মেটাল অক্সাইড সেমিকন্ডাক্টর ফিল্ড-ইফেক্ট ট্রানজিস্টরের (Metal Oxide Semiconductor Field Effect Transistor) অপর নাম মসফেট (MOSFET)।
এটি একটি বিশেষ ধরণের ফিল্ড ইফেক্ট ট্রানজিস্টর ।
মসফেটের সাধারণত তিনটি সংযোগ প্রান্ত থাকে। এগুলো হল সোর্স বা উৎস, ড্রেন বা নিঃসরন এবং সবচে গুরুত্বপূর্ণ গেট বা নিয়ন্ত্রক। মসফেটের নামের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে এর গাঠনিক বৈশিষ্ট্য এবং কার্যপ্রক্রিয়ার সাথে। মসফেটের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ অংশ গেট তৈরি হয় ধাতু , অক্সাইড ও অর্ধ-পরিবাহীর সমন্বয়ে। মেটাল বা ধাতু শব্দটি সংযুক্ত হয়েছে কারণ, প্রাচীনকালের ইলেকট্রনিক চিপে সাধারণত নিয়ন্ত্রক (গেট) হিসেবে ধাতু ব্যবহৃত হতো, যদিও বর্তমানে বিশেষ ধরনের সিলিকন এক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। অবশ্য বর্তমানেও এই নামের তাৎপর্য রয়েছে। নিয়ন্ত্রকের (গেটের) মূল অংশটি তৈরি হয় অর্ধ-পরিবাহী দিয়ে, এর উপর থাকে পাতলা অক্সাইডের স্তর (সাধারণত সিলিকন ডাই অক্সাইড) আর তার উপরে ধাতু বা অন্য কোন তড়িৎ সুপরিবাহী পদার্থ। নিয়ন্ত্রকের (গেটের) দু'পাশে থাকে নিঃসরক আর উৎস যা নিয়ন্ত্রকের অর্ধ-পরিবাহী অঞ্চল দিয়ে পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন থাকে। নিয়ন্ত্রকের ধাতব অংশে বিভব পার্থক্য সৃষ্টি করলে ঐ অর্ধ-পরিবাহীতে থাকা চার্জ বাহক গুলো নিয়ন্ত্রকের ধাতব অংশের নিচে এসে জমা হয় এবং উৎস ও নিঃসরকের মাঝে একটি তড়িৎ সুপরিবাহী পথ তৈরি করে। যেহেতু তড়িৎ ক্ষেত্র সৃষ্টির কারনে এ পরিবর্তন ঘটে, সেহেতু দেখা যাচ্ছে মসফেট নামটি খুবই যুক্তিসঙ্গত। মসফেটে গেট সরাসরি অর্ধপরিবাহীর সাথে সংযুক্ত থাকেনা, কারণ এদের মাঝে সিলিকন ডাই অক্সাইডের বাঁধা থাকে। এই অন্তরককে নির্দেশ করার জন্য মসফেটের আরেক নাম দেয়া হয়েছে ইনসুলেটেড-গেট ফেট বাআইজিফেট ; অবশ্য ইলেকট্রনিক কার্যবিবরণী বা অধ্যয়নে এই নামটি খুব একটা ব্যবহৃত হয়না। মসফেটে ব্যবহৃত অর্ধ-পরিবাহী এন (n) অথবা পি (p) এই দুই ধরনের হতে পারে। কি ধরনের অর্ধ-পরিবাহী ব্যবহৃত হচ্ছে তার উপর নির্ভক করে, নিয়ন্ত্রকে কি ধরনের ( ধনাত্মক/ ঋণাত্মক) বিভব পার্থক্য ব্যবহার করতে হবে। এদেরকে যথাক্রমে এন-মসফেট (n-MOSFET) ও পি-মসফেট (p-MOSFET) বা সংক্ষেপে এনমস (nMOS) ও পিমস (pMOS) বলা হয়ে থাকে।
