একটি জেনারেটর ট্রিপ করছে।কিন্তু ওই জেনারেটর ব্রেকার ট্রিপ করেন নাই।ফলে উক্ত জেনারেটরটি বাসবার হতে উল্টা পাওয়ার গ্রহন করে মোটরের ন্যায় ঘুরতে থাকবে।

(৩) Reverse power অবস্থায় জেনারেটর কোন অবস্থায় বন্ধ হবে না।
যে পর্যন্ত ব্রেকার (ACB) বন্ধ না করা হবে।
কারন তখন অলটারনেটরটি বাসবার হতে পাওয়ার নিয়ে মোটরের ন্যায় ঘুরছে। ব্রেকার বন্ধ করে দিলে ইন্জিনও বন্ধ হয়ে যাবে।

(৪) Reverse power প্রটেকশনের জন্য বর্তমানে সকল কন্ট্রোল প্যানেলে একটি নির্ধারিত পয়েন্ট করা থাকে।ফলে নির্ধারিত পয়েন্ট অতিক্রম করলেও ব্রেকার সংক্রিয়ভাবে ট্রিপ হয়ে যায়।
এটি সাধারনত জেনারেটরের ক্যাপাসিটির ১০% অনুযায়ী করা হয়।যেমনঃ একটি জেনারেটরের ক্যাপাসিটি 1600 kw হলে। তার Reverse power সাধারণত 160 kw করা থাকে। ফলে Reverse power 160 kw হলেও ব্রেকার (ACB) ট্রিপ করে।

(৫) কারনবশত জেনারেটরটি বাসবার হতে হতে পাওয়ার গ্রহন করে।তখন Reverse power রিলের সাহায্যে প্রটেকশন দেওয়া হয়।
বাসবার প্রান্তে Current Transformer (CT) সংযোগ করা থাকে। ফলে যখন বাসবার হতে জেনারেটর পাওয়ার গ্রহন করে। তখন CT এর রেশিও অনুপাতে Reverse power রিলেতে কারেন্ট প্রবাহিত হতে থাকে।ফলে Reverse power রিলে সংক্রিয় হয়ে ব্রেকার (ACB) কে ট্রিপ করে দেয়।

ধন্যবাদ সবাইকে।

মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই, ২০১৯

MCB or MCCB

৯:২৫ AM 0 Comments
MCB স্ট্যান্ড ফর মিনিয়েচার সার্কিট ব্রেকার।
MCB সিংগেল, ডাবল, ট্রি পোল এবং বিশেষ ক্ষেত্রে ফোর পোল বিশিস্ট হয়ে থাকে।
MCB’র রেটেড কারেন্ট 100 Amps পর্যন্ত হয়।
MCB’র ইন্টাররুপটিং রেটিং (ব্রেকিং ক্যাপাসিটি) 18 kA নিচে হয়।
MCB’র ট্রিপিং বৈশিষ্ট্য গুলি ফিক্সড থাকে তাই প্রয়োজনে কোন প্রকার পরিবর্তন (এডজাস্টমেন্ট) করা যায় না।
MCB সাধারনত ক্ষুদ্রতর সার্কিটগুলির জন্য উপযুক্ত, যেখানে স্বাভাবিক কারেন্ট 100 এম্পিয়ার’র চেয়ে কম।
MCB সাধারণত বাসা বাড়ী ও শিল্প কারাখানার অফিস বিল্ডিংয়ের ইলেকট্রিক ওয়ারিংয়ের সাথে ব্যবহৃত হয়।
MCCB স্ট্যান্ড ফর মোলডেড কেস সার্কিট ব্রেকার। MCCB সাধারনত সিংগেল,ডাবল, ট্রিপল এবং বিশেষ ক্ষেত্রে ফোর পোল বিশিস্ট হয়ে থাকে। MCCB’র রেটেড কারেন্ট রেন্জ: 10-2500 Amps মধ্যে হয়।
MCCB’র ইন্টাররুপটিং (ব্রেকিং ক্যাপাসিটি) রেটিং রেন্জ: 10kA- 250kA হয়।
MCCB’র ট্রিপিং বৈশিষ্ট্য গুলি ফিক্সড করা থাকে না, তাই প্রয়োজনে পরিবর্তন বা এডজাস্টমেন্ট করা যায়।
MCCB’র ওভারলোড ট্রিপিংয়ের জন্য থার্মাল অপারেশন এবং তাত্ক্ষণিক (শর্ট সার্কিট) ট্রিপংয়ের জন্য ম্যাগনেটিক অপারেশন সিস্টেম এ্যাকটিভেট হয়ে সার্কিটে সুরক্ষা দিয়ে থাকে।
MCCB উচ্চ ক্ষমতা রেটিং এবং উচ্চ শক্তি সম্পন্ন সার্কিটের জন্য উপযুক্ত, যেখানে স্বাভাবিক কারেন্ট 100 Amps চেয়ে বেশী।
MCCB সাধারনত শুধু বাণিজ্যিক শিল্প কারখানায় ব্যবহৃত হয়।

MCCB স্ট্যান্ড ফর মোলডেড কেস সার্কিট ব্রেকার।

৯:২২ AM 0 Comments
MCCB স্ট্যান্ড ফর মোলডেড কেস সার্কিট ব্রেকার।
MCCB সাধারনত সিংগেল,ডাবল, ট্রিপল এবং বিশেষ ক্ষেত্রে ফোর পোল বিশিস্ট হয়ে থাকে।
MCCB’র রেটেড কারেন্ট রেন্জ: 10-2500 Amps মধ্যে হয়।
MCCB’র ইন্টাররুপটিং (ব্রেকিং ক্যাপাসিটি) রেটিং রেন্জ: 10kA- 250kA হয়।
MCCB’র ট্রিপিং বৈশিষ্ট্য গুলি ফিক্সড করা থাকে না, তাই প্রয়োজনে পরিবর্তন বা এডজাস্টমেন্ট করা যায়।
MCCB’র ওভারলোড ট্রিপিংয়ের জন্য থার্মাল অপারেশন এবং তাত্ক্ষণিক (শর্ট সার্কিট) ট্রিপংয়ের জন্য ম্যাগনেটিক অপারেশন সিস্টেম এ্যাকটিভেট হয়ে সার্কিটে সুরক্ষা দিয়ে থাকে।
MCCB উচ্চ ক্ষমতা রেটিং এবং উচ্চ শক্তি সম্পন্ন সার্কিটের জন্য উপযুক্ত, যেখানে স্বাভাবিক কারেন্ট 100 Amps চেয়ে বেশী।
MCCB সাধারনত শুধু বাণিজ্যিক শিল্প কারখানায় ব্যবহৃত হয়।

MCB ফর মিনিয়েচার সার্কিট ব্রেকার।

৯:১৯ AM 0 Comments
MCB স্ট্যান্ড ফর মিনিয়েচার সার্কিট ব্রেকার।
MCB সিংগেল, ডাবল, ট্রি পোল এবং বিশেষ ক্ষেত্রে ফোর পোল বিশিস্ট হয়ে থাকে।
MCB’র রেটেড কারেন্ট 100 Amps পর্যন্ত হয়।
MCB’র ইন্টাররুপটিং রেটিং (ব্রেকিং ক্যাপাসিটি) 18 kA নিচে হয়।
MCB’র ট্রিপিং বৈশিষ্ট্য গুলি ফিক্সড থাকে তাই প্রয়োজনে কোন প্রকার পরিবর্তন (এডজাস্টমেন্ট) করা যায় না।
MCB সাধারনত ক্ষুদ্রতর সার্কিটগুলির জন্য উপযুক্ত, যেখানে স্বাভাবিক কারেন্ট 100 এম্পিয়ার’র চেয়ে কম।
MCB সাধারণত বাসা বাড়ী ও শিল্প কারাখানার অফিস বিল্ডিংয়ের ইলেকট্রিক ওয়ারিংয়ের সাথে ব্যবহৃত হয়।
MCCB স্ট্যান্ড ফর মোলডেড কেস সার্কিট ব্রেকার। MCCB সাধারনত সিংগেল,ডাবল, ট্রিপল এবং বিশেষ ক্ষেত্রে ফোর পোল বিশিস্ট হয়ে থাকে। MCCB’র রেটেড কারেন্ট রেন্জ: 10-2500 Amps মধ্যে হয়।
MCCB’র ইন্টাররুপটিং (ব্রেকিং ক্যাপাসিটি) রেটিং রেন্জ: 10kA- 250kA হয়।
MCCB’র ট্রিপিং বৈশিষ্ট্য গুলি ফিক্সড করা থাকে না, তাই প্রয়োজনে পরিবর্তন বা এডজাস্টমেন্ট করা যায়।
MCCB’র ওভারলোড ট্রিপিংয়ের জন্য থার্মাল অপারেশন এবং তাত্ক্ষণিক (শর্ট সার্কিট) ট্রিপংয়ের জন্য ম্যাগনেটিক অপারেশন সিস্টেম এ্যাকটিভেট হয়ে সার্কিটে সুরক্ষা দিয়ে থাকে।