মসফেটের নিয়ন্ত্রকে প্রয়োগকৃত বিভব পার্থক্য, , উৎস এবং নিঃসরকের মধ্যে তড়িৎ প্রবাহকে নিয়ন্ত্রন করে। এই তড়িৎ ড্রেন থেকে সোর্সের দিকে আড়াআড়ি পথে গমন করে, এবং এই পথ কে বলা হয় চ্যানেল। চ্যানেলের দৈর্ঘ্য ( L ) এবং প্রস্থ ( W ) - দুটিই মসফেটের খুব গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রক। সাধারণত দৈর্ঘ্য হয়ে থাকে, ০.১ মাইক্রোমিটার থেকে ৩ মাইক্রোমিটারের মধ্যে আর প্রস্থ ০.২ মাইক্রোমিটার থেকে ১০০ মাইক্রোমিটারের মধ্যে। মসফেটের দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থের অনুপাতকে বলা হয়ে থাকে "অ্যাসপেক্ট রেশিও" বা "আকৃতি অনুপাত"। " মসফেট একটি প্রতিসম যন্ত্র অর্থাৎ এর সোর্স এবং ড্রেন কে নিজেদের মধ্যে অদল বদল করা যায়, যন্ত্রাংশের কোনপ্রকার বৈশিষ্ট্যগত পরিবর্তন ছাড়াই।
গেটে কোন প্রকার বিভব পার্থক্য ছাড়াই মসফেটের ক্রিয়া
গেটে যদি কোন প্রকার বিভব পার্থক্য প্রয়োগ না করা হয়, তবে দুইটি ব্যাক-টু-ব্যাক ডায়োড তৈরি হবে ড্রেন এবং সোর্সের মধ্যে।একটি ডায়োড হচ্ছে পি টাইপ সাবস্ট্রেট এবং এন টাইপ সোর্স এর দ্বারা এবং অপরটি হচ্ছে পি টাইপ সাবস্ট্রেট এবং এন টাইপ ড্রেনের দ্বারা তৈরি ডায়োড।এই ব্যাক-টু-ব্যাক ডায়োড দুইটি ড্রেন থেকে সোর্সের মধ্যে বিভব পার্থক্য ( V ds )প্রদান করা হলেও, চ্যানেলে তড়িৎ প্রবাহতে বাঁধা দান করে। এ সময় চ্যানেলের রোধ অনেক বেশি থাকে যা প্রায় ১০১২ ওহম ক্রমের।
★ট্রানজিস্টর (Transistor) একটি
অর্ধপরিবাহী কৌশল যা সাধারণত
অ্যামপ্লিফায়ার এবং বৈদ্যুতিকভাবে নিয়ন্ত্রিত সুইচ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
কম্পিউটার , সেলুলার ফোন এবং অন্য সকল আধুনিক ইলেকট্রনিক্সের মূল গাঠনিক উপাদান হিসেবে ট্রানজিস্টর ব্যবহার করা হয়। দ্রুত সাড়া প্রদানের ক্ষমতা এবং সঠিক সম্পূর্ণ সঠিকভাবে কার্য সাধনের ক্ষমতার কারণে এটি আধুনিক ডিজাটাল বা অ্যানালগ যন্ত্রপাতি তৈরীতে বহুল ব্যবহৃত হচ্ছে। নির্দিষ্ট ব্যবহারগুলোর মধ্যে রয়েছে
ইলেকট্রনিক অ্যামপ্লিফায়ার, সুইচ ,
ভোল্টেজ নিয়ন্ত্রক , সংকেত উপযোজন এবং ওসিলেটর । আলাদা আলাদাভাবে ট্রানজিস্টর তৈরি করা যায়। আবার
সমন্বিত বর্তনীর অভ্যন্তরে একটি অতি ক্ষুদ্র স্থানে কয়েক মিলিয়ন পর্যন্ত ট্রানজিস্টর সংযুক্ত করা যায়
★ক্যাপাসিটর (Capacitor):
ক্যাপাসিটর অর্থ ধারক। একে কনডেনসারও বলা হয়। সার্কিটে ক্যাপাসিটর সোর্স থেকে বৈদ্যুতিক এনার্জি বা চার্জ সঞ্চয় করে থাকে। ক্যপাসিটরের বৈদ্যুতিক এনার্জি বা চার্জ সঞ্চয় করার ধর্মকে ক্যাপাসিট্যান্স বলে।