ম্যাগনেটিক কন্টাক্ট এর কাজ

৩:২৫ AM 0 Comments

আমি সবসময় একটু ব্যতিক্রম পোস্ট করার চেষ্টা করি,
তাই আজকে আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস,,,

কিছু কিছু জায়গায় শুধু মেগনেটিক কন্টাক দিয়ে ল্যাচিং করলেই সার্কিট ঠিকমতো কাজ করতে পারে না ঐ সমস্ত সার্কিটে রিলে দিয়ে ল্যাচিং করা একান্ত প্রয়োজন।

Md. Yaskoruni Rafi একটি Relay Latching circuit diagram চেয়ে ছিলেন কিন্তু কেউ দেয়নি। আসলে এই সার্কিটটি মোটামুটি একটি ঝামেলা। ম্যাক্সিমাম ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার এ বিষয়ে অবগত নয়। তা না হলে গ্রুপে 18 হাজার মেম্বার কেউ না কেউ উত্তর দিতো। যারা না পারেন তারা একটু টেনশন দিনএই ফিগারের প্রতি, আমারও তো ভুল হতে পারে, তাই না ?

Sajal Kumar একটি পোস্ট দিয়েছিলেন NO NC নিয়ে,
অনেকেরই সঠিক উত্তর হয়নি তাই আজকে একটু ক্লিয়ার করার চেষ্টা করলাম। আর বেশি কিছু নয়।

আমেরিকা ও জাপানে রিলের উপর গবেষণা করে পিএইচডি করা হয়।

আমরা অকারণে পুড়িয়ে ফেলি।  আমরাতো ঠিকমতো ব্যবহার করতে পারি না। এখনো NO NC নিয়ে আমরা কনফিউশনে আছি।

আজ আপনাদের মাঝে আমি controlling এর heart RELAY নিয়ে আলোচনা করবো।

এখানে 8 পিনের একটি রিলেকে ডেমো হিসেবে ধরা হলো।

  আমি ম্যাক্সিমাম ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার কে বলতে শুনেছি বা তারা বলে থাকে রিলে হোল্ডিং কয়েলের পাওয়ার পাওয়ার সাথে সাথেই NO NC এবং NC NO হয়ে যায়।

এই কথাটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। কারণ যারা এ কথা বলে থাকে তারা কন্ট্রোলিং এর ক ও বোঝেনা বলে আমার বিশ্বাস।

কারণ হোল্ডিং পাওয়ার এর সাথে NO NC এর কোন কানেকশন নেই। যতক্ষণ না পর্যন্ত তার সাথে বাহির থেকে কোন শর্ত বা power দেওয়া না হয়। Auto হওয়ার কোন চান্স নেই

এখন মূল আলোচনায় আসা যাক,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

যেহেতু 8 পিন রিলে তাহলে construction টা দেখা যাক,,,,,,,,

7 & 2 holding coil ( 220v,110v,12vdc,24vdc etc.)
যাদের মধ্যে পাওয়ার দিলে রিলে কাজ করা শুরু করে।

8 &1 common

কোন পূর্ব মুহূর্তের শর্তে সাড়া দিয়ে 6 & 3 NC
এবং 5 & 4 NO হবে।

এখন একটি 8 পিন রিলের বেস নেওয়া হলো। নেওয়ার পর আপনি যদি ঐ বেসকে মাল্টিমিটার দিয়ে বিভিন্ন টার্মিনাল মেজারমেন্ট করেন কোন ভ্যালু বা NO NC খুঁজে পাবেন না।

কিন্তু আপনি যদি ওই বেসে একটি রিলে লাগিয়ে দেন তাহলে একটি পথ বা সার্কিট কমপ্লিট হবে বা NO NC খুঁজে পাবেন। একটা বিষয় মনে রাখবেন এখনো কিন্তু হোল্ডিং কয়েল এ কোন পাওয়ার দেওয়া হয়নি।

তাহলে কিভাবে NO NC হলো ?

আপনি Multimeter দিয়ে continuity check করে দেখেন 8 এর সাথে 5 NC এবং 8 এর সাথে 6 NO

ঠিক তেমনি 1 এর সাথে 4 NC এবং 1 এর সাথে 3 No
হয়ে আছে। Without power.