ক্যাপাসিটরের কাজ হল বৈদ্যুতিক চার্জ ধরে রাখা। রিচার্জেবল ব্যাটারি যেমন চার্জ ধরে রাখে, ক্যাপাসিটর এরও একই রকম ক্ষমতা আছে, তবে খুব স্বল্প পরিসরে।
“ক্যাপাসিটর মুলত চার্জ ধারন করে এবং ডিসি কে বাধা দেয় আর এসি কে যেতে দেয়”
ক্যাপাসিটর এর গঠন :
ক্যাপাসিটর তৈরি হয় দুটি ইলেকট্রোড বা কন্ডাকটরের সমন্বয়ে যা ইনসুলেটর বা ডাই ইলেকট্রিক দিয়ে আলাদা করা থাকে। প্রয়োজন মত পেপার, প্লাস্টিক, মাইকা, সিরামিক, গ্লাস, ভ্যাকুয়াম বা এই রকম বৈশিষ্টের অন্যকিছু দিয়ে ডাই ইলেকট্রিক তৈরি করা হয়।
ক্যাপাসিটরের ক্ষমতাঃ
ক্যাপাসিটরের ক্ষমতাকে ফ্যারাড এ প্রকাশ করা হয়। এক ফ্যারাড অনেক বড়, প্রায় 6,280,000,000,000,000,000 ইলেকট্রনের সমান। তাই ব্যাবহারীক ক্ষেত্রে মাইক্রো ফ্যার
★মাইক্রো কনট্রোলারের অপেক্ষা PLC বেশি ব্যবহার করা হয় কারনঃ
১। মাইক্রো কনট্রোলারের তুলনায় PLC এর ইনপুট আউট পুট ক্যাপাসিটি অনেক বেশি। PLC তে অতিরিক্ত মডুউল যোগ করে ইনপুট আউট পুট বকড়ানো যায়।
২। মাইক্রো কনট্রোলারের তুলনায় plc তে একাধিক প্রসেসর এবং cpu থাকতে পারে যা সাধারনত মাইক্রো কনট্রোলারে থাকে না।
৩। PLC প্রসেসিং ক্যাপাসিটি মাইক্রো কনট্রোলারের তুলনায় অনেক বেশি কার্যকর এবং দ্রুতি।
৪। PLC এর কোন ডিভাইস নস্ট হয়ে গেলে দ্রুত পরিবর্তন করা যায়।
৫। PLC তে প্রোগ্রাম করা অনেক সহজ।
৬। মাইক্রো কনট্রোলারের কোন ডিসপ্লে থাকে না। যেখানে PLC তে ডিসপ্লে ইউনিট আছে। PLC ডিসপ্লে ইউনিটের সাহায্যে কাজের মনিটরিং করা যায়। মাইক্রো কনট্রোলারে ডিসপ্লে ইউনিট নেই তবে আলাদা ভাবে ডিসপ্লে লাগানো যায়।
৭। PLC অপারেটর, তাপমাত্রা পরিবর্তন, ধূলোবালি,আদ্রতা ইত্যাদি তেমন কোন প্রভাব ফেলতে পারে না যেখানে মাইক্রো কনট্রোলারে এই সব বিষয়ে অনেক প্রভাব বিস্তার করে।
৮। PLC হাই ভোল্টেজ নিয়ে কাজ করতে পারে যেখানে মাইক্রো কনট্রোলারে হাই ভোল্টেজ নিয়ে কাজ করতে অনেক ঝামেলা হয়।
রীলে- কিভাবে কাজ করে ও এর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
রীলে (মতান্তরে রিলে, ইংরেজী শব্দ – relay ) যদিও ইলেকট্রিক্যাল যন্ত্র বিশেষ, তবুও এর গুরুত্ব ইলেকট্রনিক্স এ কম নয়। ধরি, আমি একটা ফ্লিপফ্লপ তৈরি করেছি যা দিয়ে এলইডি জ্বলছে-নিভছে। এখন আমি যদি চাই যে এই ফ্লিপফ্লপ সার্কিটটি দ্বারা বড় কোনো বাতি স্বয়ংক্রিয় ভাবে জ্বালাবো আর নেভাবো তখন আমাকে এমন কোনো যন্ত্র/কম্পোনেন্টের সাহায্য নিতে হবে যা ঐ ছোট সার্কিটে সংযুক্ত করে এই বেশি শক্তির বাতি কে অন-অফ করতে পারি।