তাহলে কি করে হলো।  কারণ রিলের ইন্টার কানেকশন এভাবেই করা। অর্থাৎ একটি পথ বা সার্কিট কমপ্লিট করা।

এই thime টি কাজে লাগিয়ে IPS এ পাওয়ার দেওয়া হয়।

এখনো পর্যন্ত  কিন্তু বিদ্যুতের সাথে Holding coil এর কোন প্রেম ভালোবাসার খেলা হয়নি। কারণ হোল্ডিং কয়েল এখনো সাপ্লাই শূন্য।

এখন যদি আমরা relay holding coil এ power supply দেই, তাহলে আমরা কি পাবো।

যদি আমি Holding coil এ 220v/24 VDC supply Apply করি তাহলে কি হবে ?

এখানে আসল কন্ট্রোলিং বা মজাটা। এটা আমাদের সবার মনে রাখতে হবে। যখন আমি হোল্ডিং কয়েলের পাওয়ার সাপ্লাই দিলাম তখন সাথে সাথে Relay Base Terminal 6,5,4,3 গুলি সম্পূর্ণ power শূন্য।

তাহলে কিভাবে রিল এতে পাওয়ার দেওয়ার সাথে সাথে NO NC & NC NO হলো আমায় বলেন ?

এই Logic টাই অনেকে বোঝে না।

যেহেতু পূর্বেই বলেছি একবার কোন পাওয়ার ছাড়াই কিছু কিছু টার্মিনাল NC (5 & 4) হয়েছে।

তাহলে এখন আমাদের NC করাটা দরকার !

এখন যদি আমি Relay Base Terminal 8 কে 7 এর সাথে সর্ট করে দেই তাহলে 6 কে আমি NC হিসেবে পাবো ঠিক 3 ও তাই।

এটাই আসল ব্যাপার। এখানে Directly কোন NC NO বা  NO NC হয় না। পূর্ব শর্ত ছাড়া।

আমি আমার মত পোস্ট করলাম যদি আরো কেউ এর চেয়ে ভালো জানেন তাহলে শেয়ার করবেন।

জানতে চাই জানাতে চাই।

Engr Rafikul Islam
Admin
EEE power bridge.
Dhaka.