এটি বেশ কয়েক ভাবেই সম্ভব, কিন্তু বহুল প্রচলিত ও জনপ্রিয় পদ্ধতি হচ্ছে রীলে ব্যবহার। এটি ব্যবহার করলে আমি নিম্ন ভোল্টেজের ইলেকট্রনিক সার্কিট দ্বারাই উচ্চ ভোল্টেজে সংযুক্ত কোনো বাতি, ফ্যান কিংবা ডিভাইস চালাতে সক্ষম হবো। এই লেখাটি নবীন হবিস্ট ও আগ্রহী পাঠকদের উতসর্গ করছি যারা বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও ইলেকট্রনিক্স নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁদের উপকার হলে আমার পরিশ্রম স্বার্থক।
★রীলে কিঃ
এটি এক প্রকার ইলেকট্রো ম্যাগনেটিক বা তড়িৎ চুম্বকীয় যন্ত্র বিশেষ। সাধারণ ভাবে যদি বুঝতে চাই তা হলে একে এমন ভাবে চিন্তা করা যেতে পারে- ছোট একটা সুইচ দিয়ে যখন আমরা একটা বাতি কে জ্বালাই তখন তার জন্য আমাদের সুইচে হাত দিয়ে তাকে অফ বা অন করতে হয়। অর্থাৎ কোনো বাহ্যিক একটা শক্তি লাগে সুইচ কে অন-অফ করতে। ঠিক তেমনি ভাবেই, কোনো রীলে কেও অন বা অফ করতে এমনি বাহ্যিক শক্তি লাগে, তবে এ ক্ষেত্রে শক্তিটি বিদ্যুত চুম্বকীয় শক্তি। অর্থাৎ, এতে একটা কয়েল বা অস্থায়ী বৈদ্যুতিক চুম্বক থাকে যার মধ্যে প্রয়োজনীয় পরিমাণ বিদ্যুত সরবরাহ করলে তা সুইচটিকে অন/অফ করতে পারে। কাজেই এর মধ্যে প্রধানত ২টি অংশ থাকেঃ
সুইচিং অংশ
বিদ্যুত চুম্বকীয় অংশ
এটি কত প্রকারঃ
বাজারে প্রচলিত রীলে সমূহ প্রধানত ৩ ধরনের
SPST – Single pole single throw
SPDT – Single pole double throw
DPDT – Double pole double throw
আমরা আমাদের এই পাঠে বহুল প্রচলিত SPDT রিলে সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।
রিলে দেখতে কেমনঃ
আমরা নিচের চিত্রটিকে লক্ষ্য করলে একটি বাস্তব রিলে দেখতে কেমন হয় তা দেখতে পাবো-
এখানে খেয়াল করলে দেখবো যে এই এটির ৫ টি লেগ/পা/প্রান্ত আছে আর এর গায়ে ছোট ছোট অক্ষরে কিছু জিনিস লেখা আছে। আমরা এখন এই লেখা গুলোর অর্থ বোঝার চেষ্টা করবো।
লেখা গুলোর কোনটার মানে কিঃ
আমরা যদি একটু কাছে থেকে দেখি তা হলে লেখা গুলোকে এমন দেখতে পাবো যা দ্বারা রীলে’র বিভিন্ন মাণ কে নির্দেশ করছে-
আগেই বলেছি এটি গঠিত হয় ২টি ভিন্ন অংশ নিয়ে। এই লেখাগুলো দ্বারা এই ২টি ভিন্ন ভিন্ন অংশের ভোল্টেজ, কারেন্ট, রেজিস্টেন্স ইত্যাদি বিভিন্ন মাণ নির্দেশ করে।
আমার এই রীলে টি কতো ভোল্টেরঃ
উপরের চিত্র মোতাবেক যে এর গায়ে ২ রকমের ভোল্টেজ নির্দেশ করছে-
১০ এম্পিয়ার, ২৫০ ভোল্ট এসি / ১৫ এম্পিয়ার ১২০ ভোল্ট এসি – এর দ্বারা এটির আভ্যন্তরীন সুইচের সর্বোচ্চ ভোল্ট-এম্প সহ্য ক্ষমতা নির্দেশ করছে।
Collected★মসফেট কি,,,,,