সোমবার, ১৫ জুলাই, ২০১৯

ভাইবা প্রশ্ন ও উত্তর

৯:১৭ AM 5 Comments

ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রছাত্রীদের জন্য চাকুরির লিখিত এবং ভাইভা পরীক্ষার কিছু কমন প্রশ্ন ও উত্তর:
ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেক্ট্রনিক্স ডিপার্টমেন্ট ছাত্র-ছাত্রিদের জন্য চাকুরির লিখিত এবং মোখিক পরীক্ষার কিছু কমন প্রশ্ন এবং সলুশন দেখে নিন।
১। প্রঃ একটি চোক কয়েলের সহিত সিরিজে বাতি লাগানো হয়েছে, বাতি উজ্জ্বল ভাবে জলে, বাতি ডিম জ্বলে, বাতি জ্বলে না – কি হতে পারে ?
উঃ চোক কয়েল শর্ট, চোক কয়েল কাটা।
২। প্রঃ টিউব লাইট কত ফুট লম্বা ও কত ওয়াটের হয় ?
উ : ৪’ফুট ৪০ ওয়াট এবং ২’ফুট ২০ ওয়াট সাধারনত।
৩। প্রঃ স্টার্টার ছারা টিউব লাইট জ্বালানো যায় কি ?
উঃ হাঁ যায়,পুশ বাটন সুইচ ব্যবহার করে অথবা তারে তারে সংযোগ করেই বিচ্ছিন্ন করে দিতে হয়।
৪। প্রঃ টিউব লাইট এক বার জ্বলে আবার পর মুহুর্ত্তেই নিভে এরূপ করতেছে – দোষ কোথয় ?
উঃ স্টার্টার খারাপ কাজ করতেছে না।
৫। প্রঃ টিউব লাইটের দুই দিক জ্বলে থাকে পূর্ন ভাবে জ্বলে না – কারন কি ?
উঃ টিউবের ভিতর প্রয়োজনীয় গ্যাস নাই, অথবা প্রয়োজনীয় ভোল্টেজ পাচ্ছে না, অথবা স্টার্টার সার্কিট ব্রেক করতেছে না অথবা চোক কয়েল দুর্বল হয়ে পরেছে।
৬। সুইচ অফ করা সত্বেও হোল্ডারে সাপ্লাই পাত্তয়া যায়।
উ :সুইচ লাইনে ব্যবহার না করে নিউট্রালে ব্যবহার করা হয়েছে।
৭। দুই পিস সকেটের উভয় পিনে টেষ্টার জ্বলে কিন্তু বাতি জ্বলে না।
উ: নিউট্রাল পাচ্ছে না।
৮। বাসার সকল লোড অফে থাকা সত্বেও মিটার ঘুরে।
উ : ওয়্যারিং কোথাও আর্থ পেয়ে গিয়েছে।
৯। কলিং বেলের আওয়াজ খুব বেশী কি ভাবে কমাবে ?
উ : কম পাওয়ারের বাতি কলিং বেলের সাথে সিরেজে ব্যবহার করে।
১০। বাতির কাঁচ ভেঙ্গে গেলে ফিলামেন্ট হতে আর আলো বের হয় না কেন ?
উ: ফিলামেন্ট অক্্িরজেন পায় বিধায় ইহা জ্বলে যায়।
১১। সান্ট ফিল্ডের কয়েল চিকন তারের অধিক প্যাঁচের এবং সিরিজ ফিল্ডের কয়েল মোটা তারের কম প্যাঁচের থাকে কেন ?
উ: কারন সান্ট ফিল্ড পূর্ণ ভোল্টেজ পায় এবং সিরিজ ফিল্ড পূর্ণ লোড কারেন্ট পায়।
১২। একটি ডিসি জেনারেটর পূর্ণ স্পিডে ঘুরতেছে কিন্তু ভোল্টেজ উৎপন্ন হইতেছে না- কারন কি?
উ: (১) ফিল্ডে রেসিডিয়্যাল মেগনেটিজম নেই
(২) জেনারেটর উল্টা ঘুরতেছে
(৩) ফিল্ডের কয়েল ওপেন
(৪) আর্মেচার কয়েল ওপেন
(৫) কার্বন ব্্রাস কম্যুটেটরে সংযোগ নেই।
১৩। একটি ডিসি মোটর উল্টা ঘুরতেছে কি ভাবে ঠিক করেবে?
উ: হয় ইহার ফিল্ডের কানেকশন না হয় আর্মেচারের কানেকশন উল্টাইায়া দিতে হবে।
১৪। স্টার্টার মোটর র্স্টাট দেয়া ছারা আর কি কি কাজ করে?
উ: ইহা ওভার লোডে এবং সাপ্লাই চলে গেলে মোটরকে সোর্স হতে আপনা আপনি বিচ্ছিন্ন করে।
১৫। স্টার্টারের হাতল শেষ প্রান্তে থাকে না।
উ: হোলডিং কোয়েল কাজ করে না, খারাপ।
১৬। একটি ১০ হর্স পাওয়ারের মোটর দ্বারা ১০ হর্স পাওয়ারের জেনারেটর ঘুরিয়ে তাহা হতে ১০ হর্স পাওয়ার জেনারেশন পাওয়া যাবে কি?
উ: না, কারন কখনও ইনপুট আউটপুট সমান হয় না।