মেটাল অক্সাইড সেমিকন্ডাক্টর ফিল্ড-ইফেক্ট ট্রানজিস্টরের (Metal Oxide Semiconductor Field Effect Transistor) অপর নাম মসফেট (MOSFET)। এটি একটি বিশেষ ধরণের ফিল্ড ইফেক্ট ট্রানজিস্টর । মসফেটের সাধারণত তিনটি সংযোগ প্রান্ত থাকে। এগুলো হল সোর্স বা উৎস, ড্রেন বা নিঃসরন এবং সবচে গুরুত্বপূর্ণ গেট বা নিয়ন্ত্রক। মসফেটের নামের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে এর গাঠনিক বৈশিষ্ট্য এবং কার্যপ্রক্রিয়ার সাথে। মসফেটের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ অংশ গেট তৈরি হয় ধাতু , অক্সাইড ও অর্ধ-পরিবাহীর সমন্বয়ে। মেটাল বা ধাতু শব্দটি সংযুক্ত হয়েছে কারণ, প্রাচীনকালের ইলেকট্রনিক চিপে সাধারণত নিয়ন্ত্রক (গেট) হিসেবে ধাতু ব্যবহৃত হতো, যদিও বর্তমানে বিশেষ ধরনের সিলিকন এক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। অবশ্য বর্তমানেও এই নামের তাৎপর্য রয়েছে। নিয়ন্ত্রকের (গেটের) মূল অংশটি তৈরি হয় অর্ধ-পরিবাহী দিয়ে, এর উপর থাকে পাতলা অক্সাইডের স্তর (সাধারণত সিলিকন ডাই অক্সাইড) আর তার উপরে ধাতু বা অন্য কোন তড়িৎ সুপরিবাহী পদার্থ। নিয়ন্ত্রকের (গেটের) দু'পাশে থাকে নিঃসরক আর উৎস যা নিয়ন্ত্রকের অর্ধ-পরিবাহী অঞ্চল দিয়ে পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন থাকে। নিয়ন্ত্রকের ধাতব অংশে বিভব পার্থক্য সৃষ্টি করলে ঐ অর্ধ-পরিবাহীতে থাকা চার্জ বাহক গুলো নিয়ন্ত্রকের ধাতব অংশের নিচে এসে জমা হয় এবং উৎস ও নিঃসরকের মাঝে একটি তড়িৎ সুপরিবাহী পথ তৈরি করে। যেহেতু তড়িৎ ক্ষেত্র সৃষ্টির কারনে এ পরিবর্তন ঘটে, সেহেতু দেখা যাচ্ছে মসফেট নামটি খুবই যুক্তিসঙ্গত। মসফেটে গেট সরাসরি অর্ধপরিবাহীর সাথে সংযুক্ত থাকেনা, কারণ এদের মাঝে সিলিকন ডাই অক্সাইডের বাঁধা থাকে। এই অন্তরককে নির্দেশ করার জন্য মসফেটের আরেক নাম দেয়া হয়েছে ইনসুলেটেড-গেট ফেট বা
আইজিফেট ; অবশ্য ইলেকট্রনিক কার্যবিবরণী বা অধ্যয়নে এই নামটি খুব একটা ব্যবহৃত হয়না। মসফেটে ব্যবহৃত অর্ধ-পরিবাহী এন (n) অথবা পি (p) এই দুই ধরনের হতে পারে। কি ধরনের অর্ধ-পরিবাহী ব্যবহৃত হচ্ছে তার উপর নির্ভক করে, নিয়ন্ত্রকে কি ধরনের ( ধনাত্মক/ ঋণাত্মক) বিভব পার্থক্য ব্যবহার করতে হবে। এদেরকে যথাক্রমে এন-মসফেট (n-MOSFET) ও পি-মসফেট (p-MOSFET) বা সংক্ষেপে এনমস (nMOS) ও পিমস (pMOS) বলা হয়ে থাকে।
মসফেটের নিয়ন্ত্রকে প্রয়োগকৃত বিভব পার্থক্য, , উৎস এবং নিঃসরকের মধ্যে তড়িৎ প্রবাহকে নিয়ন্ত্রন করে। এই তড়িৎ ড্রেন থেকে সোর্সের দিকে আড়াআড়ি পথে গমন করে, এবং এই পথ কে বলা হয় চ্যানেল। চ্যানেলের দৈর্ঘ্য ( L ) এবং প্রস্থ ( W ) - দুটিই মসফেটের খুব গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রক। সাধারণত দৈর্ঘ্য হয়ে থাকে, ০.১ মাইক্রোমিটার থেকে ৩ মাইক্রোমিটারের মধ্যে আর প্রস্থ ০.২ মাইক্রোমিটার থেকে ১০০ মাইক্রোমিটারের মধ্যে। মসফেটের দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থের অনুপাতকে বলা হয়ে থাকে "অ্যাসপেক্ট রেশিও" বা "আকৃতি অনুপাত"। " মসফেট একটি প্রতিসম যন্ত্র অর্থাৎ এর সোর্স এবং ড্রেন কে নিজেদের মধ্যে অদল বদল করা যায়, যন্ত্রাংশের কোনপ্রকার বৈশিষ্ট্যগত পরিবর্তন ছাড়াই।
গেটে কোন প্রকার বিভব পার্থক্য ছাড়াই মসফেটের ক্রিয়া
গেটে যদি কোন প্রকার বিভব পার্থক্য প্রয়োগ না করা হয়, তবে দুইটি ব্যাক-টু-ব্যাক ডায়োড তৈরি হবে ড্রেন এবং সোর্সের মধ্যে।একটি ডায়োড হচ্ছে পি টাইপ সাবস্ট্রেট এবং এন টাইপ সোর্স এর দ্বারা এবং অপরটি হচ্ছে পি টাইপ সাবস্ট্রেট এবং এন টাইপ ড্রেনের দ্বারা তৈরি ডায়োড।এই ব্যাক-টু-ব্যাক ডায়োড দুইটি ড্রেন থেকে সোর্সের মধ্যে বিভব পার্থক্য ( V ds )প্রদান করা হলেও, চ্যানেলে তড়িৎ প্রবাহতে বাঁধা দান করে। এ সময় চ্যানেলের রোধ অনেক বেশি থাকে যা প্রায় ১০১২ ওহম ক্রমের।
★ট্রানজিস্টর (Transistor) একটি
অর্ধপরিবাহী কৌশল যা সাধারণত
অ্যামপ্লিফায়ার এবং বৈদ্যুতিকভাবে নিয়ন্ত্রিত সুইচ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
কম্পিউটার , সেলুলার ফোন এবং অন্য সকল আধুনিক ইলেকট্রনিক্সের মূল গাঠনিক উপাদান হিসেবে ট্রানজিস্টর ব্যবহার করা হয়। দ্রুত সাড়া প্রদানের ক্ষমতা এবং সঠিক সম্পূর্ণ সঠিকভাবে কার্য সাধনের ক্ষমতার কারণে এটি আধুনিক ডিজাটাল বা অ্যানালগ যন্ত্রপাতি তৈরীতে বহুল ব্যবহৃত হচ্ছে। নির্দিষ্ট ব্যবহারগুলোর মধ্যে রয়েছে
ইলেকট্রনিক অ্যামপ্লিফায়ার, সুইচ ,
ভোল্টেজ নিয়ন্ত্রক , সংকেত উপযোজন এবং ওসিলেটর । আলাদা আলাদাভাবে ট্রানজিস্টর তৈরি করা যায়। আবার
সমন্বিত বর্তনীর অভ্যন্তরে একটি অতি ক্ষুদ্র স্থানে কয়েক মিলিয়ন পর্যন্ত ট্রানজিস্টর সংযুক্ত করা যায়
★ক্যাপাসিটর (Capacitor):
ক্যাপাসিটর অর্থ ধারক। একে কনডেনসারও বলা হয়। সার্কিটে ক্যাপাসিটর সোর্স থেকে বৈদ্যুতিক এনার্জি বা চার্জ সঞ্চয় করে থাকে। ক্যপাসিটরের বৈদ্যুতিক এনার্জি বা চার্জ সঞ্চয় করার ধর্মকে ক্যাপাসিট্যান্স বলে।