১৭। ডায়নামো কি ?
উ: ডিসি জেনারেটরকে ডায়নামো বলে।
১৮। আর্মেচার লোহার তৈরি কিন্তু কম্যুটেটর তামার তৈরির কারন কি ?
উ: কারন আর্মেচার ম্যাগনেটিক ফিল্ডে থাকে আর কম্যুটেটর ম্যাগনেটিক ফিল্ডের বাইরে থাকে।
১৯। কোন প্রকার ওয়্যাইন্ডিং কখন ব্যবহ্নত হয় ?
উ: ল্যাপ ওয়্যাইন্ডিং বেশী কারেন্টের জন্য এবং ওয়েভ ওয়্যাইন্ডিং বেশী ভোল্টেজের জন্য ব্যবহ্নত হয়।
২০। এক ফেজ মোটরের দোষ কি ?
উ: ইহা নিজে নিজে র্স্টাট নিতে পারে না।
২১। তিন ফেজ হতে এক ফেজ নেয়া যায় কি ?
উ: হ্যাঁ, যদি স্টার কানেকশন থাকে, তবে একটি লাইন ও নিউট্রালে এক ফেজ সাপ্লাই পাওয়া যায়।
২২। সিলিং ফ্যানের স্পিড কমে যাওয়ার কারন কি?
উ: পূর্ণ ভোল্টেজ পাচ্ছে না, না হয় ক্যাপাসিটর দুর্বল না হয় বল বিয়ারিং জ্যাম, না হয় কয়েলের ইন্সুলেশন দূর্বল।
২৩। পাখা পূর্ণ বেগে ঘুরা সত্বেও বাতাস পাওয়া যায় না কেন ?
উ: পাখার ব্লেডের বাক কম না হয় পাখার পিছনে প্রয়োজনীয় ফাকা জায়গা নেই।
২৪। পাখা উল্টা ঘুরে গেলে কি ভাবে ঠিক করবে ?
উ: ক্যাপাসিটরের কয়েল কানেকশন বদল করে, আথবা হয় রানিং না হয় র্স্টাটিং কয়েল বদল করে ঠিক করা যায়।
২৫। সিলিং ফ্যানের কোন দিকের বল বিয়ারিং সাধারনতঃ আগে খারাপ হয় ?
উ: উপরের বিয়ারিং খারাপ হয়।
২৬। সিলিং ফ্যান স্টার্ট দেওয়ার সংঙ্গে সংঙ্গে ইহার কানেকটিং রডে খট খট আওয়াজ হয়ে পরে আওয়াজ বন্ধ হয়ে যায় কারন কি ?
উ: ইহার রডে রাবার বুশ নেই।
২৭। কোন মোটর এসি এবং ডিসি উভয় সাপ্লাই এ চলে ?
উ: ইউনিভার্সাল মোটর (ডিসি সিরিজ মোটর) ।
২৮। তিন ফেজ মোটর উল্টা ঘুরতেছে, কিভাবে ঠিক করবে ?
উ: ইহার যে কোন দুই ফেজের জায়গা বদল করে দিতে হবে।
২৯। তিন ফেজ ১০ ঘোড়া ইন্ডাকশন মোটর ফুল লোডে কত কারেন্ট নিবে ?
উ: ১৫ এম্পিয়ার (প্রতি ঘোড়া ১.৫ এম্পিয়ার হিসাবে)।
৩০। তিন ফেজ মোটর স্টার্ট দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্টার্ট নেয় না গোঁ গোঁ শব্দ করে।
উ: (১) তিন ফেজের – কোন এক ফেজে সাপ্লাই নেই
(২) মেইন সুইচে কোন ফেজের ফিউজ নেই
(৩) মোটরের তিন ফেজ ওয়াইন্ডিং এর কোন ফেজ কাটা, সাপ্লাই পাচ্ছে না
(৪) বল বিয়ারিং খুব জ্যাম
(৫) মোটরের স্যাপ্ট বাঁকা হয়ে গিয়েছে।
৩১। চলন্ত অবস্থায় তিন ফেজ মোটরের এক ফেজ চলে গেলে কি হবে ?
উ : যদি লোড বিহীন অবস্থায় থাকে তবে মোটর ঘুরতে থাকবে কিন্তু গরম হয়ে যাবে এবং ভিন্ন রকম আওয়াজ করবে। আর যদি লোডেড অবস্থায় থাকে , তবে মোটর সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ হয়ে যাবে। যদি মেইন সুইচ অফ করে দেওয়া না হয়, তবে মোটর জ্বলে যাবে।
৩২। তিন ফেজ ২০ ঘোড়া মোটরের জন্য ক্রয়কৃত স্টার ডেল্টা স্টার্টার ১০ ঘোড়া তিন ফেজ মোটরের ব্যবহার করা যাবে কি ?
উ : হ্যাঁ, যাবে তবে কারেন্ট সেটিং এর মান কমিয়ে দিতে হবে।
৩৩। স্টার ডেল্টা স্টার্টারের ম্যাগনেটিক কয়েল কত ভোল্টেজ সাপ্লাই পায় ?
উ : সরাসরি ৪০০ ভোল্ট সাপ্লাই পায়। (লাইন টু লাইন)
৩৪। একটি তিন ফেজ মোটরের বডিতে টেস্ট বাতির এক মাথা সংযোগ করে অন্য মাথা সাপ্লাই এর সাথে সংযোগ করলে বাতি পূর্ণ ভাবে জ্বলে, ইহাতে কি বুঝা যায় ?
উ : মোটরের বডি ভাল ভাবে আর্থ করা হয়েছে।
৩৫। ইন্সুলেশন রেজিস্ট্যান্স কি মিটার দ্বারা মাপা হয় ?
উ : মেগার দ্বারা।
৩৬। আর্থ রেজিস্ট্যান্স কি ভাবে মাপা হয় ?
উ : মেগার আর্থ টেস্টারের সাহায্যে অথবা মোটামুটি ভাবে একটি ১০০ ওয়াটের বাতি আর্থ তার লাইনের মধ্যে সংযোগ করার পর যদি উজ্জ্বল ভাবে জ্বলে , তাহলে আর্থিং ভাল আছে।
৩৭। আর্থিং রেজিস্ট্যান্স কত হওয়া বান্ছনীয় ?
উ : বাসাবাড়ীর জন্য বেশীর পক্ষে ৫ ওহম এবং সাব স্টেশন ও পাওয়ার লাইনের জন্য বেশীর পক্ষে ১ ওহম হওয়া দরকার।
৩৮। কোন ট্রান্সফরমারের কেবল মাত্র একটি কয়েল থাকে ?
উ : অটো ট্রান্সফরমার।
৩৯। এক ফেজ ট্রান্সফরমার দ্বারা তিন ফেজ সাপ্লাই দেওয়া যায় কি ?
উ : হ্যাঁ যায়, ভি ভি বা ওপেন ডেল্টা কানেকশন করে।
৪০। ট্রান্সফরমার হামিং কি ?
উ : ট্রান্সফরমারের কোর এবং কয়েল কানেকশন যদি মজবুত ভাবে না করা থাকে, লুজ কানেকশন থাকে তাহলে ফুল লোড অবস্থায় কাঁপতে থাকে এবং এক প্রকার আওয়াজ হয়, তাহাই হামিং।
৪১। ট্রান্সফরমার গরম হওয়ার কারন কি ?
উ : (১) ওভার লোড হওয়ার জন্য হতে পারে
(২) ইন্সুলেশন দুর্বল হয়ে গেলে
(৩) কোথাও আর্থ হয়ে গেলে
(৪) ওভার ভোল্টেজ সাপ্লাইয়ের জন্য।
৪২। সিলিকা জেলের স্বাভাবিক রং কি রূপ থাকে ?
উ : ভাল অবস্থায় ধব ধবে সাদা, কিন্তু জলীয় বাস্প গ্রহন করলে কিছুটা বাদামী রং এর হয়ে যায়,আবার উত্তাপ দিলে ইহা সাদা হয়ে যায়।
৪৩। ট্রান্সফরমার তৈলের কাজ কি ?
উ : ইহার প্রধান কাজ দুটি- প্রথমত ইহা ইন্সুলেশনের কাজ করে, দ্বিতীয়ত ট্রান্সফরমারকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্যে করে।
৪৪। ব্রিদার কি ?
উ : ইহা ট্রান্সফরমারের কনজার্ভেটরের সহিত লাগানো থাকে, যার মাধ্যমে বাহির হতে ঠান্ডা বাতাস ফিল্টার হয়ে ট্যাংকে ঢুকে এবং গরম বাতাস ট্যাংক হতে বাহির হয়ে যায়।
৪৫। বুকল্স রিলে কি ?
উ : ইহা এক প্রকার রিলে যাহা ট্রান্সফরমারের ট্যাংক ও কনজার্ভেটরের সংযোগকারী পাইপের মধ্যে বসানো থাকে এবং ট্রান্সফরমারের ভিতরে ত্রুটি দেখা দিলে সর্তক ঘন্টা বাজিয়ে থাকে।
৪৬। গার্ড ওয়্যার কি ?
উ : ট্রান্সমিশন লাইনের নীচে ব্যবহ্নত তার, যাহা আর্থের সহিত সংযোগ থাকে।
৪৭। ব্যাটারীর সলিউশন তৈরির সময় এসিড পানিতে না পানি এসিডে মিশাতে হয় ?
উ : এসিড পানিতে মিশাতে হয়।
৪৮। জাম্পার কি ?
উ : মেইন লাইন হতে বাসা বাড়ীতে সাপ্লাই লাইনের সংযোগ রক্ষাকারী তার।
৪৯। ডেম্পার ওয়্যাইন্ডিং কি ?
উ : সিনক্রোনাস মোটরকে র্স্টাট দেওয়ার জন্য ইহার পোলের উপর মোটা তারের ওয়্যাইন্ডিং দেওয়া হয় এবং ইহা অল্টারনেটরে ও ব্যবহ্নত হয় হান্টিং দোষ কমানোর জন্য।
৫০। সি.বি কি ?
উ : সার্কিট ব্রেকার যাহা ক্রটি পূর্ণ লাইনকে আপনা আপনি র্সোস হতে বিচ্ছিন্ন করে।
৫১। এ.সি কে ডি.সি এবং ডি.সি কে এ.সি কি ভাবে করা হয় ?
উ : এ.সি কে ডি.সি করা হয় রেকটিফায়ার ও রোটারী কনভার্টার দ্বারা এবং ডি.সি কে এ.সি করা হয় ইনভার্টার দ্বারা।