ক্যাপাসিটরের কাজ হল বৈদ্যুতিক চার্জ ধরে রাখা। রিচার্জেবল ব্যাটারি যেমন চার্জ ধরে রাখে, ক্যাপাসিটর এরও একই রকম ক্ষমতা আছে, তবে খুব স্বল্প পরিসরে।
“ক্যাপাসিটর মুলত চার্জ ধারন করে এবং ডিসি কে বাধা দেয় আর এসি কে যেতে দেয়”
ক্যাপাসিটর এর গঠন :
ক্যাপাসিটর তৈরি হয় দুটি ইলেকট্রোড বা কন্ডাকটরের সমন্বয়ে যা ইনসুলেটর বা ডাই ইলেকট্রিক দিয়ে আলাদা করা থাকে। প্রয়োজন মত পেপার, প্লাস্টিক, মাইকা, সিরামিক, গ্লাস, ভ্যাকুয়াম বা এই রকম বৈশিষ্টের অন্যকিছু দিয়ে ডাই ইলেকট্রিক তৈরি করা হয়।
ক্যাপাসিটরের ক্ষমতাঃ
ক্যাপাসিটরের ক্ষমতাকে ফ্যারাড এ প্রকাশ করা হয়। এক ফ্যারাড অনেক বড়, প্রায় 6,280,000,000,000,000,000 ইলেকট্রনের সমান। তাই ব্যাবহারীক ক্ষেত্রে মাইক্রো ফ্যার
★মাইক্রো কনট্রোলারের অপেক্ষা PLC বেশি ব্যবহার করা হয় কারনঃ
১। মাইক্রো কনট্রোলারের তুলনায় PLC এর ইনপুট আউট পুট ক্যাপাসিটি অনেক বেশি। PLC তে অতিরিক্ত মডুউল যোগ করে ইনপুট আউট পুট বকড়ানো যায়।
২। মাইক্রো কনট্রোলারের তুলনায় plc তে একাধিক প্রসেসর এবং cpu থাকতে পারে যা সাধারনত মাইক্রো কনট্রোলারে থাকে না।
৩। PLC প্রসেসিং ক্যাপাসিটি মাইক্রো কনট্রোলারের তুলনায় অনেক বেশি কার্যকর এবং দ্রুতি।
৪। PLC এর কোন ডিভাইস নস্ট হয়ে গেলে দ্রুত পরিবর্তন করা যায়।
৫। PLC তে প্রোগ্রাম করা অনেক সহজ।
৬। মাইক্রো কনট্রোলারের কোন ডিসপ্লে থাকে না। যেখানে PLC তে ডিসপ্লে ইউনিট আছে। PLC ডিসপ্লে ইউনিটের সাহায্যে কাজের মনিটরিং করা যায়। মাইক্রো কনট্রোলারে ডিসপ্লে ইউনিট নেই তবে আলাদা ভাবে ডিসপ্লে লাগানো যায়।
৭। PLC অপারেটর, তাপমাত্রা পরিবর্তন, ধূলোবালি,আদ্রতা ইত্যাদি তেমন কোন প্রভাব ফেলতে পারে না যেখানে মাইক্রো কনট্রোলারে এই সব বিষয়ে অনেক প্রভাব বিস্তার করে।
৮। PLC হাই ভোল্টেজ নিয়ে কাজ করতে পারে যেখানে মাইক্রো কনট্রোলারে হাই ভোল্টেজ নিয়ে কাজ করতে অনেক ঝামেলা হয়।
রীলে- কিভাবে কাজ করে ও এর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
রীলে (মতান্তরে রিলে, ইংরেজী শব্দ – relay ) যদিও ইলেকট্রিক্যাল যন্ত্র বিশেষ, তবুও এর গুরুত্ব ইলেকট্রনিক্স এ কম নয়। ধরি, আমি একটা ফ্লিপফ্লপ তৈরি করেছি যা দিয়ে এলইডি জ্বলছে-নিভছে। এখন আমি যদি চাই যে এই ফ্লিপফ্লপ সার্কিটটি দ্বারা বড় কোনো বাতি স্বয়ংক্রিয় ভাবে জ্বালাবো আর নেভাবো তখন আমাকে এমন কোনো যন্ত্র/কম্পোনেন্টের সাহায্য নিতে হবে যা ঐ ছোট সার্কিটে সংযুক্ত করে এই বেশি শক্তির বাতি কে অন-অফ করতে পারি।