tags: ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং, লিখিত পরীক্ষা, ভাইভা পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তর, ইন্টারভিউ নলেজ, eee বেসিক প্রশ্ন ও উত্তর, eee interview knowledge, eee basic question and answer.
RA Apan
EEE knowledge

পল্লীবিদ্যুৎ সমিতিতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি                                                   post:139
Updated_books_List_for_all_Engineerings_Dept.
প্রিয় EEE অনেকেই জানে না বাজারে ভাল মানের বই কোন গুলো , আমি তাদের কেই বলব যাহারা সরকারি , বেসরকারি সকল জব এক্সামে ১০০ তে ১০০ পেতে চান এবং ভাইবা বোর্ডে কনফিন্ডেন সহকারে সকল উত্তর দিতে চান , সেই সকল জ্ঞান পিপাষু পাঠক বই গুলো কালেক্ট করে কমরে গামচা বেধে Hard and soul study শুরু করেন জব আপনাকে খুজে নিবে ।
বই গুলো আমাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করতে পারেন
যোগাযোগ
01714998736 আপন
বই গুলো কমপ্লিট করলে সকল সেক্টরে টিকবেন , যেমন :
ASPGCL
BICC
BAPEX
BIWTA
BCS
BPDB
WASA
EGCB
REB
PGCL
PGCB
PDB
NWPGCL
Msc in BUET
Defence Ministry EEE
BREB
DPDB
DPDC
DESCO
DESA
BTCL
Bangladesh Bank
Teletalk
Sinha Power
APSCL
BEPZA
Sylhet Gas
BWDD etc.
আপনারা যারা এখনও বই নেন নি বা নিবেন কিনা চিন্তায় আছেন ।
চিন্তায় সময় নষ্ট না করে বই গুলো কালেক্ট করে
১০০% জব সেক্টরে নিজের দক্ষতার পরিচয় দিন ।
In here including
1 . Objective 6k+
Theory
Math
Viva question + solutions
2013 to 2019 all sector job solutions
Bsc_in_EEE book price list:
1.Eee job solutions 710
2.Electrical viva 200
3.Electrical Technology 350
Electronic and Telecommunications objective 290
5.Hand note 410
Total price 1960 taka
Courier fee 180 taka [dhaka 100]
Haque EEE job solution 300 taka[ Bangla Version]
Bsc_in_Mechanical
1.JOB solutions 710 taka
2.Haque Mecanical job solution 300 taka[ Bangla Version]
Bsc_in_Civil
1.Job solutions 700 taka [Previous Job solution]
2.Hand note civil 400 taka[ written+math+viva]
3.Theory and Math+Basic by Khurmi 270 TAKA
3.Haque Civil job solution 300 taka [ Bangla Version]
Diploma_in_Electrical
1.Prime job solutions 350 taka [Previous job solution updated]
2.Electrical Interview knowledge 450 taka [ written+math]
3.Prime DUET EEE admission guide 280 taka [4 year theory+math]
4.Optimam 370 taka [4 year theory+math]
non-department
5.BPSC 450 taka [ Last updated 19 June 2019]
6.Dizester 370 taka [Bangla+English+General Knowledge]
Diploma_in_Electronics
1.Electronics Interview knowledge 450 taka[ written+math]
2.Prime DUET admission guide 280 taka [4 year theory+math]
3.Optimam 370 taka [4 year theory+math]
non-department
4.Dizester 370 taka [Bangla+English+General Knowledge]
5.BPSC 450 taka[ Last updated 19 June 2019]
Diploma_in_Mechanical
1.Mechanical Interview knowledge 450 taka[ written+math]
2.Prime Mechanical job solutions 280 taka [Previous job solution updated]
3.Prime DUET Mechanical admission guide 280 taka [4 year theory+math]
non-department
3.Dizester 370 taka [Bangla+English+General Knowledge]
4.BPSC 450 taka[ Last updated 19 June 2019]
Diploma_in_Civil
1.Prime CIVIL job solutions 280 taka [Previous job solution updated]
2.Civil Interview knowledge 380 taka [ written+math]
3.Prime DUET CIVIL admission guide 340 taka [4 year theory+math]
non-department
4.Dizester 370 taka
5.BPSC 450 taka