এটি বেশ কয়েক ভাবেই সম্ভব, কিন্তু বহুল প্রচলিত ও জনপ্রিয় পদ্ধতি হচ্ছে রীলে ব্যবহার। এটি ব্যবহার করলে আমি নিম্ন ভোল্টেজের ইলেকট্রনিক সার্কিট দ্বারাই উচ্চ ভোল্টেজে সংযুক্ত কোনো বাতি, ফ্যান কিংবা ডিভাইস চালাতে সক্ষম হবো। এই লেখাটি নবীন হবিস্ট ও আগ্রহী পাঠকদের উতসর্গ করছি যারা বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও ইলেকট্রনিক্স নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁদের উপকার হলে আমার পরিশ্রম স্বার্থক।
★রীলে কিঃ
এটি এক প্রকার ইলেকট্রো ম্যাগনেটিক বা তড়িৎ চুম্বকীয় যন্ত্র বিশেষ। সাধারণ ভাবে যদি বুঝতে চাই তা হলে একে এমন ভাবে চিন্তা করা যেতে পারে- ছোট একটা সুইচ দিয়ে যখন আমরা একটা বাতি কে জ্বালাই তখন তার জন্য আমাদের সুইচে হাত দিয়ে তাকে অফ বা অন করতে হয়। অর্থাৎ কোনো বাহ্যিক একটা শক্তি লাগে সুইচ কে অন-অফ করতে। ঠিক তেমনি ভাবেই, কোনো রীলে কেও অন বা অফ করতে এমনি বাহ্যিক শক্তি লাগে, তবে এ ক্ষেত্রে শক্তিটি বিদ্যুত চুম্বকীয় শক্তি। অর্থাৎ, এতে একটা কয়েল বা অস্থায়ী বৈদ্যুতিক চুম্বক থাকে যার মধ্যে প্রয়োজনীয় পরিমাণ বিদ্যুত সরবরাহ করলে তা সুইচটিকে অন/অফ করতে পারে। কাজেই এর মধ্যে প্রধানত ২টি অংশ থাকেঃ
সুইচিং অংশ
বিদ্যুত চুম্বকীয় অংশ
এটি কত প্রকারঃ
বাজারে প্রচলিত রীলে সমূহ প্রধানত ৩ ধরনের
SPST – Single pole single throw
SPDT – Single pole double throw
DPDT – Double pole double throw
আমরা আমাদের এই পাঠে বহুল প্রচলিত SPDT রিলে সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।
রিলে দেখতে কেমনঃ
আমরা নিচের চিত্রটিকে লক্ষ্য করলে একটি বাস্তব রিলে দেখতে কেমন হয় তা দেখতে পাবো-
এখানে খেয়াল করলে দেখবো যে এই এটির ৫ টি লেগ/পা/প্রান্ত আছে আর এর গায়ে ছোট ছোট অক্ষরে কিছু জিনিস লেখা আছে। আমরা এখন এই লেখা গুলোর অর্থ বোঝার চেষ্টা করবো।
লেখা গুলোর কোনটার মানে কিঃ
আমরা যদি একটু কাছে থেকে দেখি তা হলে লেখা গুলোকে এমন দেখতে পাবো যা দ্বারা রীলে’র বিভিন্ন মাণ কে নির্দেশ করছে-
আগেই বলেছি এটি গঠিত হয় ২টি ভিন্ন অংশ নিয়ে। এই লেখাগুলো দ্বারা এই ২টি ভিন্ন ভিন্ন অংশের ভোল্টেজ, কারেন্ট, রেজিস্টেন্স ইত্যাদি বিভিন্ন মাণ নির্দেশ করে।
আমার এই রীলে টি কতো ভোল্টেরঃ
উপরের চিত্র মোতাবেক যে এর গায়ে ২ রকমের ভোল্টেজ নির্দেশ করছে-
১০ এম্পিয়ার, ২৫০ ভোল্ট এসি / ১৫ এম্পিয়ার ১২০ ভোল্ট এসি – এর দ্বারা এটির আভ্যন্তরীন সুইচের সর্বোচ্চ ভোল্ট-এম্প সহ্য ক্ষমতা নির্দেশ করছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